ইসলামের মূল কথা কী অন্ধ বিশ্বাস?
মাহরাম ছাড়া বাইরে বেরোনো নিষেধ। এর কি উপায় হবে?
Sonai Mondal আমি যতটা জানি, ‘মাহরাম’ ইসলামে নারীর জন্য আবশ্যিক শর্ত নয়। নারীর নিরাপত্তার কারণে এর প্রচলন। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে ভ্রমন করতেই পারেন একা একা। যারা ধার্মিক নয়, এমন কী মুসলিমও নয়, তারাও মেয়েদের নিরাপত্তার কারণে সঙ্গে কেউ না কেউ যায়। এটা প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। এতে ধর্মীয় মোড়ক দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
Ali Hossain শরিয়তে এটা বাধ্যতামূলক।
Sonai Mondal এক এক হাদীসে এক এক রকম বলা আছে। আর এই হাদিসগুলো নবীজীর মৃত্যুর তিন শ বছর পর বিভিন্ন শাসকের ধর্মীয় পরামর্শ দাতাদের মন গড়া বয়ান বা ব্যাখ্যা। তাই এটা আবশিক নয়।
Ali Hossain সহি হাদীস ছাড়া ইসলাম অচল। তাই যে হাদীসে অসুবিধা সেটা খেয়াল খুশি মতো বাতিল করা যায় না।
Sonai Mondal খেয়াল খুশি মতো কিছুই করা যায় না। সবকিছুর জন্য যুক্তি বুদ্ধির প্রয়োগ করতে হয়। সঙ্গে মানুষের ভালোকে সামনে রাখতে হয়। সূরা আল শামস এ সেকথাই বলা আছে।
সহি হাদিস ছাড়া ইসলাম অচল, কথাটা ধর্ম ব্যবসায়ীরা বলেন, আর আমরা যাচাই না করেই তা মেনে নেই। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, একই বিষয়ে বিভিন্ন ধর্ম তাত্ত্বিক ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। আপনি কীভাবে বুঝবেন কোনটা সহি? এতগুলো মযহাব প্রমাণ করে সহি কথাটা এক এক জনের কাছে এক রকম। তাই এর মান্যতা অন্ধের মতো দেওয়া যায় না।
Ali Hossain বিভিন্ন ক্লাসিক্যাল স্কলাররা সারা জীবনের গবেষণা দিয়ে হাদীস গুলো সহি এবং জয়িপ নির্নয় করেছে যা সারা বিশ্বের সুন্নিরা মেনে চলে। হাদীস ছাড়া অজু করার নিয়ম, সালাত, বিভিন্ন দোয়া দরুদ আপনি কোথায় পাবেন? ইসলামে মগজের কোন স্হান নেই, ইসলাম হল অন্ধ অনুকরনের বিষয়। সুরা বাকারা আয়াত নং তিন পড়ে দেখুন।
Sonai Mondal তার মানে হাদীস তৈরি হওয়ার আগে কেউ মুসলমান ছিলেন না। কেউ নামাজ পড়তেন না। ভাই, সেগুলোর সবই কোরআনে আছে, যেটা থাকা দরকার আছে। যেটা নেই, সেটা দরকার নেই বলে, সেখানে নেই। তা নিয়ে ভাবারও দরকার নেই। কারণ, জগতে ভাবার অনেক অনেক বিষয় আছে। সেগুলো নিয়ে ভাবতে বলেছে, গবেষণা করতে বলেছে। অন্ধ হয়ে থাকতে বলে নি। আল্লাহ আছেন এবং কেয়ামত হবে - এটাই কেবলমাত্র অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে বলেছেন। বাকি কোন কিছুই অন্ধের মত বিশ্বাস করতে বলেনি।
সূরা বাকারার তিন নং আয়াতে কী আছে ভাই?
“যারা গায়েবের [১] প্রতি ঈমান আনে [২], সালাত কায়েম করে [৩] এবং তাদেরকে আমরা যা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে [৪]।”
এই ‘গায়েব’ মানে কী ভাই! হাদীস? না। ওটা আল্লাহ ও তার বিধান যা কোরানে আছে। তার প্রতি ঈমান আনার কথা বলেছে। হাদীসের প্রতি নয়।
আর ‘সালাত’ শব্দের মানে ‘নামাজ’ নয়। সময় করে কোন একদিন নিশ্চয়ই বলবো।
আজ এই পর্যন্ত থাক ভাইজান। আমি বুঝেছি, আমি একটু কম বুঝি। তাই বিতর্ক করে লাভ নেই।
ইসলাম যদি অন্ধ অনুকরণের বিষয় হয়, সে ইসলাম আমার জন্য নয়। ওটা আপনার। তাই আপনার সঙ্গে আমার আলোচনা বৃথাই হবে। শুধু চারটে প্রশ্ন রাখছি।
১) বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কী সত্যিই অন্ধবিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে? ২) যুক্তি বুদ্ধির সেখানে কোন ভূমিকা নেই! 😄😄 ৩) মানুষ চাঁদে চলে গেল - তা কী অন্ধ বিশ্বাসে ভর করেই? ৪) যদি তাই হয়, তবে তো ইসরো, নাসা, রসকসমস এর গবেষণার কোন প্রয়োজন হতো না। এবং তারা তো আপনার মতো অন্ধ বিশ্বাস রাখেনি। তাহলে হল তারা চাঁদে চলে গেল কীভাবে? ৫) আমরা পারিনি কেন?
ভাবতে থাকুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
Ali Hossain হাদীস হল নবীজির বানী। হাদীস আলাদা ভাবে তৈরি হয় নি। হাদীস পরে সংকলিত হয়েছে।
অজুর ও নামাজের নিয়মাবলী কোরআন থেকে দেখান? আমার বক্তব্য হল হাদীস বাদ ইসলাম অসম্পূর্ণ। তাই যদি হত তাহলে এতদিন হাদীসের অস্তিত্ব থাকত না। দুনিয়ার সব মুসলিমরা এমনি এমনি হাদিস মেনে চলত না।
আর কোরানে যে বিজ্ঞান বলা হয়েছে সেগুলো আধুনিক গবেষণা দ্বারা ভুল প্রমাণ হয়েছে। তাই ধর্ম ও বিজ্ঞান দুটি আলাদা বিষয়। কোরানে বলা হয়েছে আগে পৃথিবী পরে ইউনিভার্স তৈরি হয়েছে যেটা সম্পূর্ণ ভুল। এছাড়া কোরানে আরও প্রচুর ভুল আছে।
Sonai Mondal তার মানে, হাদীস তৈরি হওয়ার আগে কেউ মুসলমান ছিলেন না? কেউ নামাজ পড়তেন না? ভাই, সেগুলোর সবই কোরআনে আছে, যেটা থাকা দরকার আছে। যেটা নেই, সেটা দরকার নেই বলে, নেই। তা নিয়ে ভাবারও দরকার নেই। কারণ, জগতে ভাবার অনেক অনেক বিষয় আছে। সেগুলো নিয়ে ভাবতে বলেছেন, গবেষণা করতে বলেছেন। অন্ধ হয়ে থাকতে বলেন নি। আল্লাহ আছেন এবং কেয়ামত হবে - এটাই কেবলমাত্র অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে বলেছেন। বাকি কোন কিছুই অন্ধের মত বিশ্বাস করতে বলেননি।
সূরা বাকারার তিন নং আয়াতে কী আছে ভাই?
“যারা গায়েবের [১] প্রতি ঈমান আনে [২], সালাত কায়েম করে [৩] এবং তাদেরকে আমি যা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে [৪]।”
এই ‘গায়েব’ মানে কী ভাই! হাদীস? না। ওটা আল্লাহ ও তার বিধান যা কোরানে আছে। তার প্রতি ঈমান আনার কথা বলেছে। হাদীসের প্রতি নয়।
আর ‘সালাত’ শব্দের মানে ‘নামাজ’ নয়। সময় করে কোন একদিন নিশ্চয়ই বলবো।
আজ এই পর্যন্ত থাক ভাইজান। আমি বুঝেছি, আমি একটু কম বুঝি। তাই বিতর্ক করে লাভ নেই।
ইসলাম যদি অন্ধ অনুকরণের বিষয় হয়, সে ইসলাম আমার জন্য নয়। ওটা আপনার জন্য। তাই আপনার সঙ্গে আমার আলোচনা বৃথাই হবে। শুধু চারটে প্রশ্ন রাখছি।
১) বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কী সত্যিই অন্ধবিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে? ২) যুক্তি বুদ্ধির সেখানে কোন ভূমিকা নেই! 😄😄 ৩) মানুষ চাঁদে চলে গেল - তা কী শুধু অন্ধ বিশ্বাসে ভর করেই? ৪) যদি তাই হয়, তবে তো ইসরো, নাসা, রসকসমস-এর বিজ্ঞানীদের গবেষণার কোন প্রয়োজন হতো না। এবং তারা তো আপনার মতো অন্ধ বিশ্বাস রাখেনি। তাহলে তারা চাঁদে চলে গেল কীভাবে? ৫) আমরা পারিনি কেন?
ভাবতে থাকুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
------------
Ali Hossain হাদীস হল নবীজির বানী। হাদীস আলাদা ভাবে তৈরি হয় নি। হাদীস পরে সংকলিত হয়েছে।
অজুর ও নামাজের নিয়মাবলী কোরআন থেকে দেখান? আমার বক্তব্য হল হাদীস বাদ ইসলাম অসম্পূর্ণ। তাই যদি হত তাহলে এতদিন হাদীসের অস্তিত্ব থাকত না। দুনিয়ার সব মুসলিমরা এমনি এমনি হাদিস মেনে চলত না।
আর কোরানে যে বিজ্ঞান বলা হয়েছে সেগুলো আধুনিক গবেষণা দ্বারা ভুল প্রমাণ হয়েছে। তাই ধর্ম ও বিজ্ঞান দুটি আলাদা বিষয়। কোরানে বলা হয়েছে আগে পৃথিবী পরে ইউনিভার্স তৈরি হয়েছে যেটা সম্পূর্ণ ভুল। এছাড়া কোরানে আরও প্রচুর ভুল আছে।
Sonai Mondal তার মানে কোরআনে ভুল থাকতে পারে, হাদীসে নয়! ভাই এবার আপনার নাম কাটা যাবে ইসলামের খাতা থেকে। 😄😄
আর আমি কখন বললাম যে, কোরআন মানে বিজ্ঞান? সেখানে যেমন ভুল আছে, হাদীসেও তেমন গাদা গাদা ভুল আছে। যা ভুল তা বাদ - সেটাই তো আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে বলতে চেয়েছি। যেটা ঠিক, সেটাই গ্রহনীয়।
আপনি তো দেখছি আমার কথাই বলে ফেললেন ভাই। এতক্ষণ তাহলে কীসের তর্ক করলেন?
আপনি কি জানেন হাদীস সৌদি আরব সংস্কার করতে, চলেছে? তাহলে কী দাঁড়াল? যা সংস্কার করা যায়, তা কীভাবে অবশ্য পালনীয় হয়?
আচ্ছা, তিনশো বছর পর কে কীভাবে যাচাই করলো, কোনটা নবীর বাণী, আর কোনটা নয়? আদৌ প্রমাণ করা সম্ভব? আর প্রমাণ যদি হত, তবে কোরআনের মতো হাদিসও তো একটাই হতো। আর যা হতো তার সবই সহিই হতো। শিয়া আর সুন্নিদের হাদীস আলাদা হয়ে যেতো না।
ভাই এবার ক্ষ্যান্ত দেন। না হলে আপনার ধর্ম চলে যাবে ভাই। সারাদিন ধরে ধর্ম রক্ষার যে লড়াই চালানেন তা পুরোপরিই পানিতে গুলে যাবে ভাই!
Ali Hossain আমার কথার এই মানে করলেন? আমার বক্তব্য হল কোরান হাদীস সবটা তে ভুল আছে। শুধু হাদীসের ভুল ধরলে হবে না।
প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন