হাসি পায়, কষ্ট হয় যখন নেতাজিকে দেখিয়ে মোদিরজির ভক্তরা দেশপ্রেমিক' সাজার চেষ্টা করে। নেতাজি পুরো মাত্রায় অসাম্প্রদায়িক এবং সমাজতান্ত্রিক। ভক্তরা ঠিক তাঁর উল্টো। এক আসনে বসাতে গেলে লজ্জা লাগে না? আমার তো ভয়ঙ্কর লাগে। Dibakar Mandal আপনি চোখ কান খোলা রাখুন। যুক্তি বুদ্ধি ব্যবহার করুন। ইতিহাসের শিক্ষক যখন, তখন ইতিহাসের সাহায্য নিন। ঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। আমার ভাবনার বিষয় টা আজকের কোন নেতা কতটা সাম্প্রদায়িক তা নিয়ে নয়। বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে। নেতাজির দর্শন কি মোদিজীর দর্শনের সঙ্গে যায়? উত্তর হবে হ্যাঁ অথবা না। যদি না যায় তবে আমাদের ভাবতে হবে, মোদিজীর ভক্তরা নেতাজি কে আঁকড়ে ধরছেন কেন? এভাবে নেতাজিকে একটা সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতের অস্ত্র হতে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। অথবা হতে দিলে ভবিষ্যৎ ভারতের অবস্থা কি হতে পারে তা নিয়ে ভাবা। সাম্প্রদায়িকতা কমবেশি সব দলের মধ্যেই আছে। কিন্তু সেটা আছে দলের ভিতরের কিছু ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক নেতার মধ্যে। বিজেপির বাইরে যে দলগুলো আছে তারা আদর্শগতভাবে সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু তাদের ভিতর কিছু মানুষ আছেন যারা সাম্প্রদায়িক। সব...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...