ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অমর্ত্য সেনের মতামত ও আলী হোসেন: শ্রদ্ধেয় অমর্ত্য সেনের কথার সঙ্গে আমার মতামতের বোধহয় কোনো পার্থক্য নেই। আমি যে শিক্ষিত মানুষদের কথা সেদিন বলেছিলাম , তা এই মতের অনুসারীদের কথাই, যা গতকাল অমর্ত্য সেন বললেন। অমর্ত্য সেন সেই শিক্ষিত মানুষদেরই প্রতিনিধি ও পথপ্রদর্শক। বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তুলনায় বাম এবং অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির দায়বদ্ধতা কোনও অংশেই কম হওয়া উচিত নয়। — অমর্ত্য সেন আসুন দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই নিজেদের শুধরে নেই। সাম্প্রদায়িক দল ও মতকে উপেক্ষা করি। মনে রাখি, জাতি কিংবা ধর্মবিদ্বেষ কখনই কোনো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। আসুন সত্য ও নিরপেক্ষ ইতিহাসের পাতায় নজর রাখি আর জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটা সুন্দর মানব সমাজ গড়ে তোলার জন্য হাতে হাত মেলাই। প্রসঙ্গ দেখুন এখানে এবং এখানে
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...