পরিবার ভেঙে যায় কেন? একটা পরিবার ভেঙে যায় কখন? যখন পরিবারের সদস্যরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারায়। কারণ, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই হল সেই বন্ধন, যা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রধান লক্ষণ হল, কোন কিছু গোপন করা। পরিবারের একজন সদস্য যখন আরেকজন সদস্যকে কোন কিছু গোপন করে, তখন জন্ম নেয় সন্দেহ। ‘ সন্দেহ ’ হল সেই ‘ স্টেম সেল ’ বা কোষ যা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরস্পরের প্রতি বিদ্যমান ‘ বিশ্বাস ’ নামক ‘ স্টেম কোষকে ’ নষ্ট করে দেয়। ফলে বিশ্বাস বাড়ার পরিবর্তে কমতে থাকে এবং সন্দেহ কমার পরিবর্তে বাড়তে থাকে। এটা হল একটা পরিবারকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিকল্পহীন আদর্শ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি যখন কোনো প্রয়োজন পরিবারে জন্ম নেয়, সে পরিবার ভেঙে যেতে বাধ্য। গোপন করার মুলে রয়েছে লোভ ও কাউকে বঞ্চিত করে, অন্ধকারে রেখে, অধিক লাভবান হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা। সুতরাং একটা পরিবারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর একমাত্র উপায় হল লোভ সংবরণ করা এবং অপরকে বঞ্চিত করে নিজেকে আরও লাভবান করে তোলার ইচ্ছাকে দমন করা। একটা করতে পারলেই পরিবারের ভাঙ্গন রোধ করা যায় এবং পরিবার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...