SIR কী সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে!
পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি (SIR)-২০২৬ শুরু হতে চলেছে ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে। 
সঙ্গে রাখবেন কোন্ নথি?
- সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র
 - ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি
 - বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া জন্ম সার্টিফিকেট
 - পাসপোর্ট
 - যে কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (সাল, তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে)
 - স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট (জেলাশাসক বা সমতুল কারও দেওয়া)
 - বনপালের সার্টিফিকেট
 - কাস্ট সার্টিফিকেট
 - এনআরসি অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ (যেখানে প্রযোজ্য)
 - পারিবারিক রেজিস্টার (রাজ্য সরকার বা প্রশাসন প্রদত্ত)
 - সরকার প্রদত্ত জমি বা বাড়ির নথি (দলিল বা পর্চা)
 
মনে রাখতে হবে :
২০০২ সালের জানুয়ারির ভোটার তালিকায় নাম থাকলে নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই।
এখন প্রশ্ন হল : এই ডকুমেন্টসগুলো কাদের কাছে সহজলভ্য? মুষ্টিমেয় কিছু পয়সাওয়ালা লেখাপড়া জানা মানুষের কাছে। একটু চিন্তা করে দেখুন। লেখাপড়া না জানা গরিব মানুষের কাছে কোনগুলো সহজলভ্য? ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড। অন্যগুলোর মতো এগুলোও সরকারেরই দেওয়া ডকুমেন্টস। অথচ এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। বলা হল, এগুলো জাল হয়। ঠিকই। জাল হয় তো। কিন্তু অন্যগুলো জাল হয় না? শুধু ‘হয় না’, নয়, বেশি রকম হয়। অর্থবান মানুষ পয়সা দিয়েই এগুলো বের করে নিতে পারেন, খুব সহজেই। মজার কথা হল, তা-সত্বেও এগুলোই বৈধ!অর্থাৎ জাল সবই হতে পারে। কিন্তু অবৈধ হবে শুধু সেগুলোই, যেগুলো গরীব মানুষের কাছে সহজলভ্য! আর বৈধ হবে সেগুলোই, যা গরিব মানুষের কাছে সহজলভ্য নয়, অথচ লেখাপড়া জানা অর্থবানের কাছে সহজলভ্য!
দারুণ ব্যাপার না!
এভাবে ভাবলে স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্নটা আসবে, এসআইআর সর্বজনীন ভোটাধিকারের পক্ষে, না বিপক্ষে? আপনি কী ভাবছেন?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন