তিলোত্তমা মজুমদার কি একজন বুদ্ধিজীবী? ভালো গল্প লিখতে পারাটা পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠতে পারার কোন আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত নয়। সুতরাং অবাক হবার কিছু নেই। তিলোত্তমা মজুমদার যা বলেছেন, অনেক সাধারণ মানুষ অহরহ একথা বলে থাকেন। এবং মনে রাখতে হবে, এভাবে  যারা বলেন, তারা সবাই শিক্ষিত মানুষ। আমি যদিও তাদের ‘ তথাকথিত শিক্ষিত ’ বলি। এ ধরনের মানুষরা, হিন্দু হলে মুসলমানের বিরুদ্ধে বলেন, মুসলমান হলে হিন্দুর বিরুদ্ধে বলেন। উপমহাদেশ জুড়েই এরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। উপমহাদেশ ছড়ালেই শুধুমাত্র সম্প্রদায়টা পাল্টে যায়। কিন্তু তারাও বলে। সুবিধাবাদী রাজনীতির এটা একটা শক্তিশালী অস্ত্র। তাই এটা বন্ধ করা কঠিন। সুতরাং তিলোত্তমা মজুমদার এমন আহামরি কিছু বলেননি। অনেকেই ভাবছেন, তিলোত্তমা মজুমদার তো সাধারণ মানুষ নন। তাঁর কথা উপেক্ষা করি কী করে?  তাহলে আপনি কি করবেন? রেগে যাবেন! গালাগালি করবেন? হুমকি দেবেন! দুশ্চিন্তায় পড়বেন! আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে, এগুলোর কোনটারই প্রয়োজন নেই। এদেরকে উপেক্ষা করুন। এবং যে উপেক্ষা করছেন, সেটা নির্দ্বিধায় এবং জোর গলায় বলুন এবং মানবিক ভাষায় বলুন। না হলে আপনার কথা গুরুত্ব ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়   ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...