শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ শিক্ষকদের দায়ী করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না দাদা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পড়াশোনাটা স্কুল ও পরিবার — এই যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। তাই দুই তরফকেই দায়িত্ব নিতে হবে। একটাকে ছেড়ে অন্যটার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মনে রাখতে হবে, অন্য কাজের মত পড়াশোনাকে জোর করে করানো যায় না। ভয় দেখিয়েও হয় না। যে করবে, তার ইচ্ছা থাকাটাও জরুরী। এই ইচ্ছা তৈরিতে তার বাড়ির পরিবার ও পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এই পরিবেশ যদি পরিবার তৈরি করতে না পারে, স্কুলের ক্ষমতা নেই তাকে পড়াশোনায় ধরে রাখবে এবং তাকে ভালো রেজাল্ট করাবে। তাই পরিবারের পরিবেশ অনুকূল থাকাটাও জরুরী। এই পরিবেশ তৈরিতে অর্থের ভূমিকা থাকলেও তা প্রধান নয়। প্রধান হল পিতা-মাতার শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ও তার দায়বদ্ধতা। সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতার কমতি নেই। ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা খুবই সামান্য পরিমাণ শিক্ষকের মধ্যে থাকে। শ্রেণীবিভক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এটাকে শূন্যে আনা অবাস্তব ভাবনা। তাই এটা কখনোই মূল সমস্যা নয়। তাই তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে, ‘অ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...