হিংসা শান্তি আনে না, আনে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। রাষ্ট্রনায়করা গণতন্ত্রের নাম করে এই হিংসাকেই যুগ যুগ ধরে অবলম্বন করে আসছে। তাই এদের কাছে আরাধ্য অশোক নয়, আরাধ্য আলেকজান্ডার ও হিটলার। এই গণতন্ত্র আসলে গরীব ও মধ্যবিত্তের আই ওয়াশের যন্ত্র (machine for washing eye) মাত্র। আসলে সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয়ের যুগে যখন রাজতন্ত্র ও সামন্ত প্রভুদের বিরুদ্ধে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়। রাজতন্ত্রের টলোমলো অবস্থা তৈরি হয় সমগ্র ইউরোপ জুড়ে। তখনই রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে ধনতান্ত্রিক কাঠামোকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। জনমতকে কনভার্ট করে রাজতন্ত্রের পরিবর্তিত চেহারা ( ছদ্দবেশী রাজতন্ত্র) যা ধণতন্ত্র নামে পরিচিত, তাকে টিকিয়ে রাখার কৌশল করে রাষ্ট্রশক্তি। এই কৌশলেরই নাম গণতন্ত্র। প্রথম প্রকাশ, দেখতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...