সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্মীয় নয় রাজনৈতিক পোস্ট

Arobindo Lahori সাথি, আপনি তো আমার বন্ধু তালিকায় নতুন এলেন। ধৈর্য ধরে থাকুন। যারা যারা হা হা রিয়েক্ট করেছেন, তাদের লিস্ট-এর একটা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন।

তাদের নাম গুলো পড়ুন। স্মৃতিতে ধরে রাখুন।

এরপর তারা আমার আগের পোষ্ট গুলোতে কোন কোন ক্ষেত্রে কি কি বোঝাতে হা হা পোস্ট করেছেন একটু মিলিয়ে নিন।

আর অপেক্ষা করতে থাকুন যে এঁরাই আগামীতে আমার কোন কোন পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট করেন।

এই দুটোকে সংগ্রহের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন, আপনার কাছে হা হা রিয়াক্টএর যে মানে, তাদের কাছে তা নয়। হ্যাঁ দুই-একজন তো ব্যতিক্রম থাকবেনই। সবাই কি আর আমার মতের সঙ্গে একমত হবেন? আমি সেই দাবি কি করতে পারি? পারিনা।

আচ্ছা, এবার এককাজ করুন, লাইক আর লাভ রিঅ্যাক্ট করেছেন কতজন সেটা একরা গুনে দেখুন তো? আর তাঁদের রিয়াক্ট গুলোর মানে কি হতে পারে! সেগুলো একটু ভেবে দেখবেন। তারপর না হয় সিদ্ধান্ত করবেন!

আপনি নতুন বলে আপনার একটু সমস্যা হচ্ছে বুঝতে। আস্তে আস্তে সব বুঝে যাবেন।

পোস্টটার মধ্যে যে রাজনীতি রয়েছে সেটা তাহলে সত্যি সত্যিই আপনি বুঝতে পারেন নি? তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। কিন্তু দুর্বলতা নয়। আমি তো বুঝতে পারিনি যে, আমার বন্ধু তালিকায় যাঁরা রয়েছেন, নতুন এবং পুরাতন, তাদের কেউ কেউ শ্লেষ বলে যে বাংলায় ভাবপ্রকাশের একটা রূপ আছে, যার উপরে থাকে এক কথা কিন্তু ভিতরে থাকে অন্য কথা, এটা বুঝতে পারেন না। আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি আপনার বোঝার মত করে কথাটা বলিনি বলে।

তা এবারে বুঝতে পারলেন তো? বিষয়টা এবার ভেঙে দিলাম। এবারেও যদি না বুঝতে পারেন তো আমাকে জানাবেন কিন্তু। আমি আর একটু ব্যাখ্যা করে দেবো।

আসলে হাইলাইট পোস্ট এর ক্ষেত্রে অক্ষর সংখ্যা বেঁধে দেয়া থাকে তো, তাই অতিরিক্ত শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করে বলার সুযোগ থাকে না।

আপনি আর একটা কাজও করতে পারেন। অন্যান্য যে সমস্ত শ্রদ্ধেয় মানুষজন আমার পোস্টে মন্তব্য করেছেন, তাদের মন্তব্য গুলো একটু পড়ুন। তারা অনেকটাই ভেঙে বলার কাজটা করে দিয়েছেন।

ভাইরে, বাংলাদেশে থেকে কিভাবে বুঝবেন, যে কত বছর ধরে মন্দির মসজিদ এর বিপরীতে আধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসা, মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার দাবিতে এ দেশে আন্দোলন চলছে? আজ ফেসবুকের কল্যাণে একটু একটু করে জানতে পারছেন। আরো অনেক বেশি বেশি করে ভারতীয় ধর্ম নিরপেক্ষ প্রগতিশীল মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করুন, তাহলে তার ইতিহাস একটু একটু করে জানতে পারবেন।

না জেনে মন্তব্য করাটা, নিজেকে নিজেই অপমান করার শামিল হয়। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

তবে একটা কথা আপনি ঠিকঠাক বলেছেন। আজকাল কোন কোন দেশে ( যে কোন দেশে নয়) নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মকে ব্যবহার করছেন এবং ধর্মের অবমাননা করছেন। আমাদের যাবতীয় বক্তব্য এটাকে বিরোধিতা করেই করা। এটাকে মানা যায় না। আপনি যদি এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে একমত হন, তাহলে বলি, আমাদের বোঝাবুঝিতে আপনার একটু সমস্যা হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আপনাকে বলি, ভাববেন না, আপনি আমাদেরই লোক। আরেকটু সচেতন ভাবে পোস্ট গুলো পড়ুন আমি বা আমার বন্ধুবান্ধব যারা আছেন তাদের মন্তব্যগুলো ধৈর্য ধরে পড়ুন, বুঝে যাবেন।

শেযে একটু সাবধান করে দি। আপনি মানুন আর নাই মানুন, আমি একজন ভদ্র লোক, শিক্ষিত মানুষ বলে নিজেকে দাবী করি। আমি বিশ্বাস করি এই ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ভদ্রতার মাপকাঠিটার একটু মান্যতা দিতে হবে। এইযে  '...... ছিঁড়তে না পেরে' শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন ওগুলো আর করবেন না। আশা করি এটাও আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি আবারো এ ধরনের শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করার ইচছা আপনার থাকে, তাহলে বিনযের সঙ্গে অনুরোধ করবো, আমার সঙ্গ আপনি ছেড়ে দিন।

ঠিক আছে? ভালো থাকুন। সাবধানে থাকুন। আর অবশ্যই মানুষের ভালোর জন্য ভাবুন।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন