শিক্ষা ও সততার সম্পর্ক শিক্ষার গুরুত্ব আপনি যত শিক্ষিত হয়ে উঠবেন, ততই আপনি সৎ হয়ে উঠবেন; হয়ে উঠবেন মানবতাবাদী। ঠিক এর উল্টোটার মতই। অর্থাৎ আপনার মধ্যে সততা এবং মানবতাবোধ যত কম, আপনি ততই অশিক্ষিত। হ্যাঁ, লেখাপড়া জানা ডিগ্রিধারী অশিক্ষিত। কারণ, শিক্ষার সঙ্গে সততার সম্পর্ক ইতিবাচক এবং সমানুপাতিক। ঠিক তেমনি, শিক্ষার সঙ্গে অসততার সম্পর্ক নেতিবাচক এবং ব্যস্তানুপাতিক। কেন? আসলে জগত এবং জীবনের রহস্য যত উদঘাটিত হবে আপনার বা আমার কাছে, আমরা ততই দেখতে পাবো আমরা সবাই পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। কারণ, প্রকৃতি বা ঈশ্বর যেভাবেই আপনি ভাবুন, দেখবেন তিনি এই জগৎ ও জীবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য একটা বিকল্পহীন সূত্র ব্যবহার করেছেন। সেই সূত্রের মূল কথা হল, প্রত্যেকটি জীব পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। উদ্ভিদ জগৎ ভিন্ন যেমন প্রাণীজগৎ অচল, প্রাণীজগৎ ভিন্ন উদ্ভিদজগৎও ঠিক ততটাই অচল। এই যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার নিয়ম, তা অর্জনই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জন এবং উপলব্ধি করার জন্যই আমরা লেখাপড়া করি, স্কুল-কলেজে যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি না। প্রকৃত শিক্ষা অর্জন আমাদ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...