Goutam Ray আপনার সঙ্গে সহমত। তবে ভুল ধারণাটা আমার মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে নেই। কিন্তু তবু কথাটা আজকের পোস্টের মধ্যে উল্লেখ করাটা খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে বলেই ওভাবে বলা। আমরা যা জানি, আমরা যা মানি, তার বাইরেও কিছু বিষয় থাকে, যাকে মান্যতা দেয়া যায় না অথচ তা সমাজে থাকে এবং কিছু মানুষ তার মান্যতা দেয়। সেগুলোকে আমরা ব্যতিক্রম বলি। আর ব্যতিক্রম হলেও, সেগুলোও বিষয় এবং তার প্রভাব সমাজে পড়ে। আমি আমার পোস্টে ওই ব্যাতিক্রমী মানুষদের কথাই বলেছি এবং তাদের উদ্দেশ্যেই বলেছি। বলেছি তার কারণ, ব্যতিক্রমকেও উপেক্ষা করা যায় না। উপেক্ষা করলে, ব্যতিক্রমই একদিন সাধারণ হয়ে সাধারণের বুকে দাপিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করে। এবং সে-ই একদিন নিজেকে সাধারণ বলে দাবি করতে থাকে। তাই আঙ্গুলটা সুযোগ বুঝে সেদিকেই তুললাম। আশাকরি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না। সময় করে মতামত দেয়ার জন্য আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও একরাশ ভালোবাসা। আপনার জন্য। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...