টাকার মূল্য কত? টাকা আসলে মূল্যহীন এক টুকরো কাগজ। কারণ, সে নিজে সক্রিয় হয়ে কখনোই কোন সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে না। মানুষের জীবনের কোন প্রয়োজন সে মেটাতে পারেনা। একে মূল্যবান করে তোলে মানুষের শ্রম এবং কর্মকৌশলতা। সুতরাং শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ও কর্মকৌশলতাই হল প্রকৃত সম্পদ। মানুষের শ্রম এবং তার কর্মকুশলতা যখন প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা উপাদানগুলিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে তখন তা সম্পদে রূপান্তরিত হয়। এই সম্পদের সঙ্গে কাগজের টুকরোকে সম্পর্কমক্ত করে দিলে তার আর কোন মূল্য থাকে না। সুতরাং টাকা বা অর্থ হল এমন একটা মাধ্যম যার সাহায্যে, মানুষের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক উপাদানকে সম্পদের রূপান্তরিত হওয়ার পর, তা হস্তান্তর করা হয় মাত্র। এই মাধ্যমকে বৈধ কিংবা অবৈধ পথে যদি কেউ জমা করে এবং তাকে ব্যবহার করে সম্পদের দখলদারিত্ব নেয়, তবে সেই মালিকানা কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠা মোটেও অবৈধ নয়। কিন্তু মজার কথা হল, রাষ্ট্রশক্তি তার পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের শ্রমের চেয়ে মূল্যহীন কাগজের টুকরোকে দামি করে তুলেছে। ফলে শ্রমের চেয়ে কাগজের টুকরার, যা বৈধ বা অবৈধ যেভাবেই সংগৃহীত ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...