সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শিক্ষা বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ আমরা সবাই স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করি। একটা সময় পাশ করে বের হই। প্রমাণ হিসেবে সঙ্গে থাকে একগুচ্ছ সার্টিফিকেট। শিক্ষা শেষে যদি নিজেকে প্রশ্ন করি, কী পেলাম? সহজ উত্তর হল, শিক্ষা। এই শিক্ষাটা , আসলে একটা খোসাওয়ালা রসুনের মত। বাইরে থেকে দেখলে পুরোটাই রসুন এবং রসুনের মত গুণমান সম্পন্ন বলে মনে হয়। প্রশ্ন হল, আসলেই কি তা-ই? উত্তর হল, ‘না’। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আসলে একটা খোসাওয়ালা আস্ত রসুনের মতো, যার সাথে কিছু অবাঞ্চিত এবং গুরুত্বহীন অংশ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ এর পুরোটাই রসুন নয়। রসুনের প্রকৃত সত্তায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের তাকে বাড়িতে এনে সযত্নে একটা একটা করে তার খোসাগুলো ছাড়িয়ে ফেলতে হয়। অবাঞ্চিত অংশগুলো সাবধানে বাদ দিতে হয়। তারপর একটা সময় আমরা তার প্রকৃত-সত্তার সাথে পরিচিত হতে পারি। ঠিক তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে প্রকৃত শিক্ষায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের রসুনের খোসা ছাড়ানোর মত করে তার সংগে জড়িয়ে থাকা অসার বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলতে হয়। যুক্তি, বুদ্ধি এবং আরও আরও তথ্য সহযোগে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার সহজ অর্থ হল, প্রাতিষ...

শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ

শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ শিক্ষকদের দায়ী করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না দাদা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পড়াশোনাটা স্কুল ও পরিবার — এই যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। তাই দুই তরফকেই দায়িত্ব নিতে হবে। একটাকে ছেড়ে অন্যটার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মনে রাখতে হবে, অন্য কাজের মত পড়াশোনাকে জোর করে করানো যায় না। ভয় দেখিয়েও হয় না। যে করবে, তার ইচ্ছা থাকাটাও জরুরী। এই ইচ্ছা তৈরিতে তার বাড়ির পরিবার ও পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এই পরিবেশ যদি পরিবার তৈরি করতে না পারে, স্কুলের ক্ষমতা নেই তাকে পড়াশোনায় ধরে রাখবে এবং তাকে ভালো রেজাল্ট করাবে। তাই পরিবারের পরিবেশ অনুকূল থাকাটাও জরুরী। এই পরিবেশ তৈরিতে অর্থের ভূমিকা থাকলেও তা প্রধান নয়। প্রধান হল পিতা-মাতার শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ও তার দায়বদ্ধতা। সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতার কমতি নেই। ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা খুবই সামান্য পরিমাণ শিক্ষকের মধ্যে থাকে। শ্রেণীবিভক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এটাকে শূন্যে আনা অবাস্তব ভাবনা। তাই এটা কখনোই মূল সমস্যা নয়। তাই তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে, ‘অ...

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে জগত ও জীবন সম্পর্কে সঠিক (পরম) জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে তোলে। অজ্ঞানতা হিংস্র করে তোলে। তাই প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ কখনও সহিষ্ণুতার বিপক্ষে কথা বলতে পারেন না। Absolute knowledge about the world and life makes people tolerant. Ignorance makes violent. So a truly wise man can never speak against tolerance.

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য : মিথ্যার সে শক্তি নেই, যে সত্যকে ঢেকে দেবে। কারণ, মিথ্যার ভিত্তি হল অর্ধ-সত্য কিম্বা অপ-তথ্য, যা চালাকির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সত্যের ভিত্তি হল এক সাধারণ ন্যায়, নীতি আর বাস্তবতা, যা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়। সুতরাং মিথ্যার সাথে সত্যকে গুলিয়ে দেওয়া, কিম্বা সত্যকে মিথ্যা সাহায্যে স্থায়ী ভাবে ঢেকে ফেলা বা মুছে ফেলা যায় না।

দীর্ঘ জীবন লাভের উপায়

দীর্ঘ জীবন লাভের উপায় দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য প্রয়োজন দুটো জিনিস। একটা হল জীবনভর কঠোর পরিশ্রম। দ্বিতীয়টা হল পরিমিত ও সময় মত প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ। আমার ক্ষেত্রে প্রথমটা ঠিকঠাক হয়েছে। এখনও ঠিকঠাক আছে। কিন্তু দ্বিতীয়টার  ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ঘাটতি রয়ে গেছে। আজ, তা পূরণ করার সামর্থ্য থাকলেও, সম্ভব নয়। কারণ, সব কিছু খওয়ার অভ্যাসটাই তৈরি হয়নি। এই বয়েসে তা নতুন করে তৈরি করা সম্ভবও নয়। তাই বহুদিন বেঁচে থাকার বাসনা আমার নেই। তবে, চেষ্টা করি যে ক’দিন বাঁচি, যেন ভালভাবে, আনন্দের সঙ্গে বাঁচি। মানুষের জন্য, মানুষের সাথে বাঁচি। তার জন্য প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আধুনিক সাস্থ্যবিজ্ঞান বলছে, শুধু শরীর ভালো রাখলেই হবে না। মনকেও ভালো রাখতে হবে। আর ভোগবাদী সমাজ ও অর্থব্যবস্থায় মন ভালো রাখা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, নিজের মন শুধুমাত্র নিজের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রভাব থাকে পরিবারের খুব কাছের মানুষগুলোর। এই কাছের মানুষগুলোই হল একজন মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণের একমাত্র অবলম্বন। তাই তারা মুখ ফেরালে, মনের ওপর গভীর চাপ তৈরি হয়। মানুষ হতাশ...

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য?

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য? শিশুমঙ্গল (রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান) থেকে নিজের কান দেখিয়ে ফিরছি। ওষুধ কিনতে হবে, তাই অটো থেকে নেমে গেলাম। ঢুকলাম ওষুধের দোকানে...। ওষুধও নেওয়া হল। এবার দাম মেটানোর পালা। এমন সময় করিম ভাই ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ভদ্রলোক। করিম ভাই আমাকে দেখেই অবাক হয়ে গেলেন। জিজ্ঞাস করলেন, আপনি এখানে? আমি বললাম, ‘হু...।’ ওষুধ নিচ্ছি— বলার সুযোগ দিলেন না। জিজ্ঞেস করলেন, অফিস জাননি? আমি বললাম, ছুটি তো! করিম ভাই দ্বিতীয়বার অবাক হলেন! তারপর, যেন সম্বিত ফিরে পেলেন। বললেন, ‘ওহ! আপনি তো আবার মাস্টারমশাই। মাস্টার মানেই ছুটি।’ সঙ্গে এক গাল (দাঁত বের করে) হাসি। হাসির মধ্যে যে উপহাসটা ছিল, সেটা ওনার সঙ্গে থাকা ভদ্রলোক, সম্ভবত আমার আগেই বুঝেছেন। তাই আমার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগেই বললেন, এভাবে বলবেন না। শিক্ষকতা অত্যন্ত সম্মানের পেশা এবং শিক্ষক সমাজ সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য একমাত্র সাম্প্রদায়। কথাগুলো বলার সাথে সাথে তিনি অভিনয় করে দেখালেন, ওনার শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হলে, এই বয়সেও কীভাবে তাঁদের প্রণাম করেন। ভদ্রলোকের উল্টো দিকে বসে আছেন আর একজন ভদ্রলোক (সম্ভবত, ওষুধের ...

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই কেউ যদি কিছু করে এবং তা যদি ভুল হয়, মনে রাখতে হবে, আমরা যদি সেটাই করি, তবে সেটাও সমান ভুল। আমাদের সমস্যা হল, অন্যের ভুলকে ভুল বলার সময়, নিজের করা ভুলকে ভুলে যাই এবং সগর্বে সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি এই বলে যে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত --------xx-------

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক কিভাবে পড়াশোনা করা উচিত এবং কেন পড়াশোনা যদি বুঝে বুঝে না করা হয়, তবে তা মানুষের জীবনে কোন কাজে আসে না। কারণ, পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষিত হওয়া। এবং শিক্ষিত হওয়ার একমাত্র উপায় হল পড়াশোনা করা। আর এই পড়াশোনা যখন বুঝে বুঝে করা হয় তখনই বেরিয়ে আসে জগৎ ও জীবনের গভীর রহস্য ও সত্য। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এই সত্য উপলব্ধি করার অর্থই হলো শিক্ষা। আপনি শিক্ষিত মানে এই সত্য আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সেই উপলব্ধি কি আপনি ব্যবহারিক বা তাত্ত্বিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন, এবং তার ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারেন। সেই সঙ্গে সেই সত্যই যে আসল সত্য তা যাচাইও করতে পারেন। এই সামগ্রিক সক্ষমতার নামই হল শিক্ষা।  এই শিক্ষাই মানুষের জীবনে কাজে লাগে। নিজের জীবন এবং সমাজকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এই শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার। এটাই শিক্ষার কাজ । বুঝে বুঝে না পড়লে, এই হাতিয়ার আপনি স্পর্শ করতে পারবেন না। জোর করে স্পর্শ করার চেষ্টা করলে, তা অনর্থক, কখনো কখনো ননর্থক ফলাফল বয়ে আনবে। যা জীবনকে সহজ করার পরিবর্তে আরো জটিল আবর্তের মধ্যে ঠেলে দেবে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে : পড়া...

শিক্ষার কাজ কী?

শিক্ষার কাজ কী? “শিক্ষা সত্যের সন্ধান দেয়, অসত্যকে চিহ্নিত করে।” জগৎ এবং জীবন পরিচালিত হয় দুই ধরনের নিয়ম অনুযায়ী। একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, অন্যটি রাষ্ট্রীয় আইন। এই দুই আইন জানা বোঝা ও প্রয়োগ করার সক্ষমতাই হল শিক্ষা। এই সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই সত্যের সন্ধান পাওয়া যায়।  এই সত্যই মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করলে অসত্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই শিক্ষার কাজ হল সত্যের সন্ধান দেয়া এবং অসত্যকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করা।  যিনি এই কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন তিনিই শিক্ষিত। মনে রাখতে হবে, এ পৃথিবীতে সম্পূর্ণ শিক্ষা অর্জন করা কোন ব্যক্তির পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত মানুষ আপনি পাবেন না এবং নিজেও হতে পারবেন না। অর্থাৎ শিক্ষা একটা চলমান এবং সীমাহীন প্রক্রিয়া, যা যুগ যুগ ধরে পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ধারা পৃথিবীর অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিন বজায় থাকবে। সুতরাং সুতরাং, প্রতিটি মানুষের কাজ হল জগৎ ও জীবন পরিচালিত হবার নিয়ম অর্থাৎ প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় আইন গুলো সম্পর্কে জানা বোঝা এবং তা প্রয়োগ করার সক্ষমতা অর্জন করার আজীবন প্রক্রিয়ায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা।  এই কা...

শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল তার ছাত্রকে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা। কারণ, একজন যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সত্য উপলব্ধিতে সক্ষম হয় এবং নিজে নিজেই শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে।

শিক্ষিত মানুষের বৈশিষ্ট

শিক্ষিত মানুষ সম্পর্কে আলী হোসেন যার কথায় ও কাজে মানবতা স্থান পায় না, উল্টে  মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়, সে আর যাই হোক, শিক্ষিত মানুষ নয়। — আলী হোসেন শিক্ষা এক ধরণের আলো যা সব রকমের অন্ধকার থেকে মানব আত্মাকে মুক্তি দেয়। এই আলো যদি আপনার মধ্যে পড়ে আপনার ভেতরে থাকা জাত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাদির মধ্যে যে বিষাক্ত অংশ আছে তা মুছে যাবে। ধুয়ে যাবে মনের কোণে জমে থাকা মানুষে মানুষে বিদ্বেষের বিষ। কোন অবস্থাতেই, কোন মানুষের প্রতিই আপনি বিদ্বেষ ভাষণ দিতে পারবেন না। আধুনিক শিক্ষার আলো আপনার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা এই বিদ্বেষভাবকে মুছে দেবে। যদি তা না হয়, তবে আপনি শিক্ষিত মানুষ নন। লেখাপড়া জানা একজন অশিক্ষিত মানুষ। আপনার সঙ্গে অন্য প্রাণীর তেমন কোন পার্থক্য থাকবে না। পার্থক্য সেটা থাকবে, তা হল মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের পরস্পরের মধ্যে যে প্রকৃতি প্রদত্ত আকারগত ও স্বভাবগত যে পার্থক্য থাকে, সেটুকুই।

মেধা ও স্মৃতির মধ্যে পার্থক্য

 মেধা ও স্মৃতির মধ্যে পার্থক্য জানা থেকে অজানায় পৌঁছানোর স্ব-ক্ষমতাকে বলে মেধা। আর জানা তথ্যকে ধরে রাখার ক্ষমতাকে বলে স্মৃতি। Intelligence is the self-ability to reach from the known to the unknown. And the ability to retain known information is called memory.

সরকারি স্কুল ও শিক্ষকদের মানসিকতা

সরকারি স্কুল ও শিক্ষকদের মানসিকতা যারা সরকারি স্কুলে নিজে পড়াতে চান, কিন্তু নিজের সন্তানকে পড়ান না, তারা চালাক বিবেচিত হতে পারেন, কিন্তু বুদ্ধিমান মোটেই না।

লেখা কেমন হওয়া উচিত?

লেখা কেমন হওয়া উচিত? How should the writing be? আপনি লিখতে ভালোবাসেন? লিখুন। তবে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ের জন্যে নয়, মানুষের জন্য লিখুন। তাহলে সবাই আপনার লেখার রস আস্বাদন করতে পারবেন এবং যদি সেই লেখার মধ্যে কিছু সারবত্তা থাকে তবে তার দ্বারা সবারই মঙ্গল হবে।

তথ্য ও সত্যের পার্থক্য

তথ্য ও সত্যের পার্থক্য কী? What is the difference between information and truth? জানলে পাওয়া যায় তথ্য, আর বুঝলে পাওয়া যায় সত্য। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারা একটা বিষয়ে অধিকাংশ সময় ভুল করে থাকি। ভুলটা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। ফলে যা জানলাম, সেটাকেই সত্য বলে মেনে নেই। এটা এক ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। জানা বিষয়কে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্যের ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করলে তবেই সত্যে পৌঁছানো সম্ভব। সত্যে পৌঁছানোর এই প্রক্রিয়া অধিকাংশ সময় আমরা অনুসরণ করি না। ফলে, যেটা সত্য বলে ভাবি, তা অধিকাংশ সময়, হয় মিথ্যা হয়ে যায়, নতুবা আপাত সত্য বলে চিহ্নিত হয়ে যায়। কখনও কখনও বিষয়টি সত্য বলেও চিহ্নিত হয়ে যায় বটে, তবে সেটা খানিকটা আন্দাজে ঢিল মেরে আম পারতে সফল হওয়ার মত। এখন প্রশ্ন হল, আমরা বুঝবো কীভাবে কোনটা তথ্য আর কোনটা সত্য। এটা বুঝতে গেলে আগে যুক্তি, বুদ্ধি, তথ্য এবং বিচার বিশ্লেষণ শব্দগুলোর অর্থ জানা ও বোঝা দরকার। যুক্তি হল এমন এক ধরনের চিন্তন প্রক্রিয়া যা কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে তথ্যের সঙ্গে মিশে আসা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খুঁজে বের করা যায় এবং...

শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে পার্থক্য

 শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে পার্থক্য শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে পার্থক্য Difference between educated and uneducated people কেউ ভুল করলে শিক্ষিত মানুষ তাকে সবিনয়ে শুধরে দেয়, আর ঠিক করলে প্রশংসা করে। অন্য দিকে অশিক্ষিত মানুষ, ‘ভুল করা মানুষ’কে বিদ্রুপ করে, আর ঠিক করলে, অবলীলায় তা চেপে যায়। উল্লেখ্য, প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া জানা, বা না জানাটা এখানে বিষয় নয়। কারণ, প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া ছাড়াও একজন মানুষ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার গুরুত্ব প্রধানত দুটো। ১) এই ধরণের লেখাপড়া শিক্ষা অর্জনের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। ২) রাষ্ট্রীয় বা সাংবিধানিক এবং সামাজিক স্বীকৃতি এনে দেয়। এবারে আসা যাক, কেন এমন মনে হল আমার, সে কথায় : রোজকার মতো আজ সকালেও দুধ আনতে গেছি দুধের দোকানে। দু'প্যাকেট দুধ নিয়েছি। দাম বাহান্ন টাকা। আগের দিনের দুই টাকা বাঁকি ছিল। সুতরাং দিতে হবে, চুয়ান্ন টাকা। কারণ, খুচরো না থাকলে দুধ ওয়ালা সটান বলে দেন, দু’টাকা পরে দিও। আমি দুর্দান্ত ভুলো-মন। তবু আমাকেই মনে করে এই দেনা শোধ করার দায়িত্ব নিতে হয়। কারণ, উনিও আমার থেকে কম যান না। যথারীতি আজও...

কী পড়ছি, কেন পড়ছি

কী পড়ছি, কেন পড়ছি কী পড়ছি, কেন পড়ছি আর পড়ার পর কী উপলব্ধি করছি - পড়ার সময় এসব কথা মাথায় না রাখলে এবং প্রাপ্ত উপলব্ধির ব্যবহারিক প্রয়োগের সামর্থ অর্জন করতে না পারলে, সে পড়ার কোন মূল্য থাকে না। এই পড়া নিজের জীবন এবং মানব সভ্যতার উন্নতিতে কোন ভূমিকাই রাখতে পারে না। বলা ভালো, তা কোন কাজে আসে না।  👪 পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন এখানে

সাফল্যের চাবিকাঠি

সাফল্যের চাবিকাঠি মানসিক চাপ                                =     ০% অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ মানা           = ১০০% পরিশ্রম (সাধনা)                           = ১০০% ----------------------------------------------------  সাফল্য                                       = ১০০%  📔 সুতরাং সাধনার আর এক নাম সাফল্য।

উপাধি ও পদবির পার্থক্য

 উপাধি ও পদবীর পার্থক্য  Difference between surname and title সাথি, বুঝলাম, আপনি উপাধি ও পদবির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বোধহয় গুলিয়ে ফেলেছেন। উপাধি একটি সম্মানসূচক পদক, যা অন্যের দ্বারা, বিশেষ করে শাসকের দ্বারা শাসকের কর্মচারী বা অধস্থনরা পেয়ে থাকেন, বিশেষ কোনো কাজে কৃতিত্বের কারণে বা স্বীকৃতি হিসেবে। উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেলে, তার মৃত্যুর সাথে সাথে উপাধিটাও বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, সেটা তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতিতে দেওয়া হয়। ব্যক্তি মারা গেলে সেই উপাধি বংশপরম্পরায় পরবর্তী জেনারেশন পায় না। কিন্তু পদবি এ ধরনের কোন পদক বা উপাধি নয়, পদবি বংশের পরিচয়বাহী একটি শব্দ যা ‘লাস্ট নেম’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ পদবি নামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা বংশপরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে। এটা কোন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সম্মান সূচক শব্দ বা শব্দবন্ধ নয়। এটা মানুষ বংশপরম্পরায় পেয়ে থাকেন।  আর মনে রাখুন, ‘শাহ’ এ ধরনের কোন উপাধি নয়। ‘শাহ’ শব্দের অর্থ রাজা বা বাদশা। এটা প্রধান শাসক (যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী) নিজের শক্তিমত...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে