সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

২০২০ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতীয় রাজনীতির একটি ভয়ঙ্কর দুর্বলতা

ভারতীয় রাজনীতির একটি ভয়ঙ্কর দুর্বলতা Weaknesses of Indian politics Aminuddin Seikh Aminuddin Seikh আপনি শিক্ষিত মানুষ, যতটুকু জানি আপনি একজন ইতিহাসের অধ্যাপক। আমার এক ইতিহাসের ছাত্র, যে আপনার সঙ্গে একই সময় অধ্যাপনার পেশায় নিযুক্ত হয়েছে। তার সাথে তার ভাইভার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। আমি সেদিন থেকে আপনাকে চিনি। (আপনি হয়তো আমাকে সেভাবে চেনেন না)। আপনার শিক্ষা এবং রাজনীতি সংক্রান্ত পড়াশোনা, নিশ্চয়ই কী করতে হবে আর কী করা যাবেনা, তা বুঝতে সাহায্য করবে। বিজেপি ও তৃণমূল দু'জনকেই হটানো সম্ভব কিনা এ প্রশ্নের উত্তর তাই আপনি নিজেই জানেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনি ভাবুন। শিক্ষিত মানুষের নিজের কাছেই নিজের প্রশ্নের উত্তর থাকে। ভাবতে থাকুন, নিশ্চয়ই উত্তর পেয়ে যাবেন। আমি শুধু কয়েকটা কথা বলি আপনাকে। ১) রাজনীতি, তা যদি সত্যিকারের মানুষের কল্যাণের জন্য করা হয়, এবং মানুষ যদি সত্যিকারের রাজনৈতিক সচেতন হয়, তাহলে সে নিজেই বুঝতে পারবে এই মুহূর্তে তার কি করা উচিত। তাই মানুষ চাইলে দু'জনকেই হারাতে পারে। আমি আপনি সেটা ঠিক করে দিতে পারি না। আমরা শুধু আমাদের মতামতট...

চুক্তি চাষ - ২০২০

চুক্তি চাষ। ইংরেজ সরকারের সৌজন্যে নীলকরদের কাছে কৃষক ফাঁসানোর হাতিয়ার। পরিণতিতে নীল বিদ্রোহ। দেশি 'নীলকরদের' জন্য ফিরিয়ে আনছেন সেই চুক্তি চাষ। সৌজন্যে দেশি সরকার। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে  পাঠকের মতামত এখানে দেখুন 

হিংসা ও শান্তি

হিংসা ও শান্তি হিংসা শান্তি আনে না , আনে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। রাষ্ট্রনায়করা গণতন্ত্রের নাম করে এই হিংসাকেই যুগ যুগ ধরে অবলম্বন করে আসছে। তাই এদের কাছে আরাধ্য অশোক নয়, আরাধ্য আলেকজান্ডার ও হিটলার। এই গণতন্ত্র আসলে গরীব ও মধ্যবিত্তের আই ওয়াশের যন্ত্র (machine for washing eye) মাত্র। আসলে সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয়ের যুগে যখন রাজতন্ত্র ও সামন্ত প্রভুদের বিরুদ্ধে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়। রাজতন্ত্রের টলোমলো অবস্থা তৈরি হয় সমগ্র ইউরোপ জুড়ে। তখনই রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে ধনতান্ত্রিক কাঠামোকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। জনমতকে কনভার্ট করে রাজতন্ত্রের পরিবর্তিত চেহারা ( ছদ্দবেশী রাজতন্ত্র) যা ধণতন্ত্র নামে পরিচিত, তাকে টিকিয়ে রাখার কৌশল করে রাষ্ট্রশক্তি। এই কৌশলেরই নাম গণতন্ত্র। প্রথম প্রকাশ, দেখতে এখানে ক্লিক করুন

নারায়ণকে আমি

[6/24, 5:32 PM] Narayan: জনাব আলী সাহেব, 3idiot সিনেমাতেও তো মনে হয় এমন কথাই বলা হয়েছে। SSM যেদিন থেকে চালু হয়েছে এ কথাই বলে আসছে।  দেশে সকল একই বয়সের শিশুর একই রকম বই বা সিলেবাস অনুসরণ করা উচিৎ ,তা কি হয়? এটা খালি শিক্ষকদের শোনলে হবে না ,বেশি করে অভিভাবকদের শোনাতে হবে।  আমার মনে হয় এটা fbএর পক্ষে উপযুক্ত 'খাদ্য'। [6/24, 6:21 PM] Ali Hossain: আলীর সঙ্গে 'জনাব' আর 'সাহেব' জুড়তে হল কেন? তুমি না বলেছিলে এটা ন্যাকামির  জায়গা না!!! প্রসঙ্গত বলি, আমিও তা-ই ভাবি। এবং মেনে চলি। আর মনে হয়, সবারই সেটা মেনে চলাই উচিৎ। আমার নামের সঙ্গে কেউ এই ধরণের শব্দ জুড়লে আমার মনে হয় তিনি আমার সঙ্গে ন্যাকামি করছেন। কারণ মানুষকে বিশেষ বিশেষ শব্দ বা বিশেষণ বসিয়ে সম্মোধন করাটা আমি পছন্দ করি না। আমি আমার নিজের নামের আগে মোহাম্মদ বসাই না। অন্যের নামে আগেও মোহাম্মদ বা শ্রী বসাই না। কোন জাতিগত বা সম্প্রদায়গত পরিচয় বহনকারী শব্দে আমার এলার্জি আছে। কারণ আমি সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করি। এটা তোমার বোধ হয় অজানা নয়। সম্ভবত তোমার সামনেই একদিন আমাদের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষককে মহাশয়কে আমার অপছন্...

আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে পার্থক্য

আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে পার্থক্য নাস্তিকের ভগবান নাস্তিকদের ভগবান নেই। তাই বিপদে মানুষের পাশে চায়, পাশে যায়। আর অস্তিকরা ধর্মের নামে ছুটে বেড়ায় ও হোঁচট খেয়ে মরেও। প্রসঙ্গ : চিন। 👥💁পাঠকের মতামত ফেসবুকে Goutam Roy : আপনার বিপদে আপনার পাশে দাঁড়াবে ইশ্বরবাদী , নিরীশ্বরবাদী ,বহুত্ববাদী, চিরকালের উদার মানবতার সেবাধর্মী আপনার নিজের দেশ ভারত। চীন তো একটি অগণতান্ত্রিক, মানবতা বিরোধী গোপন ক্রিয়া কর্মের দেশ। ও রোগাক্রান্তদের গোপনে খুনও করতে পারে। কিছু ধর্মের পাণ্ডাদের দেখে ধর্মের ব্যপক মর্মার্থ বোঝার চেষ্া করবেন না । ধর্ম মানে মূল্যবোধ। বরং নাস্তিক বলে এই চীনের কোনও মূল্যবোধ নেই। --------xx------- ✒️ কে আস্তিক, কে নাস্তিক, এ নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। মাথা ব্যাথা হয়, যখন দেখি মানুষ হয়েও মানুষ মানুষকে ঠকায়, শোষণ করে, হত্যা করে ধর্মের নামে। আবার মানুষ যখন মানুষের পাশে দাঁড়ায়, আমি তাঁকে স্যালুট করি। তখনও দেখতে চাইনা সে আস্তিক, না নাস্তিক। আমি নিজের চোখে দেখছি, মানুষ মন্দিরে যাচ্ছে, মসজিদে যাচ্ছে উপরওয়ালার কাছে নিজের পাপমুক্তির জন্য অথবা নিজের ভাগ্য ফেরানোর তাগিদে। অথবা মৃত্যু ভয়ে। (ব্যতিক্রম হয় ...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে