আজ শিক্ষক দিবস আজ শিক্ষক দিবস। ম্যাসেঞ্জার-এ উপচে পড়া শুভেচ্ছা বার্তা আর শ্রদ্ধার বন্যা দেখে আমি আপ্লুত না হয়ে পারছি না। ছেলেমেয়েদের এই ভালোবাসাই মনে করিয়ে দিল কিছু স্মৃতি, যা অবশ্যই স্কুল জীবনের। আজ ভারতজুড়ে যে অবিশ্বাসের ঝোড়ো হাওয়া মানুষকে অস্থির করে তুলছে প্রায়শঃই, তা আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে। ছোট থেকে যে পরিমন্ডলে বড় হয়ে উঠেছি সেখানে এসবের প্রায় কিছুই ছিলোনা। যা ছিল তা একেবারেই অন্য রকম। আর আমার এই অন্য রকম অভিজ্ঞতা হওয়ার মূলে যে মানুষটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তিনি একজন শিক্ষক। তবে তিনি কোনও স্কুলে পড়াতেন না। বুঝতেই পারছেন তিনি আসলে একজন গৃহ-শিক্ষক। আজ এই শিক্ষক দিবসে ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে ভাসতে তাই কখন যেন পৌঁছে গেলাম গাইঘাটার যমুনা নদীর পাড়ে, যেখানকার একটি অনামি গ্রামের মানুষ আমার জীবনে দ্বিতীয় পিতা হয়ে এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ আমি অসংখ্য ছেলেমেয়েদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি। কী নাম তাঁর? নিশ্চয় অনুমান করছেন রহিম, করিম, বা এই রকম কেউ হবেন তিনি? ভুল বুঝেছেন। এমন হলে এলেখার সূচনা অন্য রকম হত। কে সেই মানুষ, যাকে আমি দ্বিতী
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ