ভারতের গণতন্ত্র এবং বিচার ব্যবস্থার 'স্বর্ণযুগ'। আমরা নিশ্চিন্তে নিদ্রান্তের হাই তুলছি। ভুলে যাচ্ছি, ধনতান্ত্রিকদের কাছে, ধর্মীয়-ফ্যাসিবাদের কাছে, মানুষের ধর্মপরিচয়টা মানুষকে বিভাজিত করে রাজনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা কুক্ষিগত করার একটা কৌশলমাত্র। এই পরিচয় আপনার সবসময় (পড়ুন কখনোই) সত্যিকারের সুরক্ষা দেবে না। ইতিহাসে এর অসংখ্য উদাহরণ আছে। প্রাসঙ্গিক আরো লেখা এখানে –----------------------------------------- Tapas Das আপনি তো পুরোদস্তুর রাজনীতিক দেখছি। দুঃখিত ভাই, আমি রাজনীতিক নই। আমি একজন সচেতন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন সাধারণ নাগরিক। এবং বামপন্থী বলে কোন রাজনৈতিক দলের কাছে মাথা বিক্রি করেও নেই। তাই রাজনৈতিক নেতাদের মত সত্যকে চেপে যাওয়া কিংবা মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টার কোন দায় ও আমার নেই। তাই আপনার এই অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য বিষয়ে আলোচনা করার আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই। কারণ, কোনো অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের আলোচনায় আমি ঢুকব না এটা এখন মেনে চলবে বলে ঠিক করেছি। প্রত্যেক নিউজ চ্যানেলই কারো না কারো অনুপ্রাণিত। যেমন সিএন...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...