Dipankar Das বাবা, তুমি সম্ভবত আমার সন্তানের বয়সি। তাই তুমি বলেই সম্বোধন করছি। তোমার যদি কোনো আপত্তি থাকে তাহলে তুমি তুমির জায়গায় আপনি কথাটা বসিয়ে নিও।
যাই হোক, লেখাটার রেফারেন্স হিসেবে যে দুটো বইয়ের নাম করেছ তার মধ্যে একটি নাম আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি। আমি ইতিহাসের শিক্ষক। তবু হতে পারে যে বইটা হয়তো আসে আছে কিন্তু আমি জানিনা। তো এমন যদি হয় তবে তুমি যদি একটু লেখক এর নামটা বল তাহলে আমি খুঁজে নিতে পারব।
তুমি রেফারেন্স হিসেবে একটি বইয়ের নাম লিখেছ, দেওয়ান ই আকবরী। বাবা এই নামে তো কোন বই ওই সময় লেখা হয়নি! তোমার লেখাটা পড়ার পর আমি তন্নতন্ন করে খুঁজলাম। পেলাম না।
আবুল ফজলের একটি বই আছে আইনি আকবরী। সেটাও বেশ কয়েকবার পড়েছি। ইংরেজি এবং বাংলা অনুবাদ। কোথাও তোমার ঐ উপরের বলা কাহিনীটা লেখা নেই বাবা।
আসলে কি জানো বাবা, মিথ্যা বলতে গেলেও সত্যটা জানা খুব দরকার। সত্য জানা না থাকলে মিথ্যাকে সত্য করে তোলা যায় না। তুমি তো বাবা সত্যটা জানোনা তাই মিথ্যা বলতে গিয়ে ফেঁসে গেছো।
যাই হোক তুমি আইন-ই-আকবরী, সমসাময়িক লেখক তুলসী দাসের রামচরিত মানস এগুলো পড়ো তাহলে দেখতে পাবে তুমি যে গল্পটা বলেছ সেটা ভুল। আসলে তুমি কার কথা বলনি। তুমি কারো কাছ থেকে শুনে বলছো।
তাই তোমার কাছে বিনীত অনুরোধ শুনে ইতিহাস বলতে যেও না। আগে নিজের চোখে পড়ো। তারপরে যুক্তি বুদ্ধি এবং তথ্য দিয়ে তাকে যাচাই করো। তারপর তা মানুষের সামনে তুলে ধরো। তাহলে মানুষ তোমার বলা বক্তব্য শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করবে।
যাই হোক ভালো থেকো সুস্থ থেকো এবং শরীরের দিকে নজর রেখো। তোমার সার্বিক কল্যাণ কামনা করি।
উৎস জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন