Biru Barman ধর্ষণ ধর্ষণই। সেটা এই রাজ্যে না ও রাজ্যে এটা বিচার করার মধ্যে রাজনীতি থাকে, মানবিকতা থাকে না। আপনি কি করে বুঝলেন এ রাজ্যের ধর্ষণের কেউ বিরোধিতা করেন না? এ রাজ্যের ধর্ষণের বিরোধিতা করবেন। খুব ভালো কথা। নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলো সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বিরোধিতা করেন কী করে? আপনারাও তো উচিত প্রতিবাদে সামিল হওয়া। তবেই তো প্রমাণ হবে যে আপনি রাজনীতি করছেন না ধর্ষণ নিয়ে। একটা অপরাধের প্রেক্ষিতে আরেকটা অপরাধকে সামনে এনে বিরোধিতা করলে সেটা অপরাধ ঢেকে দেয়ার চেষ্টারই সামিল হয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক শাসকের ভালকে ভাল, আর মন্দকে মন্দ বলার সাহস থাকতে হয়। তবেই আপনি প্রকৃত নাগরিক হতে পারবেন। পক্ষপাতিত্ব করা আমাদের কাজ নয়, এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। রাজনীতির জন্য রাজনীতি রাজনীতিকরা করেন। সাধারণ মানুষও যদি তাই করে তাহলে রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটা আমরা ভুলে যেতে বসেছি। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের এটা একটা বড় রোগ, যা মহামারির আকার নিয়েছে। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অন্যায়কে অন্যায় বলে সাহস তৈরি করুন। আপনার জন্য একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। Biru Barm...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...