পরিবার ও নৌকা মধ্যে সাদৃশ্য একটা পরিবার, আসলে একটা নৌকা। স্বামী-স্ত্রী যথাক্রমে তার দাঁড় ও হালের মত। সন্তানসন্ততি ও পিতামাতা, ওই নৌকার সহায়-সম্বলহীন সহযাত্রী মাত্র। আর প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান, অনেকটা পালের মতো। দাঁড় ও হালের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় হলেই যেমন নৌকা সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারে, ঠিক তেমনই একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মত ও পথ সংক্রান্ত ভাবনার সমন্বয় ঘটাতে (সমমনস্ক ও সমদর্শি হলেই) পারলেই পরিবারটি সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। প্রতিষ্ঠিত হয় পারিবারিক শান্তি । প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান হল নৌকার পালের মতো। পরিবেশের আবহাওয়া বুঝে তাকে অনুকূলে ব্যবহার করার কৌশল আয়ত্ত করতে পারলে (সমমনস্ক করে তুলতে পারলে) গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আর এ কাজে ব্যর্থ হলে অর্থাৎ আবহাওযার অনুকূলে না বইলে বা বওয়াতে না পারলে সলিল সমাধি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রতিকূলে বইলে তো কথাই নেই, সলিল সমাধি নিশ্চিত। এর থেকে মুক্তির উপায় আছে। এবং তা হল : ১) পরিবারের প্রতিটি মানুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত (বিশ্বাসী হওয়া) থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা, ২) কোনও বিষয়ে এক
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ