সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলামী মৌলবাদ বনাম হিন্দু মৌলবাদ

M.K. Ray Chaudhury সমস্যাটা এখানেই। মানুষকে ভুল বোঝা। সহজকে সহজ করে নিতে পারেন না অনেকেই। এই প্রথম কাউকে দেখলাম যিনি ' ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন' কথার মধ্যে হুমকি আছে কিনা বুঝতে পারছেন না!

যাইহোক, আপনার অবগতির জন্য জানাই আজকের করোনা আবহের মধ্যে এই কথাটা প্রত্যেক মানুষকে আমি বলে থাকি। কারণ, সাবধান থাকাটা খুব জরুরি। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। তাই মানুষের ওপর একটু আস্থা রাখুন।

আপনি বামপন্থীদের কুলাঙ্গার বলেছেন। আপনাকে চুপি চুপি বলে দিই, আমি কিন্তু এই কুলাঙ্গারদেরই দলে। অর্থাৎ বামপন্থী। তাই বলে ভাববেন না, আমিও আপনাকে কুলাঙ্গার ভাবছি। কারণ পৃথিবীতে কোন মানুষকেই ছোট করা যায় না। বামপন্থা তা শেখায়ও না।কোন মানুষ যদি তা করেন, আমি মানি, তিনি আর নিজেকে মানুষ বলে দাবি করতে পারবেন না। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল হাওয়াই যায়। আপনিও সেভাবে কোন মানুষকে ছোট করে দাবি করতেই পারেন যে, আপনি নিশ্চয়ই মানুষ। কিন্তু সত্যি কারের মানুষ তা মানবেন না। আর তা যদি করেনও, কোনো মানুষ আপনাকে কুলাঙ্গার বলতেও যাবে না। তেমনি আপনার ঘাড়ে কেউ লাঠিও মারবে না।

এটা ঠিক যে যারা বন্ধু তালিকায় আছে তাদের পোস্টে মন্তব্য করার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু কুলাঙ্গার বলার অধিকার আপনার কি আছে? মনে হয় নেই। এই সৌজন্যতাও আপনার কাছ থেকে মানুষ পাবে, এটাও কিন্তু তাদের অধিকার। আপনি অন্যের অধিকার খর্ব করে আপনার নিজের অধিকার কিভাবে দাবি করেন? জানতে খুব ইচ্ছে করে। পারলে একটু জানাবেন।

আসলে আপনি আইনের মানুষ তো তাই আইনের প্যাচ-ঘোচটা ভালো বোঝেন। তাই বুদ্ধি করে 'আদালতে গ্রহণযোগ্য' শব্দ দুটো প্রয়োগ করে প্রমাণ চেয়েছেন। আমরা আইনের লোক নই বটে, কিন্তু এটা জানি আইন কে কিভাবে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো যায় বা বলা ভালো, উকিলবাবুরা পয়সা নিয়ে বা পয়সাওয়ালারা কিভাবে  পয়সা দিয়ে আইনকে নিজের পকেটস্থ করে। যদিও এটা আমাদের চেয়ে আপনি আরো বেশী জানেন। পেশার খাতিরে স্বীকার করবেন না, এই যা।

আমি এটাও জানি নিজের হাতে খুন করা যেমন অপরাধ তেমনি অন্যকে দিয়ে খুন করানোও অপরাধ। এটাও আইনের কথা। শুধু সংখ্যালঘু নয়, আমি দলিতদের কথাও বলেছিলাম। সংখ্যালঘু এবং দলিতদের ইদানীংকালে যে বিভিন্ন অজুহাতে মেরে ফেলা হচ্ছে, এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন। পারেন না। ঠিক একইভাবে আপনি পারবেন না অস্বীকার করতে যারা এই অপকর্ম গুলো করছে তার পিছনে পরিকল্পিত হাত যাদের রয়েছে তারা ওদেরই লোক। তাই তারা দায় এড়াতে পারে না। বিজেপি সরকার এই অন্যায় গুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না। অপরাধকারী দা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর অপরাধের শিকার যারা হয়েছে তারা জেল খাটছে অন্য ভাবে হেনস্থা হচ্ছে। সুতরাং তারা দায় এড়াতে পারে না। এটাও আইনেরই কথা। মানা না মানা একান্তই আপনার ব্যাপার।

স্বাধীনতার আগে আপনি শুধুই হিন্দুদের নির্যাতিত হতে দেখলেন? মুসলিমদের দেখেননি? কোন প্রমানের ভিত্তিতে? একটু জানাবেন প্লিজ। আপনি প্রমান চাইলে চাইতে পারেন। এটা আপনার অধিকার। আর আমারও সেই অধিকার আছে এটা নিশ্চয়ই মানেন। দেখান। অপেক্ষায় রইলাম।

আপনি কি আমার ওয়াল গুলো সব ঘুরে ঘুরে দেখেছেন? না, আপনি দেখেননি। দেখলে আপনার নজরে পড়তো যে আমি সব ধরনের মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলি। আবারও সেই একই কথা বলতে ইচ্ছা করছে, আপনি কি মুসলিম দেখেই ধরে নিয়েছেন যে আমি শুধু হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলি? মজার ব্যাপার হলো আপনিও একই অভিযোগ করেছেন যে, আপনি হিন্দু বলে আপনাকে মুসলিমবিদ্বেষী ভেবেছি। ভুল বুঝেছেন। নাম দেখে আমি কথা বলিনি। আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছি। আর আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন আমার পোস্টে বিষয়বস্তু হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে। মুসলিম মৌলবাদী ঘটনা আজকের আলোচনার বিষয় ছিল না। তাই অবান্তর বিষয় উল্লেখ করিনি। কিন্তু তাতেই আপনি যে মন্তব্য করেছেন সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই আমি জানতে চেয়েছিলাম যে, আমি মুসলিম বলেই কি আপনি এটা ভাবছেন? এটা প্রশ্ন ছিল? অভিযোগ নয়।😀😀

আপনি আরএসএস বিজেপির সমর্থনে কথা বলছেন,

 না বলছেন না? আপনার মন্তব্যের মধ্যেই রয়েছে সেই সমর্থনের ইঙ্গিত। তাই আমি প্রশ্নটা করেছি।

এবার আপনি দেখান, তো আমি মুসলিম মৌলবাদীদের সমর্থন করি, এমন কোন ইঙ্গিত আমার পোস্ট এবং মন্তব্যের মধ্যে আছে? যদি দেখাতে পারেনা নিশ্চয়ই আপনার জিজ্ঞাসার যৌক্তিকতা থাকবে। আর যদি না থাকে, তাহলে আপনাকে স্বীকার করতে হবে, আপনি অযোক্তিক কথা বলেছেন, অথবা আরএসএস এবং বিজেপির আইডোলজিকে সমর্থন করছেন। আর তা যদি করেন, আমাকে জিজ্ঞাসার মধ্যে কোন অযৌক্তিকতা নেই।

কে বিজেপি করবে, কে কংগ্রেস করবে বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন করবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনার উপর। তো আপনার বন্ধু যারা মুসলিম আছেন তাদের চেতনা নিশ্চয়ই আপনার মত। তাই তারা আপনাকে সমর্থন করেন। এটা দিয়ে কি এটা প্রমাণ হয়, যে ভারতবর্ষের সব মুসলমান বিজেপি করবে বা করছে? আর এটাই বা কিভাবে প্রমাণ হয় যে তাদের ভাবনাটাই ঠিক আর আমার ভাবনা টা ভুল। সুতরাং আপনার মুসলিম বন্ধুরা কি করছেন বা বলছেন সেটা আমাকে শোনানো অবান্তর।

মুখের কথায় তো কেউ কোন তথ্য বিশ্বাস করবে না। তাই না? বিশ্বাস করাতে গেলে চাই যুক্তি বুদ্ধি এবং সঙ্গে তথ্যের সমন্বয়ে তৈরি মতামত। সেটা আপনাকে দিতে হবে। আশা করি বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি।

তবু চ্যালেঞ্জটা নিলাম। নিয়ে আসুন আপনার সেই মুসলিম বন্ধুদের, যারা প্রমাণ করবে বিজেপি এবং আরএসএসকে সংখ্যালঘু এবং দলিতদের সমর্থন করা উচিত।

তবে একথা ঠিক বলেছেন। আমিও জানি বামপন্থীদের সবাই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। এটা স্বীকার করেছেন যে, বামপন্থাকে আপনি অশ্রদ্ধা করেন না। শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেল, অশ্রদ্ধা করেন না ঠিক আছে, কিন্তু শ্রদ্ধা কি করেন? যদি করেন তাহলে বিজেপির নীতি এবং আরএসএসের মতাদর্শকে আপনি কিভাবে সমর্থন করেন?

যদি বলেন সমর্থন করি না। তাহলে বলব আপনি আমার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। আপনি বামপন্থাকেও শ্রদ্ধা করবেন আবার বিজেপির উগ্র সাম্প্রদায়িক নীতিকেও মান্যতা দেবেন এটা কীভাবে সম্ভব!!

আর একটা কথা বলে শেষ করব। আমার দেশের কয়টি ইসলামি জিহাদি মৌলবাদী সংগঠনের নাম আপনি জানেন? এখানে মাঝে মাঝে যে সংগঠনগুলো তাদের কাজকর্ম চালায় তা তো সব বাইরে থেকে আসা। এ পর্যন্ত যে কটা গুপ্তচার ধরা পড়েছে তার সবকটাই তো অমুসলিম। কেন? তার দায় কেন ভারতীয় মুসলমানদের নিতে হবে? কিভাবেই বা নেয়া সম্ভব তাদের পক্ষে? এর দায়িত্ব তো প্রশাসকদের এবং প্রশাসনের। তারা ব্যর্থ হবে আর তার দায় ঝাড়বেন মুসলিম ভারতীয়দের উপর? এটা আপনার কোন আইনে এবং কোন যুক্তিতে সমর্থনযোগ্য আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।

যাই হোক, ভালো থাকুন। সাবধানে থাকুন। আমার ওয়ালে এসে মতামত দিন। ও হ্যাঁ, মনে করিয়ে দিই। এটাকে আবার হুমকি ভেবে বসবেন না প্লিজ!!!!

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন