সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বেড়া দিয়ে দারিদ্র্য ঢেকে বড়লোক প্রমাণ করা যায় না

বেড়া দিয়ে দারিদ্র্য ঢেকে যদি বড়লোক প্রমাণ করতে হয়, বিদেশি ধনী দেশগুলোর কাছে, তার চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?

Shyamal Podder মন্তব্য করেছেন :
এটাতো সমাজের সর্বস্তরেই আমরা দেখতে পাই, এতে অস্বাভাবিক কিছুতো নাই। বাড়িতে অতিথি এলে ঘরদোর গুছিয়ে পরিপাটি রাখার এই যে চেষ্টা এটাতো খারাপ কিছু না। বৃহদ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র করলেই বা দোষ কিসের! কোন পরিবার কি নিজেদের দৈন্যতা অতিথির নিকট দেখাতে চায়? যার যার ক্ষমতার মধ্যেই লোকে অতিথির নিকট থেকে নিজেদের দৈন্যতা ঢাকতে চায় এবং এটা দোষের নয়। কোন বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরিতে অতিথি এলেও লোকে সত্যিটা ওপর কিছু মিথ্যের ঢাকনা দিয়ে রাখে তা না হলেতো মানুষের মন যে নান্দনিকতাপ্রিয় ঐরকম ছোটখাট মিথ্যের আড়ালে সত্যকে না ঢাকলে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে মহাভারত থেকে অভয় বার্তা পাই যে ঐরকম করা দোষের নয়। বরঞ্চ ঐ ক্ষেত্রে বাস্তব সত্যিটাই অপ্রিয় সত্য হয়ে জটিলতার সৃষ্টি করে।

ধন্যবাদ।

আমার উত্তর :

Shyamal Podder সবাই করলেই তা ঠিক — এটা আমার মতে অযৌক্তিক। লুকিয়ে রেখে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা পারিবারিক অশান্তির জন্ম দেয়। আমাদের দেশে একারণেই পারিবারিক হিংসা বড্ড বেশি। একটা মিথ্যাকে ঢাকতে গেলে আরও চারটে মিথ্যা বলতে হয়। তাকে ঢাকতে আরও আটটা মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। এভাবে সম্পর্ক জটিল আকার ধারণ করে। মিথ্যাকে আশ্রয় করে যা গড়ে তুলবেন, তার ফল ভালো হবে না। হতে পারে না। তাই এটা এক ধরণের লজ্জাজনক অন্যায়।

কোন অন্যায় অধিকাংশ মানুষ করলেই তা ন্যায় হয়ে যায় না। নিশ্চয়ই এ অপরাধ মানুষ খুন করার মত অপরাধ নয়। তাই কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে তা বিবেচিতও হয় না। তবে নিশ্চয়ই এটা লজ্জাজনক।

সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে কোন কাজ করলে এই ধরণের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। তাই তো বলা হয়, সত্যম শিবম সুন্দরম।

সত্য কখনও অপ্রিয় হয় না। সত্যের পক্ষে বেশি মানুষ থাকে না বলেই কখনও কখনও সত্যকে অপ্রিয় দেখায়। কিন্তু এই অপ্রিয় সত্য কখনও মিথ্যার সমতুল্য হয় না।

পারিবারিক বিষয় দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিষয় ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ, দুটোর উপাদান এবং গঠনগত ও পরিচালনগত পার্থক্য বিস্তর।

মহাভারত একটি সাহিত্য গ্রন্থ। কোনো নীতি শাস্ত্র বা আইন শাস্ত্র নয়। তাই তার ওপর ভিত্তি নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযথ বা বাস্তব সম্মত হবে না। তর্কের খাতিরে নীতি শাস্ত্র আইন শাস্ত্র হিসাবে মেনে নিলেও তা আজকের পটভূমিতে আর গ্রহনযোগ্য থাকে না। কারণ, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের মূল্যবোধ পাল্টে যায়। তাই পুরনো ধ্যান ধারণা কার্যকর করা যায় না।

যায় হোক, ভালো থাকবেন। সাথি।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন