বিজ্ঞানের সঙ্গে পুঁজিবাদের সম্পর্ক বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা যে সমস্ত বৈপ্লবিক আবিষ্কার করেন, তার মধ্যে সেটুকুই কর্পোরেটপুঁজি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে, যা তার পুঁজির বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে। বাকিগুলো নির্দ্বিধায় আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়। আর রাষ্ট্র যখন তার সহায়ক হয়, তখন তা বিধ্বংসী রূপ নেয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিপদজনক পরিণতি সংক্রান্ত আবিষ্কারকে পৃথিবীর সব কর্পোরেট মালিক উপেক্ষা করে চলেছেন। এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। সেইসঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এনার্জি এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন, যাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে কোন বাধা না থাকে। এরফলে ১.৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অন্ধকারের অতল গহ্ব ঘরে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আসলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর প্রত্যক্ষ শিকার কর্পোরেট মালিকরা হন না। এর শিকার হন দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত সম্প্রদায়। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যখন কোন বিপর্যয় নেমে আসে, তার সরাসরি শিকার হয় এই সমস্ত সাধারণ মানুষ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...