এই 👆উত্তরটা দিলেন না তো? 'বাংলা সাহিত্য' গ্রূপে আমার লেখার নিচে মন্তব্য আকারে যে শব্দটা লিখেছেন (গু,) তার ব্যাখ্যা দিলেন না তো? বাংলা সাহিত্যের পাতায়ও দেন নি। এখানেও দিলেন না। আশা করি এবার দেবেন। দেওয়াটা বোধায় আমাদের দুজনের সম্পর্কের গভীরতার খাতিরে, সৌজন্যের মধ্যেই পড়ে। কি বলেন? আর একটা অনুরোধ। ফেসবুকের আমার একটা লিঙ্ক আপনাকে দিয়েছি। যেখানে ইতিহাসের বিকৃতির বিষয়ে কলকাতা টিভির একটা ভিডিও প্রতিবেদন আছে। অনুরোধ রইল একটু দেখবেন। যেহেতু আগের দিন আপনার সঙ্গে আমার ফোনালাপে ইতিহাস বিষয়ক আলোচনায় আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারি নি, যার জন্য আমাকে পন্ডিত বলেছিলেন। তাই এই ভিডিওটা পাওয়ার পর আপনাকে শেয়ার করার লোভটা সামলাতে পারলাম না।😀😀 ছোট্ট একটা জায়গা ছাড়া বাকি কথাগুলো আমার ইতিহাসবোধ ও উপলব্ধির সঙ্গে হুবহু মিল আছে। সেদিন এই কথাগুলোই বোঝাতে চাইছিলাম বারবার। কিন্তু আপনার শোনার অনিচ্ছার অথবা আপনার সময়ের অভাবের কারণে গুছিয়ে বলে উঠতে পারেনি। তাই, এই বিষয়ে আপনার ভাবনা জানার ইচ্ছা রইল। আশা করি এই ইচ্ছাটাও পূরণ করবেন। যদি আপনার সময় হয়। আপনিও তো আমার মতো ব্যস্ত মানুষ।...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...