সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্মীয় নয়, মানবতাবাদী ভাবাবেগই একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

যে দেশে মানবতাবাদি ভাবাবেগের চেয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগ বেশি গুরুত্ব পায় সে দেশ বা জাতি পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। আমরা তাই পিছিয়ে পড়ছি। প্রসঙ্গ : 

কোরআন পাঠের তাৎপর্য

এখন কোরআন পড়ছি। যত পড়ছি, গভীরে ঢুকছি, তত মনে হচ্ছে চারপাশে মুসলমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন বলুন তো এমন মনে হচ্ছে? কারণ, কো রা নি (কোরআন অনুসরণকারী) মুসলমানের চেয়ে দেশে হাদিসি (হাদিস অনুসরণকারী) মুসলমানের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেশি।  তাতে সমস্যা কোথায়? বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, কারণ অসাম্যই হিংসার জন্ম দেয়।

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যায় মাত্র। মানুষের সমান অধিকার কায়েম করার মধ্য দিয়েই আসে হিংসার সমাপ্তি। কারণ, অসাম্যই জন্ম দেয় হিংসার এবং অসাম্যই হিংসার একমাত্র কারণ। গতকাল নতুন করে কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। এ দায় রাষ্ট্রশক্তিকেই (সরকারকে) নিতে হবে। কারণ, তারই একমাত্র দায় থাকে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে সমাজ থেকে অসাম্য দূর করে একটি সুস্থ্য ও শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলার। আর সেটা সেটা না করে, আলোচনা ও সমানাধিকারের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে, হিংসা দিয়ে হিংসার মোকাবেলার রাস্তায় যারা হেঁটেছেন তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। যারা বিভাজনের অস্ত্র ব্যবহার করে, অসাম্য জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়, তারাই একমাত্র দায়বদ্ধ এর জন্য। বন্ধ হোক সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে বিভাজনকারী রাজনীতিকদের রাজনৈতিক চালাকি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

সমালোচনা আর খিল্লি এক নয়

বামপন্থা খিল্লি শেখায় না, শেখায় গঠনমূলক সমালোচনা। সমালোচনা সৃষ্টিশীল আর খিল্লি ধ্বংসাত্মক বিকারগ্রস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। জন্ম দেয় অপসংস্কৃতির, যা বামপন্থার পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। যে প্রক্রিয়ায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে একাদেমির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তা হয় তো সমালোচনার উর্ধে নয়। হয় তো বলছি এই কারণে যে, তাঁর লেখা আমি পড়িনি। কারও সমালোচনা করতে হলে তাঁর সম্পর্কে গভীরভাবে জানা প্রয়োজন, তাঁর লেখার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় থাকা দরকার, যা আমার নেই। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আদর্শগত পার্থক্য আছে যাদের, তারা রাজনৈতিক ইস্যুতে সমালোচনা করবেন - সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু লেখক হিসাবে তাঁর সমালোচনা করার সময়, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় উপেক্ষণীয় না হলেও তা কখনই প্রধান বা একমাত্র বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয় না - একথা মনে রাখা প্রয়োজন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মূল্য

বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মূল্য বিশ্বাসের চেয়ে অবিশ্বাসের মূল্য বেশি। কারণ অবিশ্বাস সত্য অনুসন্ধানের সাহায্য করে এবং বিশ্বাস অন্ধত্বকে ডেকে আনে; বলা ভালো প্রশ্রয় দেয়। আমি যখন কোনো কিছুকে বিশ্বাস করি, তখন তা প্রশ্নহীন সিদ্ধান্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যে কথাটা আমি বিশ্বাস করছি, সেই কথার বক্তার দ্বারা আমি সম্মোহিত হয়ে যাই। তাই প্রশ্ন করার অবকাশ এখানে থাকে না। যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে যাচাই করার যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি এক্ষেত্রে কার্যকর থাকে না। তাহলে কি বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই? আছে। বিশ্বাস মানুষের মনকে শান্ত করে। আবার অশান্তও করে। কিন্তু যখন দুশ্চিন্তায় শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে অথচ দুশ্চিন্তার সত্যিই কোন কারণ নেই তখন বিশ্বাসই মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। এসময় ঝাড় ফুঁক বা জল পড়া-পানি পড়াতেও কাজ হয়। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস এবং সেই বিশ্বাসে ভর করে প্রার্থনায় বসেও মানুষের মনের মুক্তি আসে। উল্টো দিকে, যদি স্বাস্থ্যহানির কারণ হয় শারিরীক, তবে এই বিশ্বাস সাময়িক কাজে আসলেও দীর্ঘমেয়াদী ফললাভ হয় না।

সম্মোহন কী? সম্মোহন করার ক্ষমতা কার বেশি?

সম্মোহন কী? সম্মোহন করার ক্ষমতা কার বেশি? পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই কারও না কারও দ্বারা সম্মোহিত। জন্মের পর থেকেই এই সম্মোহন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম শুরু করেন তার মা। মা হচ্ছেন সদ্যজাত মানুষের প্রথম এবং শক্তিশালী সম্মোহনকারী।

মা

মা হচ্ছেন পৃথিবীর বেহেস্তি (স্বর্গ) বাগান। সন্তান হচ্ছে তার মালি। কিন্তু সেই মা যদি হন অবুঝ, তবে সন্তানের কাছে এই দুনিয়াই হয়ে ওঠে দোজখ যন্ত্রণার আঁধার কূপ। তবে  উপেক্ষা করার ক্ষমতা যারা রাখে, তারা নিরাপদ থাকে বটে, কিন্তু প্রিয় বেহেস্তি বাগানটা তার তছনছ হয়ে যায়, সবার অলক্ষ্যে। কিন্তু এই বাগানটা যে অক্ষত রাখার চেষ্টা করে, সেই হল প্রকৃত মানুষ, সত্যিকারের মালি।

গো হত্যা, এ অন্ধত্ব কাটবে কবে?

গরিব মানুষ গরুর মাংস খেলে বা তা নিয়ে ব্যবসা করলে গোমাতা হত্যার অপরাধ হয়। আর কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা গো হত্যা করে বিদেশে মাংস রপ্তানি করলে তা অপরাধ নয়। সাধারণ জনগণ এই সত্য জানা সত্বেও অন্ধ হয়ে থাকে কি করে? এ অন্ধত্ব কাটবে কবে? এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে গো-মাংস রপ্তানিতে ভারত শীর্ষ স্থান অধিকার করে রেখেছে। সারা পৃথিবীর ১৯.৭ শতাংশ গোমাংস ভারত একাই রপ্তানি করে। গরিব মানুষ করলে গো হত্যা আর কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা করলে বৈদেশিক মুদ্রা? মনে রাখা দরকার, ঋকবেদে দেবরাজ ইন্দ্র একাধিক শ্লোকে বলেছেন,  পঁয়ত্রিশটি বলদ, ষাড়, তিনশত মহিষ আগুনে পুড়িয়ে রোস্ট করে তাকে খেতে দেয়া হয়েছে। দেবতা অগ্নির প্রিয় খাদ্য ছিল গরু, মহিষ, বলদ, ঘোড়া ইত্যাদির মাংস। দেবতাদের খাদ্যাভ্যাস যে সম্পূর্ণ দুগ্ধজাত দ্রব্য ও গো-মাংসের উপর নির্ভরশীল ছিল তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে ঋকবেদে। অশ্বমেধ যজ্ঞে গো উৎসর্গ ছিল প্রধানতম রীতি। ঋগ্বেদ পরবর্তী তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ, তৈত্তিরীয় সংহিতা, গোপথ ব্রাহ্মণ বা অথর্ব বেদে খাদ্য হিসাবে যে গোমাংসের উৎকর্ষতা স্বীকার করা হয়েছে একথা বেদ খুললেই জানা যায়। শুধু তাই নয়, ঋগ্বেদ পরবর্তী একাধিক গ্রন্

বিজেপির দ্বিচারিতা

৩৭০ নিয়ে বিজেপি অন্দোলন করে। কিন্তু ৩৭১ নং ধারা নিয়ে চুপ কেন?

প্রকৃত ধর্ম বিদ্বেষ শেখায় না

মানুষ হয়েও যারা জাত ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ পোষণ করেন এবং তা ছড়ান, তিনি মানুষ তো নয়ই, ধার্মিকও নয়।  কারণ প্রকৃত ধর্ম (সে যে ধর্মই হোক) মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। বিদ্বেষ শেখায় বকধার্মিক বা ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এই বিদ্বেষ ভযঙ্কর হয়ে ওঠে যখন তা রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে