নিরক্ষরতা নয়, অশিক্ষাই পুঁজিবাদের আসল পুঁজি। তাই পরিকল্পনা করেই অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মান্ধতা ঢোকাচ্ছে সরকার, গরীব-মধ্যবিত্তের মধ্যে। --------------------------------------------------------- Goutam Ray হ্যাঁ, আপনি আপনার মত করে ব্যাখ্যা করে নিতেই পারেন। কিন্তু আমি সে কথা ভাবছি কিনা বা বলছি কিনা তার পুরোটা তো কেবল আমিই জানি। আচ্ছা আপনি কথায় কথায় এত রেগে উঠেন কেন? সবকিছুকে এত নেগেটিভ সেন্সে নেন কেন? সবাইকে এত সন্দেহের চোখে দেখেন কেন? এত ধৈর্য হারাতে হয়? আপনি আমার কথা বুঝতে পারেনি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু সেটা জিজ্ঞেস করলেই পারতেন যে আপনার কথা বুঝতে পারিনি। একটু বুঝিয়ে বলুন। যেমন আমি বলেছিলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। আসলে আপনার কিছু সমস্যা আছে। কথায় কথায় মানুষকে ছোট করার একটা প্রবণতা আছে মনে হয়। থাকতেই পারে। কিন্তু আপনার জানা বোঝা উচিত যে, আপনি কাউকে ছোট করতে চাইলেই সে ছোট হয়ে যাবেনা। মানুষের পাশে থাকা, মানুষের সঙ্গে থাকা, মানুষের সাথে থাকা, কথাগুলোর মানে আপনি বোঝেন না, সেটা আমি জানতাম না। এই না জানাটা হয়তো আমার দুর্বলতা। কারণ, আপনাকে এতদিনেও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু..... কিন্তু আপনি...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...