সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

২০২৪ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ আমরা সবাই স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করি। একটা সময় পাশ করে বের হই। প্রমাণ হিসেবে সঙ্গে থাকে একগুচ্ছ সার্টিফিকেট। শিক্ষা শেষে যদি নিজেকে প্রশ্ন করি, কী পেলাম? সহজ উত্তর হল, শিক্ষা। এই শিক্ষাটা , আসলে একটা খোসাওয়ালা রসুনের মত। বাইরে থেকে দেখলে পুরোটাই রসুন এবং রসুনের মত গুণমান সম্পন্ন বলে মনে হয়। প্রশ্ন হল, আসলেই কি তা-ই? উত্তর হল, ‘না’। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আসলে একটা খোসাওয়ালা আস্ত রসুনের মতো, যার সাথে কিছু অবাঞ্চিত এবং গুরুত্বহীন অংশ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ এর পুরোটাই রসুন নয়। রসুনের প্রকৃত সত্তায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের তাকে বাড়িতে এনে সযত্নে একটা একটা করে তার খোসাগুলো ছাড়িয়ে ফেলতে হয়। অবাঞ্চিত অংশগুলো সাবধানে বাদ দিতে হয়। তারপর একটা সময় আমরা তার প্রকৃত-সত্তার সাথে পরিচিত হতে পারি। ঠিক তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে প্রকৃত শিক্ষায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের রসুনের খোসা ছাড়ানোর মত করে তার সংগে জড়িয়ে থাকা অসার বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলতে হয়। যুক্তি, বুদ্ধি এবং আরও আরও তথ্য সহযোগে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার সহজ অর্থ হল, প্রাতিষ...

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়?

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়? ব্যর্থতার ভার বইতে না পারার কারণে মানুষ মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নিজের ব্যর্থতার দায় ঝেড়ে ফেলে, সহজেই মনের বাসনা পূরণের আশায় ঘৃণা ও বিদ্বেষের পথ বেছে নেয়। কারণ, হতাশাকে কাটিয়ে সফল হওয়ার নৈতিক ও যৌক্তিক পথ যারা খুঁজে পায় না, তারাই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করে। অবলীলায় এরা মানুষ হয়েও আর একজন মানুষকে হত্যা করে বসে। অশিক্ষিত ও অযোগ্য হতাশা গ্রস্থ নেতাদের কাছে এরাই দাবার বড়ে হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। সুতরাং যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ায় এবং সমর্থন করে তারা আসলেই হতাশাগ্রস্থ মানুষ। এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পারে তারাই প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ, তিনি লেখাপড়া জানুন আর না জানুন। সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, তারা ইতিবাচক ভাবনার চেয়ে নেতিবাচক ভাবনার দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়, আন্দোলিত হয়। এদেরকে সহজেই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভাষণের দ্বারা সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঘৃণা এবং বিদ্বেষের চর্চা যারা করে, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যারা এই চর্চাকে কাজে লাগায়, তাদের অনুসারীরাদের অধিকাংশই বেকার ও হতাশাগ্রস্থ যুব সম্প্রদায়ের ...

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে জগত ও জীবন সম্পর্কে সঠিক (পরম) জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে তোলে। অজ্ঞানতা হিংস্র করে তোলে। তাই প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ কখনও সহিষ্ণুতার বিপক্ষে কথা বলতে পারেন না। Absolute knowledge about the world and life makes people tolerant. Ignorance makes violent. So a truly wise man can never speak against tolerance.

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ?

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ? টিভি এবং সোস্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখা যাচ্ছে না। ঘৃণা আর বিদ্বেষ ভাষণে ছেয়ে গেছে এইসব প্ল্যাটফর্ম। সাম্প্রতিক কালে (৫ আগষ্ট ২০২৪) বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। গণ আন্দোলনের জেরে সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতায় বদল ঘটেছে। তাকে কেন্দ্র করেই এই পরিস্থিতি।  সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা — আমরা, যারা সাধারণ মানুষ, তাদের পক্ষে তা জানা বা বোঝা খুবই কঠিন। সত্য মিথ্যা যাই হোক, তা জানা, বোঝা এবং তা নিবারণের ক্ষমতা আছে একমাত্র রাষ্টের হাতে। সেদেশের সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা ব্যর্থ হলে তার প্রতিবাদ বা চাপ সৃষ্টি করার রীতি ও নীতি দুইই আছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও তা প্রয়োগের নির্দিষ্ট পথও আছে। প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় সরকার সেই পথ অবলম্বন করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভিযুক্ত দেশের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দাবি করতে পারি সেই চাপ তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে। কিন্ত আমরা যেটা পারিনা, তা হল এই বিষয় নিয়ে এমনভাবে ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র ভারত হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র। ভারত হাসলে এই উপমহাদেশ হাসবে, কাঁদলে কাঁদবে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকলে, তারাও ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য হবে। উপমহাদেশের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস ও অবস্থা সেকথাই প্রমাণ করছে। সমগ্র উপমহাদেশকে এই সত্য স্মরণ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সুযোগে যদি ভারত সহ কোন একটি দেশের সরকার অন্য কোন দেশকে কাঁদাতে চায়, তার প্রভাব অনিবার্যভাবে সেই দেশেও যেমন পড়বে, তেমনই ভারতেও পড়বে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে, এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই হবে নিয়ন্ত্রক এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো যে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতাকে মোটামুটি গুরুত্ব দিত এবং তার পরিচর্যা করত। আজ ভারত সরকার সেই অবস্থায় নেই। তাই চারপাশটায় টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  ----------xx----------

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য : মিথ্যার সে শক্তি নেই, যে সত্যকে ঢেকে দেবে। কারণ, মিথ্যার ভিত্তি হল অর্ধ-সত্য কিম্বা অপ-তথ্য, যা চালাকির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সত্যের ভিত্তি হল এক সাধারণ ন্যায়, নীতি আর বাস্তবতা, যা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়। সুতরাং মিথ্যার সাথে সত্যকে গুলিয়ে দেওয়া, কিম্বা সত্যকে মিথ্যা সাহায্যে স্থায়ী ভাবে ঢেকে ফেলা বা মুছে ফেলা যায় না।

পরিবার ভেঙে যায় কেন?

পরিবার ভেঙে যায় কেন? একটা পরিবার ভেঙে যায় কখন? যখন পরিবারের সদস্যরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারায়। কারণ, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই হল সেই বন্ধন, যা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রধান লক্ষণ হল, কোন কিছু গোপন করা। পরিবারের একজন সদস্য যখন আরেকজন সদস্যকে কোন কিছু গোপন করে, তখন জন্ম নেয় সন্দেহ। ‘ সন্দেহ ’ হল সেই ‘ স্টেম সেল ’ বা কোষ যা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরস্পরের প্রতি বিদ্যমান ‘ বিশ্বাস ’ নামক ‘ স্টেম কোষকে ’ নষ্ট করে দেয়। ফলে বিশ্বাস বাড়ার পরিবর্তে কমতে থাকে এবং সন্দেহ কমার পরিবর্তে বাড়তে থাকে। এটা হল একটা পরিবারকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিকল্পহীন আদর্শ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি যখন কোনো প্রয়োজন পরিবারে জন্ম নেয়, সে পরিবার ভেঙে যেতে বাধ্য। গোপন করার মুলে রয়েছে লোভ ও কাউকে বঞ্চিত করে, অন্ধকারে রেখে, অধিক লাভবান হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা। সুতরাং একটা পরিবারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর একমাত্র উপায় হল লোভ সংবরণ করা এবং অপরকে বঞ্চিত করে নিজেকে আরও লাভবান করে তোলার ইচ্ছাকে দমন করা। একটা করতে পারলেই পরিবারের ভাঙ্গন রোধ করা যায় এবং পরিবার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃ...

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি বাংলাদেশ ভারতের এমন এক প্রতিবেশী, যে ভারত যেভাবে পথ দেখাবে, তারাও সেভাবেই চলবে। চলছেও তাই। আরও একটু পরিষ্কার করে বললে সেটা হবে এমন, ভারতের শাসক দল যে নীতিতে চলবে, বাংলাদেশেও সেই নীতি মাথাচাড়া দেবে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রবণতা।  ভারতে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ যখন শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ছিল, সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশ ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছে। এবং সেখানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল। সুতরাং এখানে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা শক্তিশালী হলে, ওখানেও তা হবে। হতে বাধ্য। এখানে ধর্মান্ধতা বাড়লে, ওখানেও বাড়বে। এখানে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে ওখানেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে। বড়দের দেখেই তো ছোটরা শেখে। তাই না? তাই দু দেশের সরকারেরই গুরুত্ব সহকারে সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির এবং নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। এক জায়গায় তা ক্ষুন্ন হলে অন্য জায়গায় তার প্রতিক্রিয়া আসতে বাধ্য। এটা উভয় সরকারকে বুঝতে হবে।

দীর্ঘ জীবন লাভের উপায়

দীর্ঘ জীবন লাভের উপায় দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য প্রয়োজন দুটো জিনিস। একটা হল জীবনভর কঠোর পরিশ্রম। দ্বিতীয়টা হল পরিমিত ও সময় মত প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ। আমার ক্ষেত্রে প্রথমটা ঠিকঠাক হয়েছে। এখনও ঠিকঠাক আছে। কিন্তু দ্বিতীয়টার  ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ঘাটতি রয়ে গেছে। আজ, তা পূরণ করার সামর্থ্য থাকলেও, সম্ভব নয়। কারণ, সব কিছু খওয়ার অভ্যাসটাই তৈরি হয়নি। এই বয়েসে তা নতুন করে তৈরি করা সম্ভবও নয়। তাই বহুদিন বেঁচে থাকার বাসনা আমার নেই। তবে, চেষ্টা করি যে ক’দিন বাঁচি, যেন ভালভাবে, আনন্দের সঙ্গে বাঁচি। মানুষের জন্য, মানুষের সাথে বাঁচি। তার জন্য প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আধুনিক সাস্থ্যবিজ্ঞান বলছে, শুধু শরীর ভালো রাখলেই হবে না। মনকেও ভালো রাখতে হবে। আর ভোগবাদী সমাজ ও অর্থব্যবস্থায় মন ভালো রাখা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, নিজের মন শুধুমাত্র নিজের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রভাব থাকে পরিবারের খুব কাছের মানুষগুলোর। এই কাছের মানুষগুলোই হল একজন মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণের একমাত্র অবলম্বন। তাই তারা মুখ ফেরালে, মনের ওপর গভীর চাপ তৈরি হয়। মানুষ হতাশ...

ধর্ম বোঝার উপায়

ধর্ম বোঝার উপায় ধর্মকে বুঝতে হলে কেবল ধার্মিক হলেই হবে না, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াও জরুরী। বিশেষভাবে, যুক্তিবিজ্ঞান জানা ও বোঝা জরুরী। না হলে, ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার —এক কথায় অধর্ম আপনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে।

নারীবাদ কী? নারীবাদী হওয়া কী যৌক্তিক?

নারীবাদ কী? নারীবাদী হওয়া কী যৌক্তিক? নারীবাদ, কোন বিশ্বাস নয়, এটা একটা ধারণা বা মতবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, একজন নারী একজন মানুষ হিসাবে ‘পূর্ণ মানবিক অধিকার ও মর্যাদা’ দাবি করে। অর্থাৎ একজন নারী তার অর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভেদে সমতার দাবি করে। এই মতবাদের ওপর ভিত্তি করে প্রথমে ইউরোপে এবং ক্রমশ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা ‘নারী আন্দোলন’ নামে পরিচিতি। মূলত আধুনিক ইউরোপীয় চিন্তাধারা থেকে এই আন্দোলনের উৎপত্তি। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে রোমান রাষ্ট্রনায়ক মার্কাস পোরসিয়াস ক্যাটো নারীদের ব্যয়বহুল পণ্য ব্যবহার সীমিত করার জন্য একটি আইন করার চেষ্টা করলে, রোমান মহিলারা ক্যাপিটোলিন হিল (রাষ্টনেতার দূর্গ) অবরোধ করেন। এই ঘটনায় ক্যাটো আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এবং কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “যদি তারা আপনার সমান হতে শুরু করে, তারা আপনার ঊর্ধ্বতন হয়ে উঠবে।” (As soon as they begin to be your equals, they will have become your superiors.” — Encyclopædia Britannica ) ১৪ শতকের শেষ এবং ১৫ শতকের প্রথম দিকে ফ্রান্সে, প্রথম নারীবাদী দার্শনিক, ক্রিস্টি...

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য?

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য? শিশুমঙ্গল (রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান) থেকে নিজের কান দেখিয়ে ফিরছি। ওষুধ কিনতে হবে, তাই অটো থেকে নেমে গেলাম। ঢুকলাম ওষুধের দোকানে...। ওষুধও নেওয়া হল। এবার দাম মেটানোর পালা। এমন সময় করিম ভাই ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ভদ্রলোক। করিম ভাই আমাকে দেখেই অবাক হয়ে গেলেন। জিজ্ঞাস করলেন, আপনি এখানে? আমি বললাম, ‘হু...।’ ওষুধ নিচ্ছি— বলার সুযোগ দিলেন না। জিজ্ঞেস করলেন, অফিস জাননি? আমি বললাম, ছুটি তো! করিম ভাই দ্বিতীয়বার অবাক হলেন! তারপর, যেন সম্বিত ফিরে পেলেন। বললেন, ‘ওহ! আপনি তো আবার মাস্টারমশাই। মাস্টার মানেই ছুটি।’ সঙ্গে এক গাল (দাঁত বের করে) হাসি। হাসির মধ্যে যে উপহাসটা ছিল, সেটা ওনার সঙ্গে থাকা ভদ্রলোক, সম্ভবত আমার আগেই বুঝেছেন। তাই আমার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগেই বললেন, এভাবে বলবেন না। শিক্ষকতা অত্যন্ত সম্মানের পেশা এবং শিক্ষক সমাজ সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য একমাত্র সাম্প্রদায়। কথাগুলো বলার সাথে সাথে তিনি অভিনয় করে দেখালেন, ওনার শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হলে, এই বয়সেও কীভাবে তাঁদের প্রণাম করেন। ভদ্রলোকের উল্টো দিকে বসে আছেন আর একজন ভদ্রলোক (সম্ভবত, ওষুধের ...

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ শান্তির পক্ষে, ভালোবাসার পক্ষে। তবুও পৃথিবীতে শান্তি ও ভালোবাসা ‘বড়ই বাড়ন্ত’। কারণ, সিংহভাগ রাজনীতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় আসার জন্য এ-দুটোকে জিম্মি করে আর হিংসা ও ঘৃণার বেসাতি করে।

ধর্ম চেনার উপায়

ধর্ম চেনার উপায় হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিকদের দেখে যেমন হিন্দু ধর্মকে বোঝা যায় না, তেমনি ইসলামিক রাষ্ট্রবাদীদের কার্যকলাপ দেখে ইসলাম ধর্মকে চেনা যাবে না।

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই কেউ যদি কিছু করে এবং তা যদি ভুল হয়, মনে রাখতে হবে, আমরা যদি সেটাই করি, তবে সেটাও সমান ভুল। আমাদের সমস্যা হল, অন্যের ভুলকে ভুল বলার সময়, নিজের করা ভুলকে ভুলে যাই এবং সগর্বে সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি এই বলে যে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত --------xx-------

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী?

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী? প্রিয় হওয়ার উপায় কী? আমরা হর-হামেশাই বলে থাকি ‘সে আমার প্রিয়’ বা ‘আমি তার খুব প্রিয় মানুষ’। কিংবা বলে থাকি, ও আমার ভালবাসার মানুষ। কেউ কেউ গর্ব করে বর্ননা করেন, কারও কাছে কীভাবে তিনি একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন তার দারুণ কাহিনি। প্রশ্ন হল, একজন মানুষ কীভাবে আরেকজন মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন? এই প্রশ্নটার একটি যথাযথ উত্তর দীর্ঘদিন ধরে খুঁজেছি। কারণ, আমি কখনও কারও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হয়নি। বলা ভালো, তেমন গুণের অধিকারী বলে কেউ আমাকে এখনও প্রত্যায়িত করেনি। কেউ করলেও তার মধ্যে যে কতটা নিঃশর্ত আন্তরিকতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমি এখনও সংশয়াতীত হতে পারিনি। অথচ প্রিয় মানুষ বা ভালো মানুষ হয়ে ওঠার বাসনা, অন্য অনেকের মত, আমার মধ্যেও আছে। ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। বিশেষ করে মায়ের কাছে প্রিয় সন্তান হয়ে ওঠার অদম্য বাসনা আমার এখনও পূরণ হয়নি। ফলে সব সময় এই বিষয়টা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। ব্যর্থতার চাপে। সঙ্গে চেষ্টা করি, প্রত্যেক মানুষের কাছে, বিশেষ করে আমার মায়ের কাছে, তার একজন প্রিয় সন্তান হিসেবে নিজেকে তুলে ধর...

বড়ো হওয়ার বয়স কত?

বড়ো হওয়ার বয়স কত? বড়ো হওয়ার কোন শেষ নেই। তা মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। শারীরিক ও বৌদ্ধিক —কোনদিক দিয়েই কেউ দাবি করতে পারে না, বড়ো হওয়ার শেষ সীমা সে অতিক্রম করেছে। একজন মানুষ প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্ত বয়সে এবং বুদ্ধিতে বাড়তে থাকে।

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক কিভাবে পড়াশোনা করা উচিত এবং কেন পড়াশোনা যদি বুঝে বুঝে না করা হয়, তবে তা মানুষের জীবনে কোন কাজে আসে না। কারণ, পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষিত হওয়া। এবং শিক্ষিত হওয়ার একমাত্র উপায় হল পড়াশোনা করা। আর এই পড়াশোনা যখন বুঝে বুঝে করা হয় তখনই বেরিয়ে আসে জগৎ ও জীবনের গভীর রহস্য ও সত্য। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এই সত্য উপলব্ধি করার অর্থই হলো শিক্ষা। আপনি শিক্ষিত মানে এই সত্য আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সেই উপলব্ধি কি আপনি ব্যবহারিক বা তাত্ত্বিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন, এবং তার ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারেন। সেই সঙ্গে সেই সত্যই যে আসল সত্য তা যাচাইও করতে পারেন। এই সামগ্রিক সক্ষমতার নামই হল শিক্ষা।  এই শিক্ষাই মানুষের জীবনে কাজে লাগে। নিজের জীবন এবং সমাজকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এই শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার। এটাই শিক্ষার কাজ । বুঝে বুঝে না পড়লে, এই হাতিয়ার আপনি স্পর্শ করতে পারবেন না। জোর করে স্পর্শ করার চেষ্টা করলে, তা অনর্থক, কখনো কখনো ননর্থক ফলাফল বয়ে আনবে। যা জীবনকে সহজ করার পরিবর্তে আরো জটিল আবর্তের মধ্যে ঠেলে দেবে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে : পড়া...

মৌলবাদী কারা?

মৌলবাদী কারা? মৌলবাদের কোন দেশ হয় না সাথি Goutam Ra y আমার কাছে মানুষের একটিই পরিচয় আর তা হল, সে শুধুমাত্র মানুষ। সেখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান... —এসবের কিছুই নেই। ধর্মীয় পরিচয় ধুরন্ধর রাজনীতিকদের (যাদের সিংহভাগ স্বৈরশাসক) তৈরি করা ও তাদের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া একটি কৃত্রিম সত্তা। যতদিন না আপনি নিজে এবং পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এই চাপিয়ে দেওয়া পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করতে পারবেন এবং এই পরিচয়ের বাইরে মনুষ্যত্বের সার্বিক পরিচয়ের আঙিনায় জড়ো করতে পারবেন, ততদিন মুক্তি নেই। তাই মানুষ আর মানবতার পক্ষে আমার কণ্ঠ কখনও বন্ধ হয় না। সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক। আমি আমার লেখার মাধ্যমে তা প্রকাশও করি। সময় পেলে। সবকিছু আমি ফেসবুকে লিখিনা। আমার নিজস্ব ব্লগ আছে। চাইলে সেখানে উঁকি (https://alirkotha.blogspot.com) দিতে পারেন। সমস্যা কোথায় জানেন? এই চেষ্টা যুগ যুগ ধরে কিছু মানুষ করে চলেছেন। কিন্তু কেউই সম্পূর্ণ সফল হতে পারেননি। এই না পারার পিছনেও রয়েছে পরবর্তীকালের রাজনৈতিকদের ক্ষমতালিপ্সা। এটা করতে গিয়েই যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন, হযরত মুহাম্মদ বিষ প্রয়োগের শিকার হয়েছেন, শ্রী চৈতন...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে