স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মপরিচয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রত্যেক শিক্ষিত বাবা-মা চায়, তার সন্তান তার নিজস্ব আইডেন্টিটি (পরিচয়) গড়ে তুলুক। বাবা-মায়ের পরিচয়ের বাইরেও তার নিজস্ব পরিচয় গড়ে উঠুক। বাবা মায়ের পরিচয় হল একটি জৈবিক পরিচয়, যা জন্ম সূত্রে পাওয়া। পারিবারিক সম্পর্কের আলিঙ্গনে বাধা এক অদৃশ্য কিন্তু অটুট ও শক্তিশালী বন্ধন। এই বন্ধনকে ছিঁড়ে ফেলার সঙ্গে আত্মপরিচয়ের কোন নিকট সম্পর্ক নেই। বা বলা ভালো, জন্মসূত্রে পাওয়া পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন, যার সঙ্গে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার কোন বৈপরীত্যের সম্পর্ক নেই। কেননা, এই সম্পর্ক ছিড়ে ফেললে আত্মপরিচয় গড়ে তোলার ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ, এই ভিত গড়ে তুলতে, এই সম্পর্কের সাপোর্ট খুবই জরুরী। এই সাপোর্ট ছাড়া ধণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আত্মপরিচয়ের ভীত এবং তার উপরে ইমারত গড়ে তোলার পরিকল্পনা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। এই পরিচয় তখনই গড়ে ওঠে, যখন তার নিজস্ব আর্থিক শক্তি তৈরি হয়। এই শক্তি অর্জনের মূল হল ইচ্ছা শক্তি। এই ইচ্ছা শক্তি তখনই তার মধ্যে বাড়তে থাকে, যখন সে বোঝে, বাবা-মায়ের সম্পদ আসলে তার সম্পদ নয়। পরবর্তী সংসা...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...