আপনার Whatsapp কথার মানে বুঝতে পারছি না। কী সব আজে-বাজে কথা বলছেন। আপনার চেয়ে আমি অনেক বেশি ভারতীয়। ভারতই আমার জন্মভূমি, পাকিস্তান নয়। একথা ভুলে যাওয়ার স্পর্ধা দেখাবেন না। পাকিস্তানের সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক যে তার সপক্ষে আমি কথা বলবো? আমি না সেদেশে থাকি, না সেদেশ ছেড়ে এদেশে চলে এসেছি। তাহলে কিসের টান থাকবে আর কি কারণে তার পক্ষে কথা বলবো? একাজ তো বোকারা করে। আপনার কি মনে হয় আমি তেমন ধরণের বোকা? যারা ওদেশে থেকে এদেশে বিভিন্ন কারণে চলে এসেছেন তাদের মধ্যে সেদেশে প্রতি একটা টান থাকতে পারে। আপনি যদি এসে থাকেন, তবে আপনার মধ্যে সেটান থাকা সম্ভব। কিন্তু আমার কেন থাকবে? যুক্তি-বুদ্ধিও কি কাজ করে না আপনার মধ্যে? দ্বিতীত, যারা সুবিধা পাওয়া কিংবা অসুবিধা দূর করার জন্য কিংবা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিক কুমন্ত্রণায় মাতৃভূমি ত্যাগ করে অন্যদেশে চলে আসে তারা দেশভক্ত হয়ে যায় আর যারা মাতৃভূমিকে ভালোবেসে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে তারা দেশদ্রোহী? বলিহারি আপনার বিবেচনা বোধ! আপনি তো শিক্ষিত মানুষ। অন্তত তাইই তো দাবি করেন। তাহলে কীভাবে ভাবেন, যে একজন আপনার মতের সঙ্গে একমত না হলেই তিনি পাকিস্তানি হয়ে যাব...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...