১৬৫৮ সাল। মেবারের রানা তখন রাজসিংহ। মুঘল সম্রাট লিখছেন রাজসিংহ কে, “বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে শান্তিতে দিন কাটাতে হলে একে অপরের ধর্মকে গ্রহণ করতে হবে। তবেই দেশের সমৃদ্ধি আসবে।” বলুন তো কে এই মুঘল সম্রাট? শুনলে বিভেদপন্থী রাজনীতিকরা চমকে যাবেন। নাম ঔরঙ্গজেব। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন তথ্যসূত্র : Nargis Akhter আবুল ফজলের লেখা পড়ুন। অথবা, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বই প্রকাশ করেছে। ওটা পড়তে পারেন। নাম ‘ভারতীয় সভ্যতার বিকাশের ধারা’। এছাড়া মধ্যযুগের ভারত - সতীশ চন্দ্র, মধ্যকালীন ভারত - সম্পাদনা ইরফান হাবিব পড়ুন।
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...