সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার একটাই রাস্তা। ধর্মগুরুর হাত ছেড়ে শিক্ষাগুরুর হাত ধরা। হ্যাঁ আপনাকেই বলছি। আপনি কি সংখ্যালঘু? বাঁচতে চান? ঘুরে দাঁড়াতে চান? তবে ধর্মগুরুর হাত ছেড়ে, সময় থাকতে শিক্ষাগুরুর হাত ধরুন। মনে রাখুন, মন্দির-মসজিদ নয়, ধর্মগুরু নয়, একমাত্র আধুনিক শিক্ষা ( যার ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞানমনস্কতা ) এবং শিক্ষাগুরুই শরণাপন্ন হাওয়াই পারে ভারতীয় তথা পৃথিবীর সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্মান ও মর্যাদার পুনরুদ্ধার করতে। তাই রাজনৈতিক নেতাদের লেজুড়বৃত্তি বা দয়া দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভর না করে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আধুনিক শিক্ষাকে আপন করতে হবে। এবং যেকোন মূল্যে তাকে অর্জন করতে হবে। আর না হলে, অন্ধকারে পথ হাতড়াতে হাতড়াতে অলীক কল্পনার রাজ্যে প্রস্থান করতে হবে। সংখ্যাগুরুর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে শুধু নিজের দুর্বলতা এবং অক্ষমতাকে আড়াল করা হয়তো যায়, কিন্তু প্রকৃত মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...