আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে পার্থক্য
নাস্তিকের ভগবান
নাস্তিকদের ভগবান নেই। তাই বিপদে মানুষের পাশে চায়, পাশে যায়।আর অস্তিকরা ধর্মের নামে ছুটে বেড়ায় ও হোঁচট খেয়ে মরেও।
প্রসঙ্গ : চিন।
👥💁পাঠকের মতামত ফেসবুকে
Goutam Roy : আপনার বিপদে আপনার পাশে দাঁড়াবে ইশ্বরবাদী , নিরীশ্বরবাদী ,বহুত্ববাদী, চিরকালের উদার মানবতার সেবাধর্মী আপনার নিজের দেশ ভারত। চীন তো একটি অগণতান্ত্রিক, মানবতা বিরোধী গোপন ক্রিয়া কর্মের দেশ। ও রোগাক্রান্তদের গোপনে খুনও করতে
পারে। কিছু ধর্মের পাণ্ডাদের দেখে ধর্মের ব্যপক মর্মার্থ বোঝার চেষ্া করবেন না । ধর্ম মানে মূল্যবোধ। বরং নাস্তিক বলে এই চীনের কোনও মূল্যবোধ নেই।
--------xx-------
✒️ কে আস্তিক, কে নাস্তিক, এ নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। মাথা ব্যাথা হয়, যখন দেখি মানুষ হয়েও মানুষ মানুষকে ঠকায়, শোষণ করে, হত্যা করে ধর্মের নামে।
আবার মানুষ যখন মানুষের পাশে দাঁড়ায়, আমি তাঁকে স্যালুট করি। তখনও দেখতে চাইনা সে আস্তিক, না নাস্তিক।
আমি নিজের চোখে দেখছি, মানুষ মন্দিরে যাচ্ছে, মসজিদে যাচ্ছে উপরওয়ালার কাছে নিজের পাপমুক্তির জন্য অথবা নিজের ভাগ্য ফেরানোর তাগিদে। অথবা মৃত্যু ভয়ে। (ব্যতিক্রম হয় তো আছে, খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল।) আমি এখনো খুঁজে পাইনি কোনো ধর্মগুরু প্রার্থনা ছাড়া মানব সভ্যতাকে রক্ষার অন্য কোনো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বা প্রযুক্তি আবিষ্কার করে মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাই এই ধান্দাবাজি ধর্মকে আমি মানতে পারিনা।
প্রকৃত ধার্মিককে শ্রদ্ধা করি। আমি এও জানি পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাব হয়েছিল মানুষকে তথা মানব সভ্যতাকে রক্ষার তাগিদে। কিন্তু ইতিহাস বলছে ধর্মগুরুর মৃত্যুর পর তা রাজনীতি ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের কব্জায় চলে গেছে। ফলে মানুষের রক্ষক ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
তাই কোন নাস্তিক যদি মানুষের পাশে দাঁড়ায়, আমি তাকেও একজন সত্যিকারের ধর্মীকের মতই স্যালুট করতে দ্বিধা করিনা। কারণ, মানুষের অস্তিত্ব বিনা এ পৃথিবীর কোনো মূল্য নেই।
আজ দেখলাম, চিনের দুর্যোগে তার পাশে কোনো আস্তিক দেশ দাঁড়ায় নি। উল্টে অনেক পোষ্ট দেখেছি তাদের এই দুর্দিনে খুশি হতে। কারণ, তারা ধর্ম মানেনা। তাই তাদের এই হাল করছেন ভগবান বা আল্লা - এমন সব অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা। অবাক হয়নি।
অবাক হচ্ছি এখন, যখন দেখছি তারা নিজেদের সামলে নিয়ে ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর আস্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে দুবার ভাবছে না। বাংলাদেশ, ইতালি, ইরান ইত্যাদি দেশে তারা ছুটে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় তাদেরকে কী করে ছোট চোখে দেখি? মূল্যবোধ নেই বলি?
কিউবাও কমিউনিস্ট দেশ। তারাও ইতালিতে এসে হাজির। এগুলো দেখে কী করে চোখ বুজিয়ে থাকি বলুন তো। পেপার খুললেই তো দেখছি, আমেরিকা সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ কারো পাশে দাঁড়াচ্ছে না। কেন?
আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে মূল্যবোধ বলবো, না না-দাঁড়ানোকে মূল্যবোধ বলবো। উত্তর এখনও খুঁজে চলেছি সাথি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন