হিজাব বা বোরখা প্রচলনের প্রকৃত কারণ
Nasir Uddin বাহ্! যুক্তি তর্কে হেরে গেলে বুঝি প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বা এড়িয়ে মানুষকে চ্যাংড়া 420 বলতে হয়? ইসলাম বুঝি সেই শিক্ষা দেয়? আসলে আপনাদের মতো বক ধার্মিকদের জন্য ইসলামের বদনাম হয়।
নিজের মুখ দেখাতে তো লজ্জা পান মনে হয়। নাকি ভয় পান? ধরা খাওয়ার ভয়। অন্যের মুখ দেখে মন্তব্য করার আগে, নিজের বদনটা একবার দেখান! সেখানে কী লেখা আছে সবাই একটু দেখুক। কী বলেন?
আলো ঢুকলে বুঝি পুরুষ সাধারণ শালীন পোশাক পরে, আর বাড়ির নারী সদস্যের অন্ধকারে আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হয়? হাসালেন ভাই। আরব দেশগুলোতে নারী পুরুষ উভয়ই পর্দা করে। জানেন? আপনি তা করেন?
মনে রাখুন, ওরা করেন প্রধানত, পরিবেশ গত কারণে। দ্বিতীয়ত, কোরআনে নারী পুরুষ উভয়কেই লজ্জাস্থান হেফাজত করার কথা বলা আছে। একা নারীর নয়। পুরুষের দায়িত্ব পালনের কথা দিয়ে তার শুরু হয়ছে এবং নারীকে সতর্ক করার পর পুনরায় পুরুষকে সাবধান করা হয়েছে। কারণ, প্রাকৃতিক কারণে নারীরা ধর্ষক হতে পারেননা। কিন্তু পুরুষের এ ধরণের প্রাকৃতিক বাধার মুখোমুখি হতে হয় না। তাই নারীরাই বেশি ভিকটিম হয়। একারণেই পুরুষকে দু'দুবার সতর্ক করা হয়েছে। বোঝেন? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন নারীর উপর নিজের আধিপত্য কায়েম করার জন্য।
অনেক হয়েছে। এবার থাকুন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বন্ধুর তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয় আছে ভাইজান। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা না করে, যারা আজেবাজে বকে, মানুষকে অসম্মান করে, তারা আমার বন্ধু তালিকায় বেশি দিন থাকতে পারেন না। তাই একটু বন্ধু সুলভ আচরন করুন। ঠিক আছে?
আর একটা কথা, পরের মুখে ঝাল না খেয়ে, সময় থাকলে বাংলা কোরআন শরীফটা একটু পড়ুন। ওটা পড়লে দেখবেন আপনি যা করছেন, বা বলছেন, তা ইসলাম নয়।
ভালো থাকুন। আপনার শুভবুদ্ধির অপেক্ষায় রইলাম। শুভ সকাল। ---------
Ali Hossain Face is the index of mind.আর কোরআনে হাফেজ নই,কিন্তু আরবী,কোরআনের বাংলাতর্জমা,প্রথম ইংরাজী তর্জমাকারি (Marmaduke Picthall এর ইংরাজী কুরআন-সবই বাড়িতে আছে এবং তা পড়েওছি কারও মুখে মুখে মূর্খদের মত শিখতে হয়না। আর পর্দা যে উভয় তরফে সেটা একবার যে নিজে কুর'আন পড়েছে তাকে পড়ের কাছ থেকে মুখে মুখে শুনে শিখতে হয় না।(হিন্দি,সংস্কৃত ছাত্র হিসাবে পড়েছি-এটাও সৌভাগ্য)কিন্তু আরবী,উর্দুও বাড়ির চর্চা হিসাবে পড়তে সাবলীল (ব্যাকরনগত ভাবে শেখা হয়নি যেহেতু অমুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা এবং স্কুলে ছিল না)। তাই কোনটা ভুল কোনটা ঠিক এটুকু পড়ে বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা/সুবিধা বাড়িতে বসেই সম্ভব। হিজাব পড়েও আমেরিকার মত জায়গায় মেয়েদের উচ্চপদে আসীন হওয়া যায় আর ভারতে বসে আধুনিক শিক্ষার জ্ঞান শুনলে এমনিতেই মেজাজ বিগরাবে। আমাদের বাড়ীর মেয়েরাও সব রকম শিক্ষাপ্রাপ্ত।(অমুসলিম মেয়েরা/প্রতিবেশী ব্রাহ্মণ আমাদের উদ্দেশ্যে ছোটবেলায় বলত,"মাগো মোচোমানরা আবার ঘরে হাগে।") এখন ঐ আধুনিক শিক্ষাওয়ালাদের জন্য announce করতে হচ্ছে বাড়িতে পায়খানা করার জন্য।(শালিনতার পোষাক ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য- কিন্তু হিজাব, বোরখা কেউ পড়লে অন্যের অসুবিধা কি? আর করোনা periodএ বাঁচার তাগিদেতো সব্বাইকেতো আপাদ মস্তক ঢাকতে হয়েছিল)।...আলো.....অন্ধকারের যে উপমা সেটাকেও অপরের কাছে জ্ঞানী সাজার জন্য অপব্যখ্যা। আমিতো মহামান্যেকে.................
Nasir Uddin এত কিছু পড়েছেন? তা বেশ! আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়েই জিজ্ঞাসা করছি। বলুন তো, যা যা আপনি পড়েছেন, তার মধ্যে কোন গ্রন্থ পড়ে শিখলেন যে, কারও সঙ্গে মত পার্থক্য হলে তাকে 420 বলতে হয়? বা অসম্মান করতে হয়?
মেজাজ বিগড়ায়? কেন? পড়েননি রাগ হারাম। আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণকারীদের পছন্দ করেন। যারা তা পারেন না, তাদের তিনি পছন্দ করেন না।
পাঠকের প্রতিক্রিয়া পড়ুন ফেসবুকে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন