সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

২০২৪ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কারা কেন অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হয়?

 Moti Lal Deb Nath ঠিকই, যিনি যেমন দেখবেন, এবং যেমন বুঝবেন, তেমনই বলবেন। এতে কোন দ্বিমত নেই। তা দোষেরও নয়। দোষের তখনই হয়, যখন কেউ অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনেন। আমি আপনার ভিতরটা যদি স্পস্ট করে বুঝতে পারতাম, ‘অশিক্ষিত' এবং অথবা দিয়ে 'জেনে বুঝে না বোঝার ভান’ - এভাবে শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করতাম না। আমি যাকে যেভাবে বুঝি, তাকে সেভাবেই সোজা সাপটা বলতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনাকে ওই দুটোর কোনটাই বলিনি। কারণ, আমি এখনও বুঝিনি, কেন আপনি অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনে পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যকে অন্যদিকে নিয়ে গেলেন। বুঝিনি বলেই আগের মন্তব্যে দু-দুবার ‘অবাক হওয়ার’ কথা উল্লেখ করেছি। যদি বুঝতাম, তাহলে সরাসরি আপনাকে হয় অশিক্ষিত বলতাম, আর না হয় ‘না বোঝার ভান করছেন’ বলে অভিযোগ করতাম। কারণ, মারপ্যাঁচ করে কথা বলা, আমার স্বভাবের বিরুদ্ধ। আমি শুধু বলেছি, এভাবে যারা প্রসঙ্গ ছেড়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে যায়, তারা ওই দুটোর কোন একটার কারণে নিয়ে যান। সেই অপশন দুটো আপনার সামনে তুলে এনেছি মাত্র। আপনি ওই দুটোর কোনটার মধ্যে পড়েন, অথবা আদৌ পড়েন কি না, সেটা তো আমি জানি না। কারণ, জানাটা অতটা সহজ কাজ নয়। ওটা আপনিই

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়?

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়? Does the Muslim vote get all TMC? যারা বলে মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়, তারা জেনে বুঝেই এই মিথ্যাটা বলে। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটের সিংহভাগ কৌশলে বিজেপির পক্ষে নিয়ে যাওয়া। ---------xx-------- এটা একমত হ‌ওয়া গেল না । সব ভোট না গেলেও গত দুটি বিধানসভা এবং সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে একটা বড় অংশের ভোট‌ রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলে গেছে । খুব যে ভালোবেসে গেছে তা হয়তো নয় , কিন্তু গেছে এটা সত্য । আগে এই ভোটটা বামেরা পেতো । এখন আর পায় না । আপনার কথা যদি সত্য হতো তাহলে অধীর চৌধুরী ভোটে হারার কথা নয় । এবার আপনি বলতে পারেন ভোট দিতে বাধ্য হয় । কেন বাধ্য হয় তার দুটো দিক আছে । প্রথমটা হলো পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারে মুসলিম জনমানসে একটা ভীতির সঞ্চার হয়েছে । আর দ্বিতীয়টা হলো রাজ্যের শাসকদল এমন একটা ইমেজের সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে যে তারাই হলো সংখ্যালঘুদের রক্ষাকর্তা। আর সংখ্যালঘুরাও ধর্মনিরপেক্ষ সংখ্যাগুরু জনগণের চেয়ে একটা রাজনৈতিক দলকেই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছে । এটার একটা বিরাট কুফল আছে । তবে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগবে । ------------- Moti Lal Deb Nath সাথি, আপনার ব্যাখ্যার উত্তর

মানুষে মানুষে বিভাজনের কারণ কী?

প্রকৃত (আসল) ধর্ম কি? What is the real religion? মানুষের মধ্যে বিভাজন কিংবা ভেদাভেদ - যাই বলুন না কেন, তা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। কারণ, মানুষের জন্য যে ধর্ম, সে ধর্ম মানুষকে ভাগাভাগি করেনা।  প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, যার ভিত্তি হল অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস, ভীরু মানুষেরা তার দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হন। কারণ, প্রচলিত ধারণা হল, এই বিশ্বাসের সঙ্গে একটু ভক্তি মেশালেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।  মৃত্যু ভয় আর সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। একটা বহল প্রচলিত ধারণা হল, সাফল্য লাভ কিংবা মৃত্যু ভয় এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস এবং তার ভজনা করা। সহজেই পাওয়ার আশ্বাস থাকে বলে, এমন বিষয় ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহ দেখায়। এবং সে কারণেই এই পথকেই মানুষ বেশি বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চায়। এই মৃত্যুকে জয় করা যাবে না জেনেও, তাকে ঠেকিয়ে রাখার আকাঙ্খা থেকেই অলৌকিক শক্তির প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। কিন্তু এটা প্রকৃত ধর্ম নয়। ধর্মের স্বঘোষিত প্রচারক যারা, তারা নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এই ধারার ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এই

লেখা কেমন হওয়া উচিত?

লেখা কেমন হওয়া উচিত? How should the writing be? আপনি লিখতে ভালোবাসেন? লিখুন। তবে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ের জন্যে নয়, মানুষের জন্য লিখুন। তাহলে সবাই আপনার লেখার রস আস্বাদন করতে পারবেন এবং যদি সেই লেখার মধ্যে কিছু সারবত্তা থাকে তবে তার দ্বারা সবারই মঙ্গল হবে।

ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য কী?

ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য কী? আলী হোসেন এক কথায়, ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য হল, দেশে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য শাসক নির্বাচন করা। এখন এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শাসক হিসাবে জনগণ কাকে, কেন, কীভাবে এবং কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করবেন - এপ্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী বিষয়। এই প্রশ্নের সদুত্তর জানা না থাকলে, জনগণের কাছে আধুনিক ভোট বা নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কী : তাই, এই নির্বাচন উপলক্ষে আগামীতে কোন্ দল কোন্ কোন্ পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আরও ভালোভাবে সমাজে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে, তার খতিয়ান মানুষের কাছে উপস্থাপন করার কথা। এটাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক দায়িত্ব। আসলে এগুলোই আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি এবং তা মেনেই প্রত্যেকটি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলকে কাজ করতে হয়। এগুলো বাদ দিলে দেশ আধুনিক ও গণতান্ত্রিক - এ দাবি করা যায় না। বাদ দিলে, তার অর্থ দাঁড়ায়, দেশ মধ্যযুগীয়, কিংবা প্রাচীনযুগীয় মানসিকতা নিয়ে এগোতে চাইছে। বলা বাহুল্য, পিছন দিক

‘নামাজ’ আর ‘নমস্কার’এর মধ্যে সম্পর্ক

 ‘নামাজ’ আর ‘নমস্কার’এর মধ্যে সম্পর্ক ‘নামাজ’ আর ‘নমস্কার’ - একই ধাতুমূল থেকে এসেছে। আর তাহল ‘নমস্’। ভাবুন, এটা কীভাবে সম্ভব? ধর্ম নিয়ে বিবাদ করার আগে এর ব্যাখ্যা খুঁজুন। ফেসবুক পোস্ট, ১৬/০৫/২০২৪ ----------xx----------- আসলে দুটো শব্দই এসেছে একই ভাষাগোষ্ঠী থেকে। আর তা হল, ইন্দো-ইরানিয় ভাষা গোষ্ঠী। অর্থাৎ সংস্কৃত (নমস্কার) ও ফার্সি (নামাজ) - দুটো ভাষাই এসেছে ইন্দো-ইরানিয় ভাষা গোষ্ঠী থেকে। তাই তাদের মূল ধাতু এক।  আমার ফেসবুক পোস্টের অভ্যন্তরে ছিল এই প্রশ্ন : এই বিষয় থেকে আমদের উপলব্ধি কী হওয়া উচিত? আমাদের অর্থাৎ হিন্দু মুসলমানসহ সমগ্র মানবগোষ্ঠীর মধ্যেকার সম্পর্ক কি বিরোধের, না বন্ধুত্বের কিংবা এক কথায় আত্মীয়তার? ----------xx------- বেশ কয়েকজন ফেসবুক বন্ধু আমার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বোঝাতে চেয়েছেন আমি ভুল। আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে জানাই, আপনাদের আলোচনায় ‘কেন আমি ভুল’ তার কোন সদুত্তর নেই। (যা আছে, তা প্রায় সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা, যা আপনারা জানেন বলে দাবি করেন। তা কতটা যুক্তিযুক্ত বা তথ্যসমৃদ্ধ সে বিষয়ে আমি যাচ্ছি না। কারণ, সে বিষয়গুলো আলাদাভাবে আলোচনার দাবি রাখে। তা

সাম্প্রদায়িক কারা এবং কেন?

সাম্প্রদায়িক কারা এবং কেন লেখাপড়া জানা তথাকথিত শিক্ষিতরাই (প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না) বেশি সাম্প্রদায়িক হয়। এবং এরাই লেখাপড়া না জানা সরল-সিধা কিছু মানুষকে সাম্প্রদায়িক করে তোলে ভুল বুঝিয়ে, তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। এরাই বিজেপির সম্পদ। দেশের অধিকাংশ মানুষ অসাম্প্রদায়িক। বিজেপির সর্বোচ্চ ৩৭% ভোট পাওয়ার বিষয়টি এ কথাই প্রমাণ করে। এই বিষয়টি উপমহাদেশের মুসলিমদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য একই রকম ভাবে।

বিজেপি কেন সাম্প্রদায়িক?

বিজেপি কেন সাম্প্রদায়িক?  মুখ খোলায় বহিষ্কৃত পদ্মনেতা কংগ্রেস সবার সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে- রাজস্থানের প্রকাশ্য জনসভায় এই মন্তব্য করতে গিয়ে মুসলিমদের 'অনুপ্রবেশকারী', 'যাদের বেশি সন্তান হয়' ইত্যাদি তকমা দিতে শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর ওই মন্তব্যকে 'অনভিপ্রেত' বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজস্থানেরই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণি। তারই 'শাস্তি' হিসেবে বুধবার তাঁকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল বিজেপি। - এই সময় এর পরও বিজেপি নেতারা বলবেন, মুসলিমরা অহেতুক ভয় পায়; অন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অহেতুক ভয় দেখায়, এবং বিজেপিতে গণতন্ত্র আছে! একজন প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ সম্প্রদায় সম্পর্কে এভাবে বলতে পারেন? ভারতীয় সংবিধান এর মান্যতা দেয়? নির্বাচন কমিশন কীভাবে চুপ থাকতে পারেন? আমরা চাই আর না চাই - এ প্রশ্ন উঠবেই। শুধু কি এবারই বলেছেন তিনি একথা? মোটেই নয়। গুজরাতের হিংসার পরে মুসলমানদের ত্রাণ শিবিরকে তিনি ‘সন্তান উৎপাদনের কারখানা’ বলে তকমা দিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতির চর্চায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতি চর্চায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতি চর্চা - আলী হোসেন আলী হোসেন বিচার একটি যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। বিচারক কখনোই সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না, যদি না এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা ও তার কর্মকর্তারা উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহ এবং বিচারককে তা সরবরাহ করতে পারেন। আর বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে একটি শক্তির আধার; তা যার হাতে থাকে, তিনিই বিচারক। এই শক্তি ন্যায়বিচার তখনই দিতে পারে, যখন বিচারক নিরপেক্ষ থাকার সৎ সাহস দেখান এবং সাংবিধানিক আইন এবং তার প্রয়োগ বিষয়ে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। তবে তাঁর সফলতা নির্ভর করে তথ্য সংগ্রহকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং আইনজীবীরা কতটা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই তথ্য বিচারকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তার উপর। তাই বিচারক বা বিচার ব্যবস্থা যা বিধান দেয়, তা সব সময় সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত হবেই - এভাবে নিশ্চিত করা যায় না। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনো একটি পক্ষ যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে ন্যায় বিচার পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, বিচার ব্যবস্থা যদি বিচারকের

ধর্ম কী?

ধর্ম কী? না খেয়ে থাকাটা ধর্ম নয়, না খেতে পাওয়া মানুষের জন্য খেয়ে পরে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মতো সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় অবদান রাখাটাই আপনার ধর্ম। আপনি যদি মানব সভ্যতার ইতিহাসটা ধারাবাহিক ভাবে পড়েন এবং মূল ধর্মগ্রন্থটি যুক্তিবাদী মন নিয়ে বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করেন, তবে আপনারও এই উপলব্ধিই হবে। আমার উপলব্ধি, আপনি স্বীকার করুন আর না করুন, এটাই সত্য। না খেয়ে থাকাটা যদি আপনার শরীর স্বাস্থের পক্ষে প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তবে তা আপনার কাছে নিশ্চয় ধর্ম। কিন্তু যার তিন বেলা পেট ভরে খাওয়া হয় না, সারা বছর অপুষ্টিতে ভোগেন, সুচিকিৎসার সুযোগ নেই, তার কাছে এটা ধর্ম নয়। শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে জগৎ ও জীবনের চরম সত্য উপলব্ধি করা এবং তার ওপর ভিত্তি করে বেঁচে থাকার উপায় অন্বেষণ হল তার কাছে তার প্রধান ধর্ম। আর আপনার ধর্ম তাকে সেই অর্জনে সহায়তা করা। সৃষ্টিকর্তা আছেন কি নেই তা আমরা জানিনা। যা জানি বলে মানি তা আসলে একটা বিশ্বাস। এই বিশ্বাস সত্য হতে পারে, অসত্যও হতে পারে। সত্য অসত্য যাই হোক না কেন, যুক্তি বুদ্ধির আলোকে আমরা দুটো বক্তব্যকেই সত্য কিম্বা অসত্য বলে সিদ্ধান্ত করতে পারি। কারণ, এই   এত
স্কুল-কলেজের পাঠ্য থেকে প্রকৃত ইতিহাস জানা যায়? স্কুল-কলেজের ইতিহাস বইতে আপনি যা পড়েন তা প্রকৃত ইতিহাস নয়, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পাদিত ইতিহাস মাত্র। এর বেশ কিছু অংশ থাকে বিকৃত। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে নিজের কন্ট্রোলে রাখার জন্য তারা এটা করে থাকেন। তাই এই ইতিহাস পড়ে আপনি দাবি করতে পারেন না যে আপনি প্রকৃত ইতিহাসটা জানেন।

গরিব বা বড়লোক হওয়ার প্রকৃত কারণ

গরিব বা বড়লোক হওয়ার প্রকৃত কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা হচ্ছে ঈশ্বর (আল্লাহ বা ভগবান) আপনাকে গরিব করেছেন। আর সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে কিছু ধান্দাবাজ ও ক্ষমতাধর গোষ্ঠী আপনাকে গরিব করে রেখেছে।  

কথা বলার নিয়ম ও তার কারণ

 কথা বলার নিয়ম ও তার কারণ শোনো না মেপে, কিন্তু বলো মেপে।  

ফেসবুক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা

 ফেসবুক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা Facebook and freedom of expression এটা নতুন কিছু নয়। যারা যে দেশে ক্ষমতায় থাকে, ফেসবুক তাদেরকে মতামতকে অগ্রাধিকার দেয়। এরা ব্যবসা বোঝে, মানুষের ভালো নয়। Ali Hossain তাহলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কোথায়? Mahabbat Hossain যেখানকার সরকার চায় মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, সেখানে থাকে। যেখানে চায় না, সেখানে থাকে না। আর সরকারের চাওয়া না চাওয়া নিয়ন্ত্রিত হয় সেদেশের মানুষের চেতনার দ্বারা। যে দেশের মানুষ যত গণতান্ত্রিক চেতনায় ও মানবতাবাদের উদ্বুদ্ধ হয় সেই দেশের শাসক ততো বেশি গণতান্ত্রিক ও মানবিক হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের জনগণ কি এই চেতনার অধিকারী হয়েছেন? মানবতাবাদের পাঠ তাদের চেতনায় ঢুকেছে যথাযথভাবে? জাত পাত আর ধর্মান্ধতা যাদের নিত্য দিনের সঙ্গী, তাদের মধ্যে এই চেতনা কিভাবে হয় জন্মাবে? সুতরাং যা হওয়ার তাই হচ্ছে। আমাদের করণীয় কী? একটু পরে মতামত জানাচ্ছি। বলে রাখা ভালো, ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় কোন দেশে এই মিডিয়াকে একটিভ রাখতে তারা যে কর্মচারী নিয়োগ করে থাকে, তাদের দ্বারা। কারণ ফেসবুকের কর্ণধার নিজে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ একা

অপরাধ যখন উৎসব

 অপরাধ ও উৎসব সরকার যখন পক্ষে থাকে, অপরাধও তখন উৎসবের চেহারা নেয়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে