সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকার ও পুঁজিপতিদের ভূমিকা

Goutam Ray আমার কবিতাটা বোধহয় ভোট নিয়ে ছিল না। চাইলে আরেকবার পড়েও নিতে পারেন। ছিল সত্যিকারের মানবিক মূল্যবোধ আছে এমন মানুষ পাওয়ার আর্তি। আপনি সেদিকটা না গিয়ে অন্যদিকে কেন গেলেন বুঝতে পারিনি।

তবু কিছু কথা বললেন বলে, আমিও কিছু কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করলাম। এবারও তাই করছি। কারণ ইতিমধ্যেই আপনার আলোচনা আমার কবিতার বিষয় কে ছাড়িয়ে অন্য ময়দানে এসে পৌঁছেছে।

১) সমাজে সচেতন আর অচেতন বলে দুটো শব্দ প্রচলিত আছে। প্রচুর মানুষ আছেন, যারা এই দুটো শব্দের দ্বারা অলংকৃত হচ্ছেন। পৃথিবীর সব মানুষই এর কোন না কোন একটা পর্যায়ের মধ্যে পড়েন। আমি কোন পর্যায়ের সেটা আমি জানলেও তার কোন মূল্য থাকে না যতক্ষণ না সচেতন মানুষ এই মূল্যকে স্বীকৃতি দেয়। তাই আমি কখনোই দাবী করিনি, আমার কবিতায়, যে আমি সচেতন এবং অন্যরা অচেতন।

এটুকু চেতনা আমার আছে, যে নিজের ঢাক নিজে পেটালেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণিত হয় না। নিজের কাজের মধ্য দিয়েই তার প্রকাশ ঘটে, তারপর মানুষই তার স্বীকৃতি দেয়। যাঁরা স্বীকৃতি দেয়, তাদের নিশ্চয়ই সেই স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা এবং অধিকার - দুটোই আছে। তাই সচেতন মানুষের উপরেই আমার স্বীকৃতি নির্ভর করে।

তবে, আমার মধ্যে সব চেতনা আছে এ দাবী আমি নিশ্চয়ই করিনা। কিন্তু সচেতন হওয়ার জন্য যে চেতনাটুকু দরকার তা আমার মধ্যে আছে বলে আমি দাবী করি। আর সেই চেতনা টুকুর কারণেই আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে চেয়েছি, যে তুমি যদি সত্যিই থেকে থাকো, তাহলে আমাদেরকে একজন সত্তিকারের মানুষ করে গড়ে তোল। সত্যিকারের মানুষ অর্থাৎ সচেতন মানুষ হওয়ার মন্ত্র চাওয়াই আমার এই কবিতার বিষয়বস্তু। ঈশ্বর যদি সেই কাজটা করেন তাহলে অন্য মানুষের সাথে আমিও নিশ্চয়ই তার ভাগীদার হব? নয় কি? এটাই আমার চাওয়া। জানিনা আপনাকে বোঝাতে পারলাম কিনা। তবে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি।

আর বাম সম্পর্কে আপনার একটা ফোবিয়া আছে মনে হয়। জানিনা তার কারণ কী? কিছু মানুষ সবসময়ই এমন থাকে, যারা নিজেদেরকে ভালো মানুষ বলে জাহির করে, আর অন্যদেরকে খারাপ বলে। আপনি কীভাবে সেটাকে বাম আমলের সঙ্গে জুড়ে দিলেন মাথায় ঢুকলো না। তার মানে কি এটা আমাকে বুঝতে বলছেন যে, বাম আমলের আগে এবং বাম আমলের পরে এই ধরনের মানষ ছিলনা বা এখন নেই? এ ধরনের মানুষ পৃথিবীর আদি থেকে ছিল এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এইটুকু বোঝার জন্য আমার মনে হয় খুব বেশি পাণ্ডিত্য লাগেনা।

বিদ্যাসাগরের কথা বলছেন? হ্যাঁ বিদ্যাসাগর যে পরিশ্রম করে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে শিক্ষিত এবং সচেতন করে তুলেছিলেন সেটা অনুকরণযোগ্য, অনুসরণযোগ্য বটে। কিন্তু সবাই সেটা যে পারবে তার গ্যারান্টিড আপনি কোথা থেকে পেলেন। বিদ্যাসাগরের সমসাময়িক কালে যেমন বিদ্যাসাগর  ব্যতিক্রমী, ঠিক তেমনই এখনো প্রচুর মানুষ আছেন যারা ব্যতিক্রমী। কঠোর দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন। কিন্তু সবাই কি বিদ্যাসাগর হতে পারেন? তখনো সবাই বিদ্যাসাগরের তুলল হতে পারেননি, এখনো পারবেন না। এগুলো ব্যতিক্রমী উদাহরণ। এগুলো দিয়ে সমগ্র মানুষকে বিচার করা যায় না। করলে সেটা অযৌক্তিক হয়।

আপনি প্রশ্ন তুলেছেন, 'আমার বুঝি কোনো দায়িত্ব নেই?' হ্যাঁ নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করার সামর্থ্য সবার আছে? না নেই। সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে বৈষম্য ভরা সমাজে সবাই সমান সুযোগ পায় না। পৃথিবীতে প্রথম যখন মানুষ এসেছিল, বা এখনো যারা আসছেন তারা কি লিখে নিয়ে আসছেন ঈশ্বরের কাছ থেকে, যে পৃথিবীর সম্পদের কিছুই তোমার থাকবে না, আর কিছু মানুষের অপরিমিত থাকবে? আমি-আপনি পেয়েছিলাম এধরনের কোন দলিল? না পাইনি। দেশের সম্পদ, পৃথিবীর সম্পদ জোরপূর্বক ( যুদ্ধ করে, পশু শক্তি ব্যবহার করে) কুক্ষিগত করেছে কিছু মানুষ। তাই একই পৃথিবীর মানুষ হওয়া সত্বেও এক ঈশ্বরের পৃথিবীতে কেউ অতিরিক্ত সম্পদের অধিকারী হয়েছে আর কেউ যুদ্ধে হেরে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

রাষ্ট্রনীতির দিক থেকে আজকের পৃথিবী যুদ্ধকে এড়িয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অধিকার বা ক্ষমতা লাভ করার চেষ্টা করছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার পর পরাজিত মানুষদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। কেউ প্রত্যক্ষভাবে টেক্স দিচ্ছেন আর কেউ অপ্রত্যক্ষভাবে টেক্স দিচ্ছেন? সবই যদি আমি করব, সব দায়িত্বই যদি আমাকে নিতে হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে কেন টেক্স দিতে হবে? রাষ্ট্র কেন যখন তখন আমার ভূ-সম্পত্তি অধিগ্রহণ করার ক্ষমতা নিয়ে রেখেছে?

আসলে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে যে শাসনব্যবস্থা চালু রয়েছে, তাকে বলা হয় জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের যেমন অধিকার আছে সবার কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করার, ঠিক তেমনই যাদের কাছ থেকে টেক্স নিচ্ছেন, তাদেরকেও কিছু সুবিধা দেওয়ার কর্তব্য আছে। এটাই সারা বিশ্বে প্রচলিত  ও স্বীকৃত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পয়লা নম্বর বৈশিষ্ট্য। তাই আমার সন্তানের দায়িত্ব প্রথম আমার হলেও সরকারের দায়িত্বও সমানভাবে আছে। কারণ, দেশের প্রত্যেকটা মানুষ সরকারকে ট্যাক্স দেয়। তাই সরকারের কাছ থেকে প্রতিদান পাওয়াটা তাদের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিষয়ে সাহায্য করার বিষয়টি। যে দেশের 80 থেকে 85 শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের এবং দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে, তাদের সরকারি ট্যাক্সের পয়সায় সুবিধা পাওয়ার অধিকারও আছে।

হ্যাঁ, সরকার স্কুল কলেজ শিক্ষক দিচ্ছেন। একথা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু যা দিচ্ছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় ভয়ঙ্কর রকমের কম। তাই সমস্ত মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা এবং সচেতন করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল, কলেজ, বইপত্র প্রয়োজনের তুলনায় যদি এত কম হয়, তাহলে সেখানে তো ঘাটতি থাকবেই। আপনি সচেতন মানুষ, খোঁজ নিলেই দেখতে পাবেন যে ভারত সরকার শিক্ষাখাতে কত অর্থ ব্যয় করেন। তাই যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।

গরিব মানুষ সবার আগে অন্নসংস্থানের বিষয়ে নজর দিতে বাধ্য হয়। ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর পেট চালানোর জন্য, দু'মুঠো নুন ভাত খাওয়ার জন্য, বাধ্য হচ্ছেন সন্তানদের শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করাতে - কীভাবে তারা সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারবে? স্বাভাবিকভাবেই স্কুল ফাঁকা যায়।

শহরে বাস করেন। সোনার চামচ মুখে দিয়ে না জন্মালেও দারিদ্রতা হয়তো আপনাকে ছুঁয়ে যায় নি কোনোদিন, তাই সারা ভারতের দরিদ্র মানুষের জীবন যন্ত্রণা আপনি উপলব্ধি করতে পারছেন না। এই গরীব মানুষগুলোকে সচেতন করে তুলতে গেলে সবার আগে দরকার অন্নসংস্থানের এবং তারপর শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া সচেতন হওয়া সম্ভব নয়। আর এই শিক্ষা এবং চেতনা আসলেই কেবল কোন মানুষ আর দুইয়ের বেশি সন্তানের জন্ম দেবে না। আপনি দেন না, আমিও দেইনা। কেন দিই না? কারণ, আমরা শিক্ষিত এবং সচেতন।

গ্রাম অঞ্চলে যান, যেখানে শিক্ষার আলো ঢোকে নি। যেখানে স্কুল-কলেজের অপ্রতুলতা আছে, পড়াশোনা করার মত, বা করানোর খরচ তাদের নেই, সেখানেই গন্ডাগন্ডা সন্তানের জন্ম হচ্ছে। তারা কেন জন্ম দেয় জানেন? কখনো ভেবে দেখেছেন । ভাবলে একথা আপনি বলতে পারতেন না।

একজন গরীব মানুষ, সে যে ধর্মেরই মানুষ হোক না কেন, তার যদি অর্থের এবং শিক্ষার অভাব থাকে তাহলে সে যে পরিকল্পনা করে তার মূল কথা হচ্ছে এমন :
১) যত সন্তান ততো বেশি ইনকাম। পেট ভরে দুটো খেতে পারবে।
২) যত বেশি সন্তান, ততবেশি বেশি ভোট। নেতারা গুরুত্ব দেবে, সুবিধা পাবে। আর ততবেশি লাঠি, যা তাদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করবে। এই ভাবনা থেকে বের করে আনার রাস্তা এবং সক্ষমতা একমাত্র সরকারের সহযোগিতায়ই সম্ভব।

আর চিন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের তুলনা যখন করলেন, অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলি, তারা যে ভয়ঙ্কর দারিদ্রতা অতিক্রম করে পৃথিবীর এক নম্বর হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং এ কাজে  সফল হওয়ার দিকে এগোচ্ছে, তা ঐ সমাজতান্ত্রিক ভাবনাচিন্তা কে বাস্তবায়িত করার মাধ্যমেই। পৃথিবীর বাকি দেশগুলো যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে প্রায়।

এ সমস্ত দেশের মানুষ সচেতন। তারা স্কুলে যাওয়াকে বাধ্যতামূলক করাকে যেমন গুরুত্ব দেয়, তেমনি ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মেশায় না, এবং ধর্মকে ব্যক্তিগত জীবন চর্চার বাইরে আনতে দেয় না। আর এটা হয় বলেই, তাদের দেশগুলো তরতর করে এগোচ্ছে এবং পৃথিবীর এক নম্বর হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর আমরা দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছিনা।

যে গণতন্ত্র পয়সাওয়ালারা কিনে নিতে পারে সে গণতন্ত্র আর যাই হোক সত্যিকারের গণতন্ত্র নয়।

ভারতের চেয়ে জনসংখ্যা চিনের অনেক বেশি। আমাদের থেকে দু বছর পরে তারা স্বাধীনতা লাভ করেছে । তারা এখন এক নম্বরে জায়গা নেয়ার জন্য দৌড় শুরু করেছে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে। আর আমরা জনসংখ্যার দোহাই দিয়ে দেশটাকে পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি। প্রকৃত উন্নয়ন তখনই হয়, যখন দেশের সরকার এবং দেশেরপুঁজিপতিরা পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিল্পের উন্নয়ন যজ্ঞে প্রতিযোগিতায় নামে। উদাহরণ চান? চিন, জাপান, ভিয়েতনামের ইতিহাস পড়ুন।

একথা যতদিন আমরা না বুঝবো, ততদিন বাচ্চা পোল্ট্রিতে নয়, কান্ট্রিতেই বাড়বে। আমাদের হা করে দেখে যাওয়া ছাড়া আর তাদের নামে নিন্দামন্দ গাওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকবেনা। আপনি লিখে রাখুন কথাটা।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে