সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্ম বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানুষে মানুষে বিভাজনের কারণ কী?

প্রকৃত (আসল) ধর্ম কি? What is the real religion? মানুষের মধ্যে বিভাজন কিংবা ভেদাভেদ - যাই বলুন না কেন, তা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। কারণ, মানুষের জন্য যে ধর্ম, সে ধর্ম মানুষকে ভাগাভাগি করেনা।  প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, যার ভিত্তি হল অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস, ভীরু মানুষেরা তার দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হন। কারণ, প্রচলিত ধারণা হল, এই বিশ্বাসের সঙ্গে একটু ভক্তি মেশালেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।  মৃত্যু ভয় আর সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। একটা বহল প্রচলিত ধারণা হল, সাফল্য লাভ কিংবা মৃত্যু ভয় এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস এবং তার ভজনা করা। সহজেই পাওয়ার আশ্বাস থাকে বলে, এমন বিষয় ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহ দেখায়। এবং সে কারণেই এই পথকেই মানুষ বেশি বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চায়। এই মৃত্যুকে জয় করা যাবে না জেনেও, তাকে ঠেকিয়ে রাখার আকাঙ্খা থেকেই অলৌকিক শক্তির প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। কিন্তু এটা প্রকৃত ধর্ম নয়। ধর্মের স্বঘোষিত প্রচারক যারা, তারা নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এই ধারার ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এই

‘নামাজ’ আর ‘নমস্কার’এর মধ্যে সম্পর্ক

 ‘নামাজ’ আর ‘নমস্কার’এর মধ্যে সম্পর্ক ‘নামাজ’ আর ‘নমস্কার’ - একই ধাতুমূল থেকে এসেছে। আর তাহল ‘নমস্’। ভাবুন, এটা কীভাবে সম্ভব? ধর্ম নিয়ে বিবাদ করার আগে এর ব্যাখ্যা খুঁজুন। ফেসবুক পোস্ট, ১৬/০৫/২০২৪ ----------xx----------- আসলে দুটো শব্দই এসেছে একই ভাষাগোষ্ঠী থেকে। আর তা হল, ইন্দো-ইরানিয় ভাষা গোষ্ঠী। অর্থাৎ সংস্কৃত (নমস্কার) ও ফার্সি (নামাজ) - দুটো ভাষাই এসেছে ইন্দো-ইরানিয় ভাষা গোষ্ঠী থেকে। তাই তাদের মূল ধাতু এক।  আমার ফেসবুক পোস্টের অভ্যন্তরে ছিল এই প্রশ্ন : এই বিষয় থেকে আমদের উপলব্ধি কী হওয়া উচিত? আমাদের অর্থাৎ হিন্দু মুসলমানসহ সমগ্র মানবগোষ্ঠীর মধ্যেকার সম্পর্ক কি বিরোধের, না বন্ধুত্বের কিংবা এক কথায় আত্মীয়তার? ----------xx------- বেশ কয়েকজন ফেসবুক বন্ধু আমার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বোঝাতে চেয়েছেন আমি ভুল। আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে জানাই, আপনাদের আলোচনায় ‘কেন আমি ভুল’ তার কোন সদুত্তর নেই। (যা আছে, তা প্রায় সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা, যা আপনারা জানেন বলে দাবি করেন। তা কতটা যুক্তিযুক্ত বা তথ্যসমৃদ্ধ সে বিষয়ে আমি যাচ্ছি না। কারণ, সে বিষয়গুলো আলাদাভাবে আলোচনার দাবি রাখে। তা

ধর্ম কী?

ধর্ম কী? না খেয়ে থাকাটা ধর্ম নয়, না খেতে পাওয়া মানুষের জন্য খেয়ে পরে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মতো সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় অবদান রাখাটাই আপনার ধর্ম। আপনি যদি মানব সভ্যতার ইতিহাসটা ধারাবাহিক ভাবে পড়েন এবং মূল ধর্মগ্রন্থটি যুক্তিবাদী মন নিয়ে বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করেন, তবে আপনারও এই উপলব্ধিই হবে। আমার উপলব্ধি, আপনি স্বীকার করুন আর না করুন, এটাই সত্য। না খেয়ে থাকাটা যদি আপনার শরীর স্বাস্থের পক্ষে প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তবে তা আপনার কাছে নিশ্চয় ধর্ম। কিন্তু যার তিন বেলা পেট ভরে খাওয়া হয় না, সারা বছর অপুষ্টিতে ভোগেন, সুচিকিৎসার সুযোগ নেই, তার কাছে এটা ধর্ম নয়। শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে জগৎ ও জীবনের চরম সত্য উপলব্ধি করা এবং তার ওপর ভিত্তি করে বেঁচে থাকার উপায় অন্বেষণ হল তার কাছে তার প্রধান ধর্ম। আর আপনার ধর্ম তাকে সেই অর্জনে সহায়তা করা। সৃষ্টিকর্তা আছেন কি নেই তা আমরা জানিনা। যা জানি বলে মানি তা আসলে একটা বিশ্বাস। এই বিশ্বাস সত্য হতে পারে, অসত্যও হতে পারে। সত্য অসত্য যাই হোক না কেন, যুক্তি বুদ্ধির আলোকে আমরা দুটো বক্তব্যকেই সত্য কিম্বা অসত্য বলে সিদ্ধান্ত করতে পারি। কারণ, এই   এত

ধর্মের নামে রাজনীতিতে ভুলে থাকবেন?

ধর্মের নামে রাজনীতিতে ভুলে থাকবেন? Forget everything in the name of religious politics? পৃথিবীর ৫ম বড় অর্থনীতির দেশে কেন বিশ্বের সব চাইতে বেশি দরিদ্র মানুষের বাস? ভাববেন না? না কি ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’তে ভুলে থাকবেন? 👉 Ali Hossain, Polygamy ta bondho korun ! 💀 👉 Srijann Mallick , কোন্ যুগে আছেন? একটু পড়াশোনা করুন। মাথা থেকে অন্ধকার সরে যাবে। 👉 Ali Hossain,  আপনাকে আমার পড়াশোনা নিয়ে ভাবতে হবে না 😂 comment টা কেনো করলাম , আপনি এখনও সেটাই বুঝতে পারলেন না 😂 আপনিও মাথা থেকে , লাল সরান, সব বুঝবেন। 👉 Srijann Mallick, আমি বুঝিনি? তাই! তা একটু বুঝিয়ে বলুন না। বুঝতে চাই। সত্যি কথা বলতে কি, আপনার মন্তব্যটা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক লেগেছে। পড়াশোনায় সীমাবদ্ধতা থাকলে এমন অপ্রাসঙ্গিক কথা প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়, যা আপনার হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাই পড়াশোনার কথা বলেছি। আপনি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য না করলে, আমাকে পড়াশোনার কথা বলতে হত না। যদিও পড়া কিংবা না পড়া একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আমার বলায় আপনার এত আপত্তি কেন? আপনি নিজে বলবেন, অথচ অন্যের কথা শুনবেন না, সে আবার কেমন কথা! লালের ক

মানুষের প্রধান এবং প্রকৃত পরিচয় কি তার ধর্ম?

মানুষের প্রধান এবং প্রকৃত পরিচয় কি তার ধর্ম? হিন্দু হন বা মুসলিম, আদতে আপনি একজন মানুষ। যারা ভুলিয়ে দিতে চায়, তারা ভন্ড ও ধান্দাবাজ। ভুলেছেন কী মরেছেন। ধর্মকে বাদ রেখে সাম্রাজ্যবাদকে হারানোর স্বপ্ন খালি বড়শি ফেলে মাছ ধরার বাসনা মাত্র। মানুষের মধ্যে ধর্মের প্রভাব, অভাবের চেয়েও বেশি। এমন অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা না খেয়ে থাকা তো সামান্য বিষয়, জীবন পর্যন্ত বাজি রাখতে পারেন। এটাকে হাতিয়ার করেই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রধানরা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন। এবং সমাজে ধনবৈষম্যকে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দিয়েছেন এবং তার বৈধতা নিশ্চিত করেছেন। মনে রাখা দরকার, ধর্মে ধন বৈষম্যের স্বীকৃতি, মানুষকে সাম্রাজ্যবাদী শাসন কায়েমকে উৎসাহিত করেছে।

স্রষ্টাকে পাওয়ার উপায় কী?

স্রষ্টাকে (আল্লাহ, ভগবান,...) পাওয়ার উপায় কী? What is the way to get the Lord? স্রষ্টার সৃষ্টি যদি যুক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় এবং নিয়ন্ত্রিত হয় তবে স্রষ্টা সম্পর্কিত আলোচনা বা তাকে উপলব্ধি করার প্রক্রিয়াটা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকে কী করে? সেখানেও তো যুক্তি প্রধান হাতিয়ার হওয়া উচিত।

ধর্ম বিষয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা ও তার দুর্বলতা

ধর্ম বিষয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা কেমন? Common people's ideas about religion? ধর্ম হলো একটা বিশাল বড় পুকুরের মতো। সেখানে সুস্বাদু মাছ যেমন আছে, তেমনই বিষাক্ত কীটপতঙ্গও আছে। আমরা যারা মানুষ, তারা কেউ জলে নেমে দেখিনা, সত্যিকারে সেখানে কী কতটা আছে। আমরা (ধর্ম নামক) পুকুরকে দেখলে বা নাম শুনলেই দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাই। দাঁড়িয়ে যাই বিপরীত দুই পাড়ে। একপক্ষ সাপকে দেখেই সিদ্ধান্ত করে ফেলি, পুকুর মানেই সাপে ভরা একটা ভয়ংকর জলাভূমি। অন্য পক্ষ সুস্বাদু মাছ দেখে সিদ্ধান্ত করে ফেলে ওটা একটা স্বচ্ছ ও নিরাপদ জলাশয়, যেখানে শুধু সুস্বাদু মাছই থাকে। সুতরাং নিশ্চিতে, চোখ বুঁজে তাতে নামা যায়, যেমন খুশি সাঁতার কাটা যায় এবং ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের সব কিছুরই প্রাপ্তি ঘটে। মূলত, এই ভাবনা থেকেই আমরা পড়ে যাই অন্ধবিশ্বাস নামক এক ভয়ংকর রোগের কবলে।  আমরা, একপক্ষ তখন ভুলে যাই, ধর্ম জগৎ ও জীবন বিষয়ক একটা দর্শন। তাই তাকে বুঝতে গেলে নৈর্বক্তিক দর্শন চিন্তার অধিকারী হতে হয় এবং অন্য পক্ষ ভুলে যায়, এই ধরনের দর্শন চিন্তার অধিকারী হতে হলে তাকে একটি যুক্তিবাদী চিন্তাধারার সাহায্য নিতে হয় এবং তার অধিকারীও হতে হ

আপনি কি আল্লাহকে সত্যিই ভালোবসেন?

আপনি কি আল্লাহকে সত্যিই ভালোবসেন? আপনি বলছেন, ধর্মের জন্য হাসতে হাসতে প্রাণ দিতে পারি। প্রশ্ন হল, আপনি প্রাণ দিয়ে দিলে ধর্মটা পালন করবে কে? এভাবে সব মুসলমান যদি সত্যিকারের আল্লাহ প্রেমিক হয়ে যান, তবে আল্লাহই তো তাঁর তৈরি পৃথিবীতে অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবেন। আপনি বলছেন আল্লাহর সেবায়, প্রাণ দিতে পারি। বেশ। প্রশ্ন হল, আপনি যদি প্রাণ দিয়ে দেন, তবে তার খেদমত করবে কে? তাছাড়া, আল্লাহর যদি আপনার সেবার এতটাই দরকার হয় ভাবেন, তবে তিনি সর্ব শক্তিমান — এটা মানছেন কই? সর্ব শক্তিমান কখনই নিজের সেবা চান না, চাইলে তার সৃষ্টির সেবাই চাইবেন। আদৌ তার যদি তা দরকার হয়! সুতরাং অতিভক্তি ধার্মিকতা নয়, মানুষের কল্যাণ ও ভালোবাসাই আসল ধর্ম।

মানুষে মানুষে বিভেদের প্রকৃত কারণ

মানুষে মানুষে বিভাজনের প্রকৃত কারণ The real cause of division among people প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে মানা বা তাকে শ্রদ্ধা করার কোন কারণ বা যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই মানুষকে বিভক্ত করে দিয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়, জাতি ও বর্ণে। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব ও খুনোখুনি। যদিও ধর্মের প্রয়োজন হয়েছিল  স্বার্থের অন্যায্য বণ্টন ব্যবস্থাকে আটকাতে। আর এ থেকেই প্রমাণ হয়, এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে মানুষ। কারণ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা মানুষকে এভাবে ভাগ করেনি, কারণ করতে পারেন না। সৃষ্টিকর্তার তুলনায় অতি নগন্য ও ক্ষুদ্র একটা জীব হচ্ছে মানুষ। সে যদি তার সন্তানকে আলাদা চেহারা, বর্ন আকৃতি হওয়া সত্ত্বেও কাউকে আপন পর বা কেউ সুখে থাক আর কেউ দুঃখে থাক — এভাবে ভাবতে পারে না, তবে সৃষ্টিকর্তার মত সর্বশক্তির আধার কোন মহান ও দয়ালু সত্ত্বা এতটা নির্দয় কীভাবে হয়?

ধর্ম কখন অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে?

অশান্তির মূল কারণ কী ধর্ম? When did religion become a cause of unrest? যার জন্ম পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, সেই ধর্মই হয়ে উঠেছে পৃথিবী জুড়ে অশান্তির অন্যতম প্রধান কারণ। শুধু আজ নয়, যুগ যুগ ধরেই চলছে ধর্মের নামে এই হত্যাযজ্ঞ। এটাই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রত্যেকটি ধর্মের মূল উদ্দেশ্যই হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।  কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে ধর্মের উৎপত্তি, সেই ধর্ম যখনই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, দলে দলে মানুষ তাকে মান্যতা দিয়েছে, জায়গা করে দিয়েছে নিজ হৃদয়ের গভীরে; তখনই ধর্মকে রাজনীতিকরা কব্জা করার চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। আর তখন থেকেই ধর্ম অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। এভাবে বৌদ্ধ ধর্ম হীনযান ও মহাযান হয়েছে, ইসলাম ধর্ম শিয়া ও সুন্নি সহ অসংখ্য মযহাব - এ বিভক্ত হয়ে গেছে, সনাতন ধর্মে এক ব্রহ্মা ৩৩ কোটি দেবতায় বিভক্ত হয়ে গেছেন। আমাদের দেশের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল মতুয়া ধর্ম। যে ধর্ম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ এই ধর্মমতের উদ্ভব, তারাই রাজনৈতিকভাবে তাকে ব্যবহার করা শুরু করেছেন। এবং বর্তমানে মতুয়াদের বিভিন্ন গোষ

হিজাব বা বোরখার প্রচলনের প্রকৃত কারণ

 হিজাব বা বোরখা প্রচলনের প্রকৃত কারণ Nasir Uddin আপনি তো ভাই, আমার লেখাটা পুরো পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। অনেকগুলো কথা বলেছি। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে। সবগুলো এড়িয়ে গেলেন। সেগুলো আপনার মনে ধরলো না। আপনার চোখ আটকে গেলো হিজাব বোরখায়? হিজাব বা বোরখা এক ধরনের পোশাক। যার ইচ্ছা হবে সে পরবে। যার হবে না, সে পরবে না। এ ব্যাপারে তো আমার বলার কিছু নেই। বলিও না। এর সঙ্গে লেখাপড়া হওয়া, না হওয়ার তেমন কোন সম্পর্কও নেই। আমার বলার বিষয় হল, ছোট বেলা থেকে একটা মেয়েকে সেটা যদি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছাপিয়ে দেওয়া হয়, অথবা মগজ ধোলাই করে তাকে পরোক্ষভাবে চাপ দেওয়া হয়। এবং সেটা যদি সমাজে ধর্মের নামে বাধ্যতামূলক হয়ে যায় তবে সমাজে তার নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। মেয়েটার জীবনে তো পড়বেই। কারণ, এই মগজ ধোলাই করতে গিয়ে এমন সব আজগুবি ও ভয় ভীতির কাহিনী তার সামনে তুলে ধরা হয় যে, তার আর স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা তৈরি হয় না। এটা একটা বাচ্চার শিক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রচন্ড অন্তরায় হয়ে ওঠে। প্রতিটা কাজ করতে গেলে তার শরিয়তের ব্যাখ্যা দরকার হয়ে পড়ে, যা সহজে পাওয়া যায় না। তার ওপর এক একজন একেক রকম

ইসলামের মূল কথা কি অন্ধ বিশ্বাস?

 ইসলামের মূল কথা কী অন্ধ বিশ্বাস? মাহরাম ছাড়া বাইরে বেরোনো নিষেধ। এর কি উপায় হবে? Sonai Mondal আমি যতটা জানি, ‘মাহরাম’ ইসলামে নারীর জন্য আবশ্যিক শর্ত নয়। নারীর নিরাপত্তার কারণে এর প্রচলন। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে ভ্রমন করতেই পারেন একা একা। যারা ধার্মিক নয়, এমন কী মুসলিমও নয়, তারাও মেয়েদের নিরাপত্তার কারণে সঙ্গে কেউ না কেউ যায়। এটা প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। এতে ধর্মীয় মোড়ক দেওয়ার প্রয়োজন নেই। Ali Hossain শরিয়তে এটা বাধ্যতামূলক। Sonai Mondal এক এক হাদীসে এক এক রকম বলা আছে। আর এই হাদিসগুলো নবীজীর মৃত্যুর তিন শ বছর পর বিভিন্ন শাসকের ধর্মীয় পরামর্শ দাতাদের মন গড়া বয়ান বা ব্যাখ্যা। তাই এটা আবশিক নয়। Ali Hossain সহি হাদীস ছাড়া ইসলাম অচল। তাই যে হাদীসে অসুবিধা সেটা খেয়াল খুশি মতো বাতিল করা যায় না। Sonai Mondal খেয়াল খুশি মতো কিছুই করা যায় না। সবকিছুর জন্য যুক্তি বুদ্ধির প্রয়োগ করতে হয়। সঙ্গে মানুষের ভালোকে সামনে রাখতে হয়। সূরা আল শামস এ সেকথাই বলা আছে। সহি হাদিস ছাড়া ইসলাম অচল, কথাটা ধর্ম ব্যবসায়ীরা বলেন, আর আমরা যাচাই না করেই তা মেনে নেই। একটু খেয়াল করলেই

আধুনিক সমাজে ধর্ম টিকে থাকার কারণ

আধুনিক সমাজে ধর্ম টিকে থাকার কারণ Religion is the reason for survival in modern society ধর্ম হচ্ছে শাসকের হাতিয়ার। আজ নয়, যুগ যুগ ধরে কিছু শাসক এদের ব্যবহার করে আসছে। এদের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে আজকের যুগে ধর্ম অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়তো। অথবা মানুষের ব্যক্তি জীবনে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ত। পৃথিবীতে এমন কিছু রাষ্ট্র আছে যেখানে এটাই ঘটেছে। যেমন, সুইডেন নরওয়ে, উত্তর কোরিয়া, কিউবা, চিন ইত্যাদি।

ঈশ্বরের কি মৃত্যু আছে?

ঈশ্বরের কি মৃত্যু আছে? Does God have death? মানুষ যেদিন যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠবে, সেদিন ঈশ্বর নামক অলৌকিক স্বত্বার মৃত্যু ঘটবে। কেননা, ১) ঈশ্বরের অস্তিত্ব নির্ভর করে মানুষের বিশ্বাসের ওপর। আর ২) যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় না। 

বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি

বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি What is the origin of science and religion? বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি এক। একই মাতৃগর্ভে তাদের উৎপত্তি ও বেড়ে ওঠা। ভূমিষ্ঠ হবার পর একটু একটু করে বাড়তে থাকার সময় তাদের রূপ, চেহারা ও দর্শন পৃথক হতে থাকে। আস্তে আস্তে পৃথক চরিত্র লাভ করে। বাধে সংঘর্ষ। এ যেন একই মায়ের গর্ভে জন্মানো দুই ভাইয়ের মধ্যে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিবাদের অন্তহীন লড়াই। অথচ একই জিজ্ঞাসা থেকে উভয়ের জন্ম। জগৎ ও জীবনের অপার রহস্য উন্মোচনই ছিল এদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে একপক্ষ যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্যের উপর ভর করল, অন্যপক্ষ যুক্তি বুদ্ধির সঙ্গে বিশ্বাস মিশিয়ে দিল । পরবর্তীকালে এই বিশ্বাসই নির্ভরতার একমাত্র জমি দখল করে নিজে সর্বেশ্বরবা হয়ে উঠলো। জন্ম হলো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের । অন্য দিকে, যারা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা অব্যাহত রাখল, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পূর্বের ধারণা বা সিদ্ধান্তকে সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো, তারা রূপ নিল বিজ্ঞানে । যারা বিশ্বাসে ভর করলো, তারা পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন ও সংযোজন-এর প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করলো। ফলে সময়ের পরিবর্তনে

ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী?

 ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী? What is the goal of religion? ধর্মচর্চার মূল লক্ষ্য হল আত্মশুদ্ধি। এবং ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে পারলৌকক জীবনের শাস্তি এড়ানো ও সুখি জীবন প্রাপ্তি। যে জীবনের কাছে লৌকিক জীবন অতি তুচ্ছ। লৌকিক জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য একজন ধার্মিকের কাছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ও তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই জীবন কার?  তা একজন ব্যাক্তির একান্তই নিজস্ব। এর জন্য কী করণীয়? আধ্যাত্মবাদী দর্শন অনুসারে তা হল, একান্তে, নিভৃত-নির্জনে আধ্যাত্ম সাধনা বা ঈশ্বর সাধনা করা। এই ধরণের সাধনাই ধর্ম সাধনা। এই ধরনের সাধনা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে। কোন ব্যক্তি যে ধর্মে বিশ্বাসী হন, সেই ধর্মের মূল গ্রন্থেই আছে তার জীবন-বিধান। সেই বিধি বিধান মেনে জীবন যাপন করাই হল একজন ধার্মিকের একমাত্র কাজ। আধুনিক যুগে এই সাধনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। এর জন্য কোন ধর্মগুরুর স্মরণ নেওয়া বা তার অনুসারী হওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রনেতার পৃষ্ঠপোষকতারও তার প্রয়োজন পড়ে না। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলেই ধর্ম দর্শনকে বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। ধর্মগ্র

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা মনুষ্য সমাজকে সবচেয়ে বেশি বিভাজিত করেছে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। প্রতিটি ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে মানব কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য। যখনই তা সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তখনই তার দখল নিয়েছে ক্ষমতালিপ্সু একদল মানুষ। জন্ম দিয়েছে ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক রূপের। ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার বাসনায় ধর্মকেই তারা হাতিয়ার করেছে। ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজিত করার কৌশলটাই সেই হাতিয়ার। ফলে মানুষ দলে দলে ভাগ হয়ে গেছেন নানা রঙের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের ছত্র-ছায়ায়। ধর্মের দুর্বলতা এখানেই যে সে নিজেকে ক্ষমতালিপ্সু মানুষদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। তাই কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম নয়, মানুষের প্রকৃত ধর্ম হওয়া উচিত মানবধর্ম। যার মূলকথা হলো মানব কল্যাণ ও মানব প্রেম। ধর্ম যদি মানতেই হয় মানব ধর্মকে মানুন, মানুষের কল্যাণই যেখানে একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। ধর্মের দুর্বলতা দূর করার উপায় কী?

প্রকৃত ধর্ম কী এবং কেন?

প্রকৃত ধর্ম কী এবং কেন?  যে ধর্ম ধনী ও দরিদ্রের অবস্থাকে মান্যতা দেয়, এবং দরিদ্রকে ধনীরদের দান করার পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে ধন-বৈষম্যকে ন্যায্যতা দেয়, সে ধর্ম ধর্মই নয়। কারণ, প্রকৃত ধর্ম মানুষের মধ্যে ধনবৈষম্যকে মান্যতা দিতে শেখায় না।  পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ও তার ক্রমবিবর্তনের প্রথম পর্বে মানুষ সঙ্ঘবদ্ধভাবে পশু শিকার ও খাদ্যশস্য সংগ্রহের মাধ্যমে জীবন ধারণ করত। এই জীবন ব্যবস্থা মূল বৈশিষ্ট্য হল সমবন্টনের মাধ্যমে একটি সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যা ‘আদিম সাম্যবাদ’ নামে পরিচিত। সময়ের সাথে সাথে মানব সভ্যতায় আসে নানা পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ভিত্তিভূমি হল মানুষের চিন্তাশক্তির বিবর্তন। মানুষ তার বিবর্তিত চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করে ফেলে কৃষিকাজ। কৃষির আবিষ্কারের পর মানুষের মধ্যে দেখা দেয় সম্পদ সঞ্চয়ের প্রবণতা। জন্ম নেয় ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা। ফলে সমবন্টন ব্যবস্থার ধারণা পাল্টে যেতে থাকে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাড়াতে গিয়ে শুরু হয় এক ব্যক্তির সম্পদের উপর অপর ব্যক্তির কর্তৃত্ব স্থাপনের তাগিদ। বিবর্তিত চিন্তাশক্তির কল্যাণে, বুদ্ধি ও পেশী শক্

হিন্দু কারা? তারা কীভাবে হিন্দু হল?

হিন্দু কারা? তারা কীভাবে হিন্দু হল? অমিত শাহ। উনি হিন্দু হলেন কবে থেকে? তাঁর পদবী বলে দিচ্ছে উনি এদেশীয় নন। ইরানি বংশোদ্ভুত। কারণ, ইতিহাস বলছে পারস্যের রাজারা ‘শাহ’ উপাধি গ্রহণ করতেন। এবং শাহ শব্দটি পার্শি বা ফার্সি। লালকৃষ্ণ আদবানি। আদবানি শব্দটিও এদেশীয় নয়। আরবি শব্দ আদবান থেকে উদ্ভূত। সুতরাং তাঁর উপাধিও বলছে, তিনিও এদেশীয় নন। আসলে এরা (উচ্চবর্ণের মানুষ) কেউই এদেশীয় নয়। এরা নিজেদের আর্য বলে দাবি করতেন এবং গর্ববোধ করতেন। সিন্ধু সভ্যতা পরবর্তীকালে তারা পারস্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এদেশে অভিবাসিত হয়েছেন। আর মধ্যযুগে এদেশের আদিম অধিবাসীদের পারস্যের কিছু পর্যটক ঐতিহাসিক হিন্দু বলে তাচ্ছিল্য করেছেন। কারণ, অনার্য সভ্যতা (আদি ভারতীয় সভ্যতা) আর্যদের কাছে নিম্নস্তরের বলে বিবেচিত হতো আদিকাল থেকেই। সুতরাং তাদেরই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হিন্দু হল এদেশের আদিম অধিবাসী যারা, তারা। মনে রাখা দরকার, এই আদিম অধিবাসীরা কিন্তু নিজেদের কোনদিন হিন্দু বলে ভাবতো না, বিশ্বাসও করত না। মূল ধারায় যারা রয়ে গেছে এখনও, তারাও তা ভাবেন না। এটা তাদের চাপিয়ে দেয়া পরিচয়। ইরানিরা (অমিত শাহের পূর্বপুরুষ) এ দেশের আদি

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে