নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার দেননি বিদ্যাসাগর - এ অভিযোগ কার? সঠিক ও জরুরি মূল্যায়ন। ইতিহাস খুঁড়ে এভাবেই সত্য বেরিয়ে আসুক, মিথের অবসান ঘটুক। — Anirban Choudhury Anirban Choudhury এখানে কোন্ সত্য বের হলো, যা মাটিতে চাপা পড়ে ছিল? এতো প্রকাশ্য সত্য। এ ব্যাপারে কোনও মিথ নেই। কোনও মুসলিম, যারা দাবি করে আমরা পিছিয়ে পড়েছি, পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার সুযোগ না পাওয়ায়, তারা বিদ্যাসগরকে দোষ দিতে যান না। যাবেনই বা কেন? কারণ, বিদ্যাসাগর তো দাবি করেননি যে, তিনি মুসলিম সমাজের সংস্কার ও সেখানে নবজাগরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। যাঁরা বিদ্যাসাগরকে সমালোচনা করেন সেটার একটা নির্দিষ্ট দিক আছে। এই বিষয়টার জন্ম দিয়েছেন তারা, যারা বিদ্যাসাগরের প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁকে মানব থেকে মহামানব এবং সেখান থেকে অতিমানবীয় চেহারায় তুলে ধরতে গিয়েছেন। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। যুগকে একশ শতাংশ অতিক্রম করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বিদ্যাসাগরও পারেননি। একথা, এই অতিভক্তরা মনে রাখেনি। তাই তাঁর মূল্যায়ন করতে গিয়ে নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...