শিক্ষিত মানুষের ধর্ম :
আমরা স্কুল কলেজের লেখাপড়া শেষ করে নিজেদের পন্ডিত মনে করি, আর চাকরি পাওয়ার পর মহাপন্ডিত। বস্তুত, জগৎ ও জীবনের প্রকৃত রহস্য (সত্য) এত ব্যাপক ও জটিল যে, এই সময়কালের মধ্যে তা অনুধাবন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।
সুতরাং স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে চাকরি-জীবনে প্রবেশ করার পর আমরা নিজেদেরকে যে জায়গায় তুলে ধরি, তা প্রকৃতপক্ষে এক অসম্পূর্ণ অবস্থা। তাকে সম্পূর্ণতার কোনো গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিয়ে যেতে হলে ‘লেখাপড়া’ শেষে ‘পড়াশোনা’র কাজ নতুন উদ্যোগে শুরু করতে হয়।
এই কাজটা প্রকৃতপক্ষে এই সময় থেকেই শুরু হয়। নিরন্তর পড়াশোনা এবং গবেষণার মধ্য দিয়েই কেবল তা সম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, এই প্রক্রিয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়রেখা বা সীমারেখা নেই। আজীবন তা ক্রিয়াশীল রাখতে হয়। এক জীবন কেন, হাজার জীবনেও তা কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
সুতরাং শিক্ষিত মানুষের ধর্ম হল লেখাপড়া শেষ করে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া। এবং জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্যের (রহস্য) সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। আর এক আছে তার প্রধান অস্ত্র হল বিশ্বাস নয়, যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্যের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা তত্ত্বকে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে (পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ) এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
---------xx---------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন