Joyanta Roy Chowdhury ধ্বস নামবে কেন বলছ? ইতিমধ্যেই ধ্বস নেমেছে। কিন্তু ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতি সে ভাবে ভেঙে পড়েনি। মৃত্যুহারও সেখানে কম। এখানেই সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সাফল্য। আর 'অর্থনীতি মিথ্যা' এই শব্দটা প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। পৃথিবীতে দুই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে। একটা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি আর অন্যটি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। এই দুটো মিলে 'সমগ্র অর্থনীতি'। তাই 'অর্থনীতি মিথ্যা' এই কথাটা প্রকৃত অর্থেই অর্থহীন। রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে চিনকে আমরা সন্দেহ করতেই পারি। আর যেহেতু সীমান্ত নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে, সেহেতু তারা রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে সন্দেহের বাইরে নয়। কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে সন্দেহ করার তেমন কোনো কারণ নেই। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতির অবস্থা এবং মৃত্যু হার যথাক্রমে ভালো এবং কম। ভিয়েতনামের দিকে তাকালেও তুমি সেটা বুঝতে পারবে। যাই হোক, ভালো থেকো। সাবধানে থেকো। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...