Goutam Ray আমার কবিতাটা বোধহয় ভোট নিয়ে ছিল না। চাইলে আরেকবার পড়েও নিতে পারেন। ছিল সত্যিকারের মানবিক মূল্যবোধ আছে এমন মানুষ পাওয়ার আর্তি। আপনি সেদিকটা না গিয়ে অন্যদিকে কেন গেলেন বুঝতে পারিনি। তবু কিছু কথা বললেন বলে, আমিও কিছু কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করলাম। এবারও তাই করছি। কারণ ইতিমধ্যেই আপনার আলোচনা আমার কবিতার বিষয় কে ছাড়িয়ে অন্য ময়দানে এসে পৌঁছেছে। ১) সমাজে সচেতন আর অচেতন বলে দুটো শব্দ প্রচলিত আছে। প্রচুর মানুষ আছেন, যারা এই দুটো শব্দের দ্বারা অলংকৃত হচ্ছেন। পৃথিবীর সব মানুষই এর কোন না কোন একটা পর্যায়ের মধ্যে পড়েন। আমি কোন পর্যায়ের সেটা আমি জানলেও তার কোন মূল্য থাকে না যতক্ষণ না সচেতন মানুষ এই মূল্যকে স্বীকৃতি দেয়। তাই আমি কখনোই দাবী করিনি, আমার কবিতায়, যে আমি সচেতন এবং অন্যরা অচেতন। এটুকু চেতনা আমার আছে, যে নিজের ঢাক নিজে পেটালেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণিত হয় না। নিজের কাজের মধ্য দিয়েই তার প্রকাশ ঘটে, তারপর মানুষই তার স্বীকৃতি দেয়। যাঁরা স্বীকৃতি দেয়, তাদের নিশ্চয়ই সেই স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা এবং অধিকার - দুটোই আছে। তাই সচেতন মানুষের উপরেই আমার স্বীকৃতি নির্ভর করে। তবে, ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...