ভয় ও সাহসের গুনাগুন ভয় ও সাহসের পার্থক্য Attributes of fear and courage ভয় মানুষকে ধার্মিক করে তোলে আর সৎ সাহস মানুষকে মানবিক করে তোলে। তাই মানুষের উচিৎ ভয়কে জয় করে সৎ ও সাহসী মানুষ হয়ে ওঠা। মানুষ মানবিক হলে ধর্মের মধ্যে খাপটি মেরে থাকা অন্ধকারের নাগপাশ থেকে মুক্তি পাবে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অশুভ দিক নিশ্চিহ্ন হবে। সুতরাং ধার্মিক নয়, মানুষকে মানবিক হতে হবে সবার আগে। আর তাহলেই মানুষকে আর ধার্মিক সাজতে হবে না। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে থাকা জন্তুকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই ধর্মমতের আবির্ভাব। আমজনতা যখন এই ধরনের কোন ধর্ম মতে প্রতি আকৃষ্ট হন তখনই রাজনীতিক ও ধর্মব্যবসায়ীরা এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এবং তাদেরই প্রচেষ্টায় ধর্মের মধ্যে ঢুকতে থাকে অন্ধত্ব। একটার পর একটা অলৌকিক ভাবনার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে তাকে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে বের করে দেন। এবং নিজেদেরকে সেই অলৌকিক শক্তির একজন শক্তিশালী মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মূল কথা হলো এভাবে তারা একটি ধর্মমতকে নিজেদের ক্ষমতায়নের হাতিয়ারে পরিণত করে। সাধারণ মানুষ কবে কবে এবং কিভাবে প্রকৃত ধর্ম থেকে চুত হয়ে একটি
বিজেপি কেন সাম্প্রদায়িক? মুখ খোলায় বহিষ্কৃত পদ্মনেতা কংগ্রেস সবার সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে- রাজস্থানের প্রকাশ্য জনসভায় এই মন্তব্য করতে গিয়ে মুসলিমদের 'অনুপ্রবেশকারী', 'যাদের বেশি সন্তান হয়' ইত্যাদি তকমা দিতে শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর ওই মন্তব্যকে 'অনভিপ্রেত' বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজস্থানেরই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণি। তারই 'শাস্তি' হিসেবে বুধবার তাঁকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল বিজেপি। - এই সময় এর পরও বিজেপি নেতারা বলবেন, মুসলিমরা অহেতুক ভয় পায়; অন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অহেতুক ভয় দেখায়, এবং বিজেপিতে গণতন্ত্র আছে! একজন প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ সম্প্রদায় সম্পর্কে এভাবে বলতে পারেন? ভারতীয় সংবিধান এর মান্যতা দেয়? নির্বাচন কমিশন কীভাবে চুপ থাকতে পারেন? আমরা চাই আর না চাই - এ প্রশ্ন উঠবেই। শুধু কি এবারই বলেছেন তিনি একথা? মোটেই নয়। গুজরাতের হিংসার পরে মুসলমানদের ত্রাণ শিবিরকে তিনি ‘সন্তান উৎপাদনের কারখানা’ বলে তকমা দিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী