সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হিজাব বা বোরখার প্রচলনের প্রকৃত কারণ

 হিজাব বা বোরখা প্রচলনের প্রকৃত কারণ

Nasir Uddin আপনি তো ভাই, আমার লেখাটা পুরো পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। অনেকগুলো কথা বলেছি। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে। সবগুলো এড়িয়ে গেলেন। সেগুলো আপনার মনে ধরলো না। আপনার চোখ আটকে গেলো হিজাব বোরখায়?

হিজাব বা বোরখা এক ধরনের পোশাক। যার ইচ্ছা হবে সে পরবে। যার হবে না, সে পরবে না। এ ব্যাপারে তো আমার বলার কিছু নেই। বলিও না। এর সঙ্গে লেখাপড়া হওয়া, না হওয়ার তেমন কোন সম্পর্কও নেই।

আমার বলার বিষয় হল, ছোট বেলা থেকে একটা মেয়েকে সেটা যদি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছাপিয়ে দেওয়া হয়, অথবা মগজ ধোলাই করে তাকে পরোক্ষভাবে চাপ দেওয়া হয়। এবং সেটা যদি সমাজে ধর্মের নামে বাধ্যতামূলক হয়ে যায় তবে সমাজে তার নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। মেয়েটার জীবনে তো পড়বেই।

কারণ, এই মগজ ধোলাই করতে গিয়ে এমন সব আজগুবি ও ভয় ভীতির কাহিনী তার সামনে তুলে ধরা হয় যে, তার আর স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা তৈরি হয় না। এটা একটা বাচ্চার শিক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রচন্ড অন্তরায় হয়ে ওঠে। প্রতিটা কাজ করতে গেলে তার শরিয়তের ব্যাখ্যা দরকার হয়ে পড়ে, যা সহজে পাওয়া যায় না। তার ওপর এক একজন একেক রকম ব্যাখ্যা দেওয়ার ফলে সে কোনটা সঠিক তা বুঝতে না পেরে তার আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যায়। সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।

দ্বিতীয় যে কথাটি বলেছি তা হল, এটা না পরলে অধর্ম হয়ে যায় না। আল্লাহ কোনভাবেই রুষ্ট হন না। উদাহরণ ও যুক্তি দিয়ে সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি। তাই এটা চাপিয়ে দিলে মুসলিম সমাজের ক্ষতি-বই-লাভ হবে না।

বড় হওয়ার পর সে যদি ভালোবেসে তা পরে, তবে কার কী বলার আছে। সেটা তার চয়েজ। অন্যান্য পোশাক বেছে নেওয়ার মতই।

দেখুন, আমার পড়াশোনার গভীরতার ওপর নির্ভর করবে আমি চাকরি পাবো, কী পাবো না। দুর্নীতি তো আলাদা বিষয়। সেখানে হিন্দু মুসলিম বলে কিছু হয় না। সেখানে টাকাই সব। অন্যথায়, যোগ্যতমোকে আটকে রাখা যায় না। আমার গ্রামের খতিপ সাহেব বলেছিলেন আমার চাকরি হবে না। মুসলিম বলে। বাজি ধরেছিলেন। হলে এক মসজিদ মানুষকে খেতে দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু একটু দেরি হলেও আমাকে আটকানো যায়নি।

আপনার নামই যদি আপনার ছেলেমেয়ের চাকরি অন্তরায় হয়, তবে আপনি চাকরি পেয়েছিলেন কীভাবে?

Nasir Uddin বাহ্! যুক্তি তর্কে হেরে গেলে বুঝি প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বা এড়িয়ে মানুষকে চ্যাংড়া 420 বলতে হয়? ইসলাম বুঝি সেই শিক্ষা দেয়? আসলে আপনাদের মতো বক ধার্মিকদের জন্য ইসলামের বদনাম হয়।

নিজের মুখ দেখাতে তো লজ্জা পান মনে হয়। নাকি ভয় পান? ধরা খাওয়ার ভয়। অন্যের মুখ দেখে মন্তব্য করার আগে, নিজের বদনটা একবার দেখান! সেখানে কী লেখা আছে সবাই একটু দেখুক। কী বলেন?

আলো ঢুকলে বুঝি পুরুষ সাধারণ শালীন পোশাক পরে, আর বাড়ির নারী সদস্যের অন্ধকারে আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হয়? হাসালেন ভাই। আরব দেশগুলোতে নারী পুরুষ উভয়ই পর্দা করে। জানেন? আপনি তা করেন?

মনে রাখুন, ওরা করেন প্রধানত, পরিবেশ গত কারণে। দ্বিতীয়ত, কোরআনে নারী পুরুষ উভয়কেই লজ্জাস্থান হেফাজত করার কথা বলা আছে। একা নারীর নয়। পুরুষের দায়িত্ব পালনের কথা দিয়ে তার শুরু হয়ছে এবং নারীকে সতর্ক করার পর পুনরায় পুরুষকে সাবধান করা হয়েছে। কারণ, প্রাকৃতিক কারণে নারীরা ধর্ষক হতে পারেননা। কিন্তু পুরুষের এ ধরণের প্রাকৃতিক বাধার মুখোমুখি হতে হয় না। তাই নারীরাই বেশি ভিকটিম হয়। একারণেই পুরুষকে দু'দুবার সতর্ক করা হয়েছে। বোঝেন? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন নারীর উপর নিজের আধিপত্য কায়েম করার জন্য।

অনেক হয়েছে। এবার থাকুন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বন্ধুর তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয় আছে ভাইজান। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা না করে, যারা আজেবাজে বকে, মানুষকে অসম্মান করে, তারা আমার বন্ধু তালিকায় বেশি দিন থাকতে পারেন না। তাই একটু বন্ধু সুলভ আচরন করুন। ঠিক আছে?

আর একটা কথা, পরের মুখে ঝাল না খেয়ে, সময় থাকলে বাংলা কোরআন শরীফটা একটু পড়ুন। ওটা পড়লে দেখবেন আপনি যা করছেন, বা বলছেন, তা ইসলাম নয়।

ভালো থাকুন। আপনার শুভবুদ্ধির অপেক্ষায় রইলাম। শুভ সকাল। ---------

Ali Hossain Face is the index of mind.আর কোরআনে হাফেজ নই,কিন্তু আরবী,কোরআনের বাংলাতর্জমা,প্রথম ইংরাজী তর্জমাকারি (Marmaduke Picthall এর ইংরাজী কুরআন-সবই বাড়িতে আছে এবং তা পড়েওছি কারও মুখে মুখে মূর্খদের মত শিখতে হয়না। আর পর্দা যে উভয় তরফে সেটা একবার যে নিজে কুর'আন পড়েছে তাকে পড়ের কাছ থেকে মুখে মুখে শুনে শিখতে হয় না।(হিন্দি,সংস্কৃত ছাত্র হিসাবে পড়েছি-এটাও সৌভাগ্য)কিন্তু আরবী,উর্দুও বাড়ির চর্চা হিসাবে পড়তে সাবলীল (ব্যাকরনগত ভাবে শেখা হয়নি যেহেতু অমুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা এবং স্কুলে ছিল না)। তাই কোনটা ভুল কোনটা ঠিক এটুকু পড়ে বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা/সুবিধা বাড়িতে বসেই সম্ভব। হিজাব পড়েও আমেরিকার মত জায়গায় মেয়েদের উচ্চপদে আসীন হওয়া যায় আর ভারতে বসে আধুনিক শিক্ষার জ্ঞান শুনলে এমনিতেই মেজাজ বিগরাবে। আমাদের বাড়ীর মেয়েরাও সব রকম শিক্ষাপ্রাপ্ত।(অমুসলিম মেয়েরা/প্রতিবেশী ব্রাহ্মণ আমাদের উদ্দেশ্যে ছোটবেলায় বলত,"মাগো মোচোমানরা আবার ঘরে হাগে।") এখন ঐ আধুনিক শিক্ষাওয়ালাদের জন্য announce করতে হচ্ছে বাড়িতে পায়খানা করার জন্য।(শালিনতার পোষাক ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য- কিন্তু হিজাব, বোরখা কেউ পড়লে অন্যের অসুবিধা কি? আর করোনা periodএ বাঁচার তাগিদেতো সব্বাইকেতো আপাদ মস্তক ঢাকতে হয়েছিল)।...আলো.....অন্ধকারের যে উপমা সেটাকেও অপরের কাছে জ্ঞানী সাজার জন্য অপব্যখ্যা। আমিতো মহামান্যেকে.................

Nasir Uddin এত কিছু পড়েছেন? তা বেশ! আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়েই জিজ্ঞাসা করছি। বলুন তো, যা যা আপনি পড়েছেন, তার মধ্যে কোন গ্রন্থ পড়ে শিখলেন যে, কারও সঙ্গে মত পার্থক্য হলে তাকে 420 বলতে হয়? বা অসম্মান করতে হয়?

মেজাজ বিগড়ায়? কেন? পড়েননি রাগ হারাম। আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণকারীদের পছন্দ করেন। যারা তা পারেন না, তাদের তিনি পছন্দ করেন না।

পাঠকের প্রতিক্রিয়া পড়ুন ফেসবুকে

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে