যুদ্ধের প্রকৃত কারণ The real cause of the War পৃথিবীতে কোন যুদ্ধই সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য হয়নি , এখনোও হয় না। অতীতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, শুধুমাত্র রাজনীতিকদের গদি দখল অথবা বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে। মজার কথা হল, এর পিছনে থাকে ‘পুঁজির কঙাল’দের সীমাহীন লোভ। তারাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কলকাঠি নাড়ে, রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে। দেশের অর্থনৈতিক নীতিকে পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য। এখন প্রশ্ন হল পুঁজিবাদ কী? পুঁজিবাদ হল এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে ব্যক্তির হাতে পুঁজির সীমাহীন সঞ্চয়কে স্বীকৃতি দেয়। পূর্ব শর্ত হিসেবে শুধুমাত্র কিছু কর প্রদানের বাধ্যবাধকতাকে সামনে রাখা হয়।
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...