Debdip Dutta রাজনৈতিক শিক্ষা যাদের আছে অর্থাৎ শিক্ষিত মানুষেরা কখনো কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যায় না, আবার তার পুজোও করে না (ব্যক্তির পুজো না।) রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত মানুষেরা তাই ব্যক্তিমানুষের নয়, তার সরকারের নীতির বিরোধিতা করে। সুতরাং বুঝতেই পারছিস আমি তো অশিক্ষিত নই। তাই ব্যক্তি মোদির বিরোধিতা আমি করিনা, তার পূজাও করি না। অর্থাৎ আমি তার ভক্ত নই। মোদির সরকারের যে নীতি, আমি তার বিরোধিতা করি। উপরের পোস্টারে তার সরকারের যে নীতির উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, আমি ওই নীতির অবশ্যই বিরোধী। ওটাকে ভন্ডামি বলে। আর শিক্ষিত মানুষ এই ভন্ডামি কখনো সমর্থন করতে পারে না, তা মোদি করলেও পারবেনা। রাহুল গান্ধী করলেও পারবেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করলেও পারবেনা। বা বা অন্য কোন নেতা করলেও নয়। যদি কেউ করে, তাহলে সে রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত মানুষ। আর এই অশিক্ষিত মানুষ গুলোর জন্যই দেশের নেতারা ভন্ডামি করে যাচ্ছে নিশ্চিন্ত মনে। প্রকৃত রাজনৈতিক শিক্ষা যার মধ্যে ঢোকে, সে পরিষ্কার বুঝতে পারে, যে ব্যক্তি সেখানে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মোদি বিজেপি সরকারের এমনই একটি অস্ত্র। তার বিরোধিতা করে কোন লাভ হয় না। মোদি ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...