"বিক্ষোভ দমনের তাড়নায় রাষ্ট্রের মনে সংবিধানস্বীকৃত প্রতিবাদের অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তফাত যেন কিছুটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মানসিকতা যদি প্রাধান্য পায়, তা হবে গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন।" -- বিচারপতি অনুপ ভস্তানি ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল বিজেপি কি এসব কথা বোঝে না? না, তাদের বোঝার ইচ্ছা আছে? অথবা বলা ভালো, বোঝার দরকার আছে বলে কি তারা মনে করে? এটাই হলো লাখ টাকার প্রশ্ন। ওরা বোঝে, শুধুই রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর বোঝে, তা অর্জন ও ধরে রাখতে গেলে দরকার পুঁজির দালালি। কারণ, গরিবের ভোট টাকা দিয়ে সহজেই কেনা যায় - এ সত্য ওরা জানে, এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে। আর কেউ কেউ জানে, সেই টাকার যোগান দেয় পুঁজির মালিকরা। তাই তারা গণতন্ত্র বা গরিবের কথা নয়, ভাববে পুঁজির মালিকদের কথা। এবং একথা না বোঝাটা হলো মস্তবড় বোকামি। পুঁজির মালিকদের সৌভাগ্য, এই সত্যটি অধিকাংশ সাধারণ মানুষই জানেন না এবং বোঝেনও না। ২০২০-২১ (আর্থিক বছরে) করোনা অতিমারী যেখানে বিশ্বের একাধিক দেশ সহ ভারতের জিডিপি'কেও তলানিতে টেনে নামিয়ে দিয়েছে, সেখানে একই সময়ে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাক...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...