ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য: Alvito D Chuna না। মুসলিম কোন ধর্ম নয়। ধর্ম হল ইসলাম। এখানে এই পোস্টে ভোটের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা। রাজনীতিতে হিন্দু মুসলমান হয় না। রাজনীতিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস —এসব হয়। যদিও কিছু দল আমাদের বোকা ভেবে রাজনীতি আর ধর্ম এক করে দেখানোর চেষ্টা করছে।  প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষ এটা জানে। রাজনীতি হচ্ছে পলিটিক্স। সে সম্পর্কিত বিষয়ের নাম হচ্ছে পলিটিক্যাল সাইন্স বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান। যারা এটা পড়েছেন, তারা জানেন, রাজনীতি আর ধর্ম এক বইয়ের বিষয় থাকে না। এর জন্য আলাদা গ্রন্থ লাগে। দা প্রিন্স, অর্থশাস্ত্র —এগুলো রাজনীতির বই। বেদ, গীতা, বাইবেল, কোরআন —এগুলো ধর্মগ্রন্থ। ধর্মের বই। ধর্মের বইতে লেখা থাকে কীভাবে ধর্ম পালন করতে হয়। ঈশ্বরের অর্থাৎ আল্লাহ বা ভগবানকে পাওয়ার জন্য কী ধরনের আচার-আচরণ করতে হয়, কোন কোন নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর বিষয়ক বিষয়। অন্যদিকে, রাজনীতি হল রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, পরিচালনার আধুনিক নিয়ম-কানুন কী, সেসব কথা সেখানে ব...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়   ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...