মনুষ্যত্বের আদর্শ ও তার উৎস
বিন কাসিম,
জগৎ ও জীবন থেকে শিক্ষা নিলেই আদর্শের সন্ধান পাওয়া যায়। সততা আর ভালোবাসার মধ্যেই সেই আদর্শ নিহিত আছে। অনুসন্ধিৎসু মন আর যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি থাকলেই সেই আদর্শের সন্ধান মানুষ নিজে নিজে, নিজের মধ্যেই খুঁজে পাবে। তাই মানুষ নিজেই নিজের আদর্শ।
কারণ, মানুষের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মনুষ্যত্বের ও সততার আদর্শ। এটা তার জন্মগত। খেয়াল করলে দেখবেন, একজন শিশু, যার মধ্যে জগতের ধান্দাবাজ ও অসৎ মানুষের প্রভাব পড়েনি, সে যা দেখে সেটাই বলে দেয় এবং অন্যের দুঃখ কষ্টে কাতর হয়।
অর্থাৎ সেটা (সততা ও ভালোবাসার আদর্শ) জাগানো ও তার অনুশীলন করার জন্য চাই সততা ও ভালোবাসায় মোড়া একটা মন, যেটা শিশু বয়সে মানুষের মধ্যে সাধারণভাবেই থাকে, জন্মসূত্রেই পায়। সেটার চর্চা যে করে মনুষ্যত্বের আদর্শ তার মধ্যে নিজে নিজেই জন্ম নেয়। এবং জীবনে সে অনুসরণও করে। এর জন্য আস্তিকতা বা নাস্তিকতার চর্চার প্রয়োজন হয় না। আমি আপনার ক্ষতি করলে আপনিও আমার ক্ষতির চেষ্টা করতে পারেন এটা বোঝার জন্য অন্য কিছুই লাগে না, একটা যুক্তিবাদী চেতনা বা মন ছাড়া। আর এটার উদাহরণ জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।
তাই এটা পাওয়ার জন্য আস্তিক বা নাস্তিক হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ কোটি কোটি আস্তিক কিম্বা নাস্তিক আছেন যারা এটা মেনে চলেন না বা খুঁজে পান নি।
আবার অসংখ্য মানুষ আছেন যারা এটা মেনে চলেন, খুঁজে পেয়েছেন তার শক্তি।
সুতরাং ভাবলেই সততা ও ভালোবাসার মহত্ব মানুষ অনুভব করতে পারে। নিজে নিজেই খুঁজে পায় তার ক্ষমতাও।
Ali Hossain দাদা, আমরা কায়া নয় কারও ছায়া মাত্র। ভাল ও মন্দ, সত অসৎ এর মানদণ্ড না থাকলে না অনুসরণ করতে পারলে মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। মানুষই একমাত্র প্রাণী যে জন্মসুত্রে মানুষ হলেও প্রকৃত মানুষ হয়না ।
বিন কাসিম :
ওটা আপনার ধারণা। আমার ধারণা আমি পরিষ্কার করেছি।
আর মানদন্ড নেই কীভাবে বলবেন? আমিই বা বললাম কোথায়?
মানুষই সেই মানদন্ড তৈরি করে নিতে পারে, যদি তারা তা চায়।
মানুষের সঙ্গে জানোয়ারের পার্থক্য তো আছে। নেই কীভাবে বলবেন? হ্যা, কেউ কেউ সীমা রাখে না। তার কারণ, সেই সততা আর ভালোবাসার আদর্শ সে হারিয়ে ফেলেছে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশের চাপে বা প্রভাবে।
মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয় - এটা আপনার মত। আমার মত তা নয়। আমার মতে, তা মানুষ জন্ম সূত্রেই পায়, পরবর্তীকলে কেউ কেউ তা হারাতে থাকে। তাই তাকে ধরে রাখতে হয় এবং অনুশীলন করতে হয়, আরও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য।
আপনি একটি শিশুও কি দেখেছেন, সুস্থ হয়ে জন্মে সে অমানবিক কোন কাজ করছে?
পাবেন না। যেটা আপনি দেখেন, সেটা আমাদের শেখানো কিংবা আমাদের কাছ থেকেই শিখেছে সে।
প্রথম স্কুলে গিয়ে নিজের টিফিন ভাগ করে খেতে শেখাতে হয় না কোন শিশুকে, তারা তা নিজেরাই করে। এটা তার অর্জিত শিক্ষা নয়, তা তার জন্মসূত্রে পাওয়া। বলা ভালো সশিক্ষা। শেখাতে হয় টিফিন না দেওয়ার কথা।
গভীরভাবে চারপাশটা পর্যবেক্ষণ করলেই ধরা পড়বে এই সত্য।
উৎস/ প্রসঙ্গ : ফেইসবুক। দেখুন এখানে ক্লিক করে
মূল প্রসঙ্গ এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন