সত্য সহজবোদ্ধ নয় : The truth is not easy to understand সত্যকে সহজে দেখা যায় না। কারণ, সত্য নিজেই নিজেকে একটা অদৃশ্য মোড়কে মুড়ে রাখে। এই মোড়ক তাকে সুরক্ষা দেয়, তাকে মূল্যবান করে তোলে। আমরা আমাদের শরীরের মূল্যবান অংশগুলিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। অথচ তারাই আমার দেহের মূল চালিকাশক্তি। সেই চালিকাশক্তিই হল প্রকৃত সত্য। সে নিজেকে রক্ষা করছে, ত্বক, পাঁজর, চুল ইত্যাদি নানান ধরনের বাইরের আবরণ বা মোড়কের সাহায্যে। তেমনি আমরা দেখছি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। কিন্তু আসল সত্য হল— সূর্য নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে।  সুতরাং সত্যকে উপলব্ধি করতে গেলে নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন। লেখাপড়া শেষ করে, এর জন্য প্রয়োজন হয় জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নিরবিচ্ছিন্ন এবং সার্বিক পড়াশোনা। প্রয়োজন হয় পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ-সহ সর্বাধুনিক গবেষণা করার সর্বাধুনিক রীতিনীতি ও টুলস ব্যবহার করার সক্ষমতা। আমি যদি তা না করতে পারি অর্থাৎ এগুলো ব্যবহারের সক্ষমতা যদি আমার না থাকে, তবে আমার কাছে যা সত্য হিসাবে উপস্থিত হবে, তা সব সময় সত্য নাও হতে পারে। হতে পারে তা সত্যের আবরণ মাত্র। অর্থাৎ আপনি যা সহজেই বুঝে ফেলছেন, তা ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়   ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...