মনুষ্যত্বের আদর্শ ও তার উৎস বিন কাসিম, জগৎ ও জীবন থেকে শিক্ষা নিলেই আদর্শের সন্ধান পাওয়া যায়। সততা আর ভালোবাসার মধ্যেই সেই আদর্শ নিহিত আছে। অনুসন্ধিৎসু মন আর যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি থাকলেই সেই আদর্শের সন্ধান মানুষ নিজে নিজে, নিজের মধ্যেই খুঁজে পাবে। তাই মানুষ নিজেই নিজের আদর্শ। কারণ, মানুষের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মনুষ্যত্বের ও সততার আদর্শ। এটা তার জন্মগত। খেয়াল করলে দেখবেন, একজন শিশু, যার মধ্যে জগতের ধান্দাবাজ ও অসৎ মানুষের প্রভাব পড়েনি, সে যা দেখে সেটাই বলে দেয় এবং অন্যের দুঃখ কষ্টে কাতর হয়। অর্থাৎ সেটা (সততা ও ভালোবাসার আদর্শ) জাগানো ও তার অনুশীলন করার জন্য চাই সততা ও ভালোবাসায় মোড়া একটা মন, যেটা শিশু বয়সে মানুষের মধ্যে সাধারণভাবেই থাকে, জন্মসূত্রেই পায়। সেটার চর্চা যে করে মনুষ্যত্বের আদর্শ তার মধ্যে নিজে নিজেই জন্ম নেয়। এবং জীবনে সে অনুসরণও করে। এর জন্য আস্তিকতা বা নাস্তিকতার চর্চার প্রয়োজন হয় না। আমি আপনার ক্ষতি করলে আপনিও আমার ক্ষতির চেষ্টা করতে পারেন এটা বোঝার জন্য অন্য কিছুই লাগে না, একটা যুক্তিবাদী চেতনা বা মন ছাড়া। আর এটার উদাহরণ জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তাই...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...