সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ : মুসলিম তোষণ, গুজব ও বাস্তব

Tapas Das বলব, বলার পরেও এ কথার কোন মানে আছে?

আপনার চোখে না পড়ার মানে তো এ হতে পারে না যে আমি বলিনি। হয় কী?

আমার নির্দিষ্ট একটা অবস্থান এবং কৌশল আছে। আর সে কৌশলকে আমি গোপন রাখি না আপনার কাছে। আমি বারবার সে কথা আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আপনি বোঝেন নি। কারণ আপনার মাথায় গেঁথে রয়েছে আমি তৃণমূলের পক্ষের লোক।

রাজনীতি অতটা সোজা না, এটা আপনার মাথায় রাখা উচিত। জগতে যত কঠিন বিষয় আছে, রাজনীতি তার মধ্যে প্রথম সারিতে পড়া একটা অন্যতম বিষয়। এটা ঠিকঠাক বুঝতে গেলে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর ইতিহাসটা ভালো করে আত্মস্থ  করতে হয়। মনে হল আর বলে দিলাম, কানে এল আর শুনে নিলাম, এটা খুব কাঁচা রাজনীতির কাজ। এতে শত্রুর চেয়ে নিজের ক্ষতিটা বেশি হয়। এটা যেদিন বুঝবেন, সেদিন আমার কথার মানে বুঝতে পারবেন। অনুগ্রহ করে ভাববেন না যে আমি আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছি। আপনার কথার প্রেক্ষিতে কথাগুলো এল, তাই বললাম।

আপনার বোধ হয় জানা নেই, এই তৃণমূল আর বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। এরা একে অপরের পিঠ বাঁচিয়ে চলে। আমার এই কথা শুনে হয়তো ভাবছেন যে, এই কথাটাই তো আমি বলি, আপনি মানতে চান না। কেন মানি না জানেন? মানি না এই কারনে যে, আপনার পলিসি বড় শত্রুকে দিয়ে ছোট শত্রুকে মারবেন। তারপর বড় শত্রুকে মারবেন। এটা ভুল পলিসি। ছোট শত্রুকে  বদ করার জন্য জন্য বড় অস্ত্র ব্যবহার করাটা ভুল। যার জন্য কালিপটকা প্রয়োজন, তার বিরুদ্ধে যদি পরমাণু বোমার ব্যবহার করি, আর যার জন্য পরমাণু বোমা দরকার, তার জন্য যদি কালিপটকা ব্যবহার করি, তাহলে কি ক্ষতি হতে পারে তা যদি ভাবতে পারেন তাহলেই বুঝতে পারবেন।

আমি আপনাকে আগেও বলেছি বিজেপির আসল শত্রু তৃণমূল নয়, আসল শত্রু বামপন্থীরা। তৃণমূল চলে যাবে আর বিজেপি আসবে, তাতে তৃণমূলের কিচ্ছু হবে না। যেটা হবে সেটা হল আপনার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। আপনার আগে যে বাম বিশেষণটা আছে না, ওর তালায় একটা ফোটা দিয়ে নিতে হবে। না হলে ওই বিশেষণটাই  মুছে যাবে।

কথায় বলে না, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। আমাদের হয়েছে তাই। তৃনমূল আর বিজেপির অর্থনৈতিক নীতি এক। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে বলে। ক্ষমতা হারালে বিজেপির সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে নেবে। তখন আপনি কোথায় যাবেন?

পৃথ্বীরাজ চৌহানকে শায়েস্তা করার জন্য বিদেশি শক্তিকে ডেকে আনার ফল কি হয়েছিল তা যদি আপনার মাথায় থাকতো, তাহলে বুঝতে পারতেন। ঘরের বিড়ালের ভয়ে বাইরের বাঘ ডেকে আনার পরিণতি কী হয়।

আমি এমন ভাবে কোনো কথা বলবো না, যার মাধ্যমে ছোট শত্রু তো মরবে না, উল্টে বড় শত্রু শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর আপনি ঠিক এর উল্টো কথা বলেন। যাতে বড় শত্রু অ্যাডভান্টেজ পায়। আর কেন আপনি সেটা করেন তা আমি বুঝি না, সেটা ভাববেন না।

যাই হোক, যুক্তি দেয়ার মত থাকলে নিশ্চয়ই দেব। আর আপনার দায়িত্ব হচ্ছে সেই যুক্তিটা যে ভুল তাও যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে প্রমাণ করা। আপনি যদি না পারেন, তাহলে সেটা আপনার দুর্বলতা। আমার নয়। আর তার ফলে সত্য মিথ্যা, আর মিথ্যা সত্য হয়ে যাবে না।

আসুন এক এক করে তুলে ধরুন। মিথ্যা দিয়ে রাজনীতি করি না। কারণ আমি রাজনৈতিক লিডার নই। আমি সাধারন নাগরিক সমাজের একজন। আমার কাজ রাজনৈতিক দলগুলোর ঠিককে ঠিক বলা, আর ভুলকে ভুল বলে মানুষকে সচেতন করা আর তাদের কাছ থেকে সচেতন হওয়ার রসদ সংগ্রহ করা।

আমার মত, অপেক্ষাকৃত ভয়ঙ্কর শক্তিকে  মারার জন্য অধিক শক্তি ব্যয় করা। ইদানিং বামপন্থীরা সেটাই করছেন। আমি আশাবাদী। আমার এই মতের সঙ্গে আপনি একমত নন এটা আমি জানি। আপনি বড় দানবকে ডেকে এনে বিড়ালকে মারতে চান। আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, ছোট এবং বড় শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য উপযুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে এবং গুরুত্ব দিতে হবে আগে দানবকে ঠেকানো। না হলে যাকে ডেকে আনবো, সেই দানবই একদিন আমাকে খেয়ে ফেলবে।

লুকিয়ে চুরিয়ে কোন কথা আমি বলি না। যুক্তি দিয়ে বোঝান, আমার বক্তব্য ভুল। তথ্য দিয়ে দেখান কোন সরকার কতটা মুসলমানদের অন্যায় ভাবে তোষণ করছেন।

তারপর আমি এক এক করে তুলে দেখাবো যে তৃণমূল কিভাবে মুসলিমদের নয়, হিন্দু সম্প্রদায়কে তোষণ করে চলেছে। আমি সাধারণত এই বিষয়গুলি এই প্লাটফর্মে তুলতে চাই না নির্দিষ্ট কারণে। তা আপনি যদি দেখাতে পারেন মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণ করার জন্য, তাহলে আমিও দেখানোর একটা সুযোগ পাই, কে কাকে তোষণ করে চলেছে।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন