সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সমাজ বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়?

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়? ব্যর্থতার ভার বইতে না পারার কারণে মানুষ মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নিজের ব্যর্থতার দায় ঝেড়ে ফেলে, সহজেই মনের বাসনা পূরণের আশায় ঘৃণা ও বিদ্বেষের পথ বেছে নেয়। কারণ, হতাশাকে কাটিয়ে সফল হওয়ার নৈতিক ও যৌক্তিক পথ যারা খুঁজে পায় না, তারাই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করে। অবলীলায় এরা মানুষ হয়েও আর একজন মানুষকে হত্যা করে বসে। অশিক্ষিত ও অযোগ্য হতাশা গ্রস্থ নেতাদের কাছে এরাই দাবার বড়ে হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। সুতরাং যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ায় এবং সমর্থন করে তারা আসলেই হতাশাগ্রস্থ মানুষ। এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পারে তারাই প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ, তিনি লেখাপড়া জানুন আর না জানুন। সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, তারা ইতিবাচক ভাবনার চেয়ে নেতিবাচক ভাবনার দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়, আন্দোলিত হয়। এদেরকে সহজেই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভাষণের দ্বারা সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঘৃণা এবং বিদ্বেষের চর্চা যারা করে, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যারা এই চর্চাকে কাজে লাগায়, তাদের অনুসারীরাদের অধিকাংশই বেকার ও হতাশাগ্রস্থ যুব সম্প্রদায়ের ...

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ?

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ? টিভি এবং সোস্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখা যাচ্ছে না। ঘৃণা আর বিদ্বেষ ভাষণে ছেয়ে গেছে এইসব প্ল্যাটফর্ম। সাম্প্রতিক কালে (৫ আগষ্ট ২০২৪) বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। গণ আন্দোলনের জেরে সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতায় বদল ঘটেছে। তাকে কেন্দ্র করেই এই পরিস্থিতি।  সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা — আমরা, যারা সাধারণ মানুষ, তাদের পক্ষে তা জানা বা বোঝা খুবই কঠিন। সত্য মিথ্যা যাই হোক, তা জানা, বোঝা এবং তা নিবারণের ক্ষমতা আছে একমাত্র রাষ্টের হাতে। সেদেশের সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা ব্যর্থ হলে তার প্রতিবাদ বা চাপ সৃষ্টি করার রীতি ও নীতি দুইই আছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও তা প্রয়োগের নির্দিষ্ট পথও আছে। প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় সরকার সেই পথ অবলম্বন করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভিযুক্ত দেশের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দাবি করতে পারি সেই চাপ তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে। কিন্ত আমরা যেটা পারিনা, তা হল এই বিষয় নিয়ে এমনভাবে ...

পরিবার ভেঙে যায় কেন?

পরিবার ভেঙে যায় কেন? একটা পরিবার ভেঙে যায় কখন? যখন পরিবারের সদস্যরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারায়। কারণ, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই হল সেই বন্ধন, যা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রধান লক্ষণ হল, কোন কিছু গোপন করা। পরিবারের একজন সদস্য যখন আরেকজন সদস্যকে কোন কিছু গোপন করে, তখন জন্ম নেয় সন্দেহ। ‘ সন্দেহ ’ হল সেই ‘ স্টেম সেল ’ বা কোষ যা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরস্পরের প্রতি বিদ্যমান ‘ বিশ্বাস ’ নামক ‘ স্টেম কোষকে ’ নষ্ট করে দেয়। ফলে বিশ্বাস বাড়ার পরিবর্তে কমতে থাকে এবং সন্দেহ কমার পরিবর্তে বাড়তে থাকে। এটা হল একটা পরিবারকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিকল্পহীন আদর্শ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি যখন কোনো প্রয়োজন পরিবারে জন্ম নেয়, সে পরিবার ভেঙে যেতে বাধ্য। গোপন করার মুলে রয়েছে লোভ ও কাউকে বঞ্চিত করে, অন্ধকারে রেখে, অধিক লাভবান হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা। সুতরাং একটা পরিবারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর একমাত্র উপায় হল লোভ সংবরণ করা এবং অপরকে বঞ্চিত করে নিজেকে আরও লাভবান করে তোলার ইচ্ছাকে দমন করা। একটা করতে পারলেই পরিবারের ভাঙ্গন রোধ করা যায় এবং পরিবার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃ...

ভারতীয় মধ্যবিত্তের চরিত্র

ভারতীয় মধ্যবিত্তের চরিত্র ভারতীয় মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা বড় অংশই একাধারে চরম স্বার্থপর, নির্বোধ (বোধ বুদ্ধিহীন); কিন্তু প্রচন্ড চালাক এবং ধর্মান্ধ। আর এটা আজ থেকে নয়, ঐতিহাসিক কাল থেকেই তাদের এই চরিত্রের প্রকাশ ঘটেছে। ইদানিং এটা বেড়েছে। এরা ব্যক্তি এবং শ্রেণি স্বার্থে করতে পারে না এমন কাজ নেই বললেই চলে।

নারীবাদ কী? নারীবাদী হওয়া কী যৌক্তিক?

নারীবাদ কী? নারীবাদী হওয়া কী যৌক্তিক? নারীবাদ, কোন বিশ্বাস নয়, এটা একটা ধারণা বা মতবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, একজন নারী একজন মানুষ হিসাবে ‘পূর্ণ মানবিক অধিকার ও মর্যাদা’ দাবি করে। অর্থাৎ একজন নারী তার অর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভেদে সমতার দাবি করে। এই মতবাদের ওপর ভিত্তি করে প্রথমে ইউরোপে এবং ক্রমশ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা ‘নারী আন্দোলন’ নামে পরিচিতি। মূলত আধুনিক ইউরোপীয় চিন্তাধারা থেকে এই আন্দোলনের উৎপত্তি। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে রোমান রাষ্ট্রনায়ক মার্কাস পোরসিয়াস ক্যাটো নারীদের ব্যয়বহুল পণ্য ব্যবহার সীমিত করার জন্য একটি আইন করার চেষ্টা করলে, রোমান মহিলারা ক্যাপিটোলিন হিল (রাষ্টনেতার দূর্গ) অবরোধ করেন। এই ঘটনায় ক্যাটো আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এবং কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “যদি তারা আপনার সমান হতে শুরু করে, তারা আপনার ঊর্ধ্বতন হয়ে উঠবে।” (As soon as they begin to be your equals, they will have become your superiors.” — Encyclopædia Britannica ) ১৪ শতকের শেষ এবং ১৫ শতকের প্রথম দিকে ফ্রান্সে, প্রথম নারীবাদী দার্শনিক, ক্রিস্টি...

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী?

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী? প্রিয় হওয়ার উপায় কী? আমরা হর-হামেশাই বলে থাকি ‘সে আমার প্রিয়’ বা ‘আমি তার খুব প্রিয় মানুষ’। কিংবা বলে থাকি, ও আমার ভালবাসার মানুষ। কেউ কেউ গর্ব করে বর্ননা করেন, কারও কাছে কীভাবে তিনি একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন তার দারুণ কাহিনি। প্রশ্ন হল, একজন মানুষ কীভাবে আরেকজন মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন? এই প্রশ্নটার একটি যথাযথ উত্তর দীর্ঘদিন ধরে খুঁজেছি। কারণ, আমি কখনও কারও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হয়নি। বলা ভালো, তেমন গুণের অধিকারী বলে কেউ আমাকে এখনও প্রত্যায়িত করেনি। কেউ করলেও তার মধ্যে যে কতটা নিঃশর্ত আন্তরিকতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমি এখনও সংশয়াতীত হতে পারিনি। অথচ প্রিয় মানুষ বা ভালো মানুষ হয়ে ওঠার বাসনা, অন্য অনেকের মত, আমার মধ্যেও আছে। ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। বিশেষ করে মায়ের কাছে প্রিয় সন্তান হয়ে ওঠার অদম্য বাসনা আমার এখনও পূরণ হয়নি। ফলে সব সময় এই বিষয়টা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। ব্যর্থতার চাপে। সঙ্গে চেষ্টা করি, প্রত্যেক মানুষের কাছে, বিশেষ করে আমার মায়ের কাছে, তার একজন প্রিয় সন্তান হিসেবে নিজেকে তুলে ধর...

বড়ো হওয়ার বয়স কত?

বড়ো হওয়ার বয়স কত? বড়ো হওয়ার কোন শেষ নেই। তা মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। শারীরিক ও বৌদ্ধিক —কোনদিক দিয়েই কেউ দাবি করতে পারে না, বড়ো হওয়ার শেষ সীমা সে অতিক্রম করেছে। একজন মানুষ প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্ত বয়সে এবং বুদ্ধিতে বাড়তে থাকে।

ধর্ষণের কারণ কী?

ধর্ষণের কারণ ধর্ষণ হচ্ছে একটি মানসিক ও শরীরবৃত্তীয় ব্যাধির সামাজিক রূপ। এর ভিত্তি হচ্ছে আর্থসামাজিক বৈষম্য। তাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা না বলে, শুধু কঠোর শাস্তির কথা বললে, ধর্ষণ বন্ধ হবে না। সমাজের সবাই ধর্ষক নয়। তবে, কেউ কেউ ধর্ষক। ধর্ষকের কোন লিঙ্গভেদ হয় না। দৈহিক চাহিদা নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই বর্তমান। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত। তাই একে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। সমাজ সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছে। যে এই নিয়ন্ত্রণের বলয়ে নিজেকে সুচারু রূপে আবদ্ধ রাখতে শিখেছে, তাকে আমরা সভ্য বলি। যে শেখেনি, তাকে অসভ্য এবং ধর্ষক বলি। সুতরাং স্ত্রী পুরুষ উভয়ই ধর্ষক মানসিকতা সম্পন্ন হতে পারে। কে কতটা ধর্ষক হয়ে উঠবে, তা নির্ভর করে তার আর্থসামাজিক অবস্থা ও ব্যবস্থার ওপর।  এই ধর্ষক মানসিকতা প্রধানত দু’ভাবে প্রকাশ পায়। একটি লোকচক্ষুর অন্তরালে, গোপনে। হিসেব-নিকেশ করে। অন্যটি হয় বেহিসেবী ও বেপরোয়াভাবে। লোক লজ্জার ভয় কিংবা গোপনীয়তার ধার না ধেরেই। যারা বেপরোয়াভাবে এবং বেহিসেবী হয়ে এই কাজ করে, সভ্য সমাজ তাকেই ধর্ষক বলে দেগে দেয়। এবং গে...

মানুষের প্রকৃত কল্যাণ কীভাবে সম্ভব?

মানুষের প্রকৃত কল্যাণ কীভাবে সম্ভব? মানুষ ঘৃণা নিয়ে জন্মায়, জন্মায় ভালোবাসার অসীম ক্ষমতা নিয়ে। ঘৃণা করতে শেখায় তার সমাজ, তার পরিবার। কারণ, মানুষ জন্মগতভাবে ভালোবাসার অকৃত্রিম বন্ধনে আবদ্ধ থাকে এবং তা সে পায় তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া অকৃত্রিম ভালোবাসার সূত্র ধরে। তাই মানুষ জন্মগতভাবে মানবতাবাদী, বিদ্বেষী নয়। বিদ্বেষী হয়ে ওঠে সমাজের ধান্দাবাজ ও কুচক্রী গোষ্ঠীর মদতে। তাই আসুন, আমরা মানবতাবাদের চর্চা করি, বিদ্বেষের নয়। এতেই মানুষের প্রকৃত কল্যাণ।

দূর আরবের স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে

দূর আরবের স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে। -- কাজী নজরুল ইসলাম। কোন আক্কেলে নজরুল এই কথা লিখেছিলেন? প্রশ্ন তুলেছেন ইভেন্ট হরাইজন সম্মানীয় সাথি, যে ‘আক্কেল’ প্রাপ্তির কারণে কাজী নজরুল ইসলাম এই কথা বলেছিলেন, ওই ধরনের ‘আক্কেল’ প্রাপ্তি আপনার জীবনে যতদিন না ঘটবে, ততদিন আপনি বুঝবেন না যে, তিনি কেন এই কথা লিখেছিলেন। আর ওই ‘আক্কেল’ প্রাপ্তির অন্যতম কিছু প্রধান শর্ত হল : ১) কোনো লেখকের লেখার বক্তব্য বুঝতে গেলে, আপনাকে লেখকের ওই লেখার সময়কালে পিছিয়ে যেতে হবে। তবেই তা বোঝা যাবে। ২) সময়কে সম্পূর্ন অতিক্রম করা যায় না। পৃথিবীতে কেউ তা পারেননি। (আপনিও পারবেন না।) আর পারেন না বলে, তাঁর ভাবনার কোন গুরুত্ব নেই, এই ধরনের ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে। ৩) লেখার প্রেক্ষাপট জানতে হবে। কারণ, প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলে লেখার অর্থ পাল্টে যায়। কখনও কখনও তা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়। ৪) ‘আরব’ মানেই শুধু একটি বিশেষ ‘প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম’ (যা প্রশংসার সাথে সাথে, নানাভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে) — এই সরল ভাবনা আমার আপনার চেতনায় পূর্ব থেকে গেঁথে থাকলে, তাকে সরাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ছাড়াও আরবীয় সভ্যতা পৃথিবীকে অনেক কিছু ...

বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা ও পাঠকের মতামত

বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা ও পাঠকের মতামত  Discussions and Readers' Opinions on the Problems of the World Muslim Community পাঠকের মতামত ও তার উত্তর ১) ধর্মান্ধতা জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্তরায়। গত ১৫০০ বছর ধরে তরবারির সাহায্যে অন্য ধর্ম ও জাতিকে নির্মমভাবে হত্যা ও ধ্বংস করে বেশিরভাগ ইসলামী রাষ্ট্রগুলো গঠিত হয়েছিল। মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্তরায়। Suranjan Adhikari সাথি, আপনার প্রথম বাক্যটা যতটা আধুনিক ও যুক্তি সম্মত, দ্বিতীয়টা ততটাই অযৌক্তিক ও অনাধুনিক। কারণ, প্রাচীন আর মধ্যযুগ তরবারির যুগই ছিল। গণতান্ত্রিক নয়। ইংরেজরা (পড়ুন খ্রিস্টানরা) যখন এসেছিল এবং এই দেশ জয় করেছিল, সেটাও তরবারির জোরেই করেছিল। জনগনের ভোটে জিতে, ভালোবেসে করেনি।  আধুনিক আমেরিকা এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পরে। তারা যে, আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের সেদেশ থেকে নিশ্চয়ই করে দিয়েছিল, সেটা যুদ্ধের মাধ্যমেই করেছিল। এই পলিসি যদি মুসলিম শাসকরা নিত, তবে আফ্রিকা, এশিয়া (আমাদের দেশ সহ) ও ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেশীয় জনজাতির চিহ্ন থাকত না। উত্তর ও দ...

বিশ্ব মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা

বিশ্ব মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা The biggest problem of world Muslim society বিশ্বের মুসলিম সমাজ কবে বুঝবে, অস্ত্র-ভিক্ষা করে, কিনে কিম্বা নকল করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করলেই বিপ্লব ঘটে যাবে না। এর জন্য দরকার আধুনিক জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিরন্তর গবেষণা। ইজরাইল সেটাই করে। তাই অন্যায় করেও বারবার সে জিতে যায়। When will the Muslim community of the world understand that the revolution will not take place if they shout 'Allahu Akbar' by begging, buying or copying weapons. This requires constant research of modern knowledge and science. Israel does that. So he wins again and again despite wrongdoing. -------–xx-------- 👁️‍🗨️ এ বিষয়ে পাঠকের মতামত এখানে দেখুন অথবা, 👁️‍🗨️ ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

মানুষে মানুষে বিভেদের প্রকৃত কারণ

মানুষে মানুষে বিভাজনের প্রকৃত কারণ The real cause of division among people প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে মানা বা তাকে শ্রদ্ধা করার কোন কারণ বা যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই মানুষকে বিভক্ত করে দিয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়, জাতি ও বর্ণে। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব ও খুনোখুনি। যদিও ধর্মের প্রয়োজন হয়েছিল  স্বার্থের অন্যায্য বণ্টন ব্যবস্থাকে আটকাতে। আর এ থেকেই প্রমাণ হয়, এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে মানুষ। কারণ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা মানুষকে এভাবে ভাগ করেনি, কারণ করতে পারেন না। সৃষ্টিকর্তার তুলনায় অতি নগন্য ও ক্ষুদ্র একটা জীব হচ্ছে মানুষ। সে যদি তার সন্তানকে আলাদা চেহারা, বর্ন আকৃতি হওয়া সত্ত্বেও কাউকে আপন পর বা কেউ সুখে থাক আর কেউ দুঃখে থাক — এভাবে ভাবতে পারে না, তবে সৃষ্টিকর্তার মত সর্বশক্তির আধার কোন মহান ও দয়ালু সত্ত্বা এতটা নির্দয় কীভাবে হয়?

পরনিন্দা পরচর্চা

 পরনিন্দা পরচর্চা কারা করে এবং কেন করে যারা পিছনে পরনিন্দা পরচর্চা করে, সৎ ও দুর্বল মানুষ তাদের শ্রদ্ধা করে না, কিন্তু ভয় পায়। তাই চুপচাপ মেনে নেয়। আর এই বদ অভ্যাসকে (পরনিন্দা পরচর্চাকে) অসৎ মানুষ কার্যসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। অসৎ মানুষ কার্যসিদ্ধির জন্য তা নিয়ে হললা বাঁধিয়ে দেয়। তাকে আরও উৎসাহিত করার জন্য নিজের বদবুদ্ধিকে প্রয়োগ করে মজা নেওয়ার চেষ্টা করে। যদি কেউ আপনার অবর্তমানে আপনার সম্পর্কে নিন্দা করে, জানবেন ১) সে আপনাকে ঈর্ষা করে। ২) আপনার সঙ্গে যোগ্যতায় ও কর্ম দক্ষতায় সে পিছিয়ে পড়ছে। নিজের এই অক্ষতা ঢাকার জন্য আপনাকে সে টেনে হিচড়ে নিচে নামিয়ে আনবে। আর তার কাছে এই কাজের সবচেয়ে বড় ও নিরাপদ অস্ত্র হল পরনিন্দা পরচর্চা।  ৩) যারা এই অস্ত্রের ব্যবহার করে, তারা আসলে আপনার চেয়ে বিদ্যাবুদ্ধিতে খাটো এবং মানসিক ভাবেও অত্যন্ত দুর্বল প্রকৃতির।  কিন্তু নিজেকে অত্যন্ত চালাক বা চতুর ভেবে এক ধরণের সুখানুভূতিতে সবসময ডুবে থাকতে চান। বিস্তারিত জানতে অপেক্ষা করুন। 

মুসলমান সমাজের পিছিয়ে পড়ার কারণ

মুসলমান সমাজের পিছিয়ে পড়ার কারণ বাবা শেখ মীরান ছিলেন কৃষক, মা সাইতুন বিবি গৃহবধূ। ছোট থেকেই লেখাপড়ায় মেধাবী ছিলেন নিগার। ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। কাজী নজরুল ইসলামের এই ভুবন বিখ্যাত উক্তিটি আমরা পথে-ঘটে, মাঠে-ময়দানে, সভা-সমাবেশে গলা ফুলিয়ে গর্ব ভরে আওড়াই। আবার সেই আমরাই ঘরের মেয়েকে শুধুমাত্র একজন ভালো জামাই পাওয়ার লক্ষ্যে, যেটুকু লেখাপড়া করানো দরকার বলে মনে করি, শুধুমাত্র সেটুকুই পড়াই বা শেখাই। পারি আর না পারি, ছেলের ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা এভাবে ভাবি না। এটা একটা ভয়ংকর রকমের বৈষম্যমূলক ভাবনা। এই ভাবনা মুসলিম সমাজ এবং মুসলিম ব্যক্তি মানসের বিকাশের পরিপন্থী। যে মুসলমান সমাজ এভাবে ভাবে, সেই সমাজ এগোবে? অসম্ভব! অর্ধেক আকাশকে অন্ধকারে ঢেকে রেখে, আলোর পূর্ণ জ্যোতির প্রভাব আকাশ জুড়ে (মুসলিম সমাজ জুড়ে) অনুভব করা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, এতে মেধার অপচয় হয়। ফলে এই সমাজই শুধু নয়, দেশ বঞ্চিত হয় এই সমাজের মধ্যে থাকা সঞ্চিত মেধার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ থেকে। শনিবারই সূর্যের রহস্যভেদের উদ্দেশে পাড়ি দি...

পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী?

 পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী? What is the key to family peace পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি হল, পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ও বিশ্বস্ত থাকা। এই বিশ্বাস কারো অন্তরে তখনই জন্মায়, যখন অন্যজন তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। এই পারস্পরিক বিশ্বাসই জন্ম দেয় শর্তহীন ভালোবাসার, যা পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি ।

সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব

প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব। Rights and Responsibilities of Adult Children. সন্তানের যদি অধিকার থাকে, সে বাবা-মায়ের পরামর্শ শুনবে না; কারণ, সে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষিত হয়েছে (১৮ ক্রস করেছে), তবে তার দায়িত্ব হল এমন গ্যারান্টি তৈরি করা, যে সে জেনে বুঝে এমন কোন ভুল করবে না, যার দ্বারা তার ও তার পরিবারের কোন প্রকার ক্ষতির সম্মখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের যদি অধিকার থাকে, সে বাবা-মায়ের পরামর্শ শুনবে না, কারণ, সে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষিত হয়েছে (১৮ ক্রস করেছে), তবে তার দায়িত্ব হল এমন গ্যারান্টি তৈরি করা, যে সে জেনে শুনে এমন কোন ভুল করবে না, যার দ্বারা তার ও তার পরিবার কোন প্রকার ক্ষতির সম্মখীন হতে পারে। কেননা সে দাবি করছে, সে বড় (প্রাপ্তবয়স্ক) হয়েছে এবং শিক্ষিত হয়ে উঠেছে। এবং বড় হয়ে যাওয়া ও শিক্ষিত মানুষ মাত্রই জানে, অধিকার ও দায়িত্ব পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। একটাকে অস্বীকার করলে অন্যটা পাওয়া যায় না। একই কথা বাবা মায়ের জন্যও সমান ভাবে প্রযোজ্য। কারণ, তিনিও একজন পিতা-মাতার সন্তান। সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব। ------xx-----

বহুরূপে মানুষ,

বহুরূপে মানুষ,  মানুষ শৈশবেই কেবল মানুষ থাকে। যৌবনে জন্তু হয়। বয়স যত বাড়তে থাকে, সিংহভাগই, ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করে। আসলে মানুষের মত বহুরূপী প্রাণী পৃথিবীতে দ্বিতীয় আছে বলে মনে হয় না। শৈশবে একজন শিশু আর একজন শিশুকে শুধু নিজের মত একজন মানুষ হিসেবেই দেখে (যদিও এ সময় তার জাতের নাম যে ‘মানুষ’, তাও তার অজানা থাকে)। এ ছাড়া তার কাছে অন্য কোন পরিচয় থাকে না। তাই তারা খুব দ্রুত পরস্পর পরস্পরের বন্ধু হয়ে যায়। কে কালো, কে সাদা; কে হিন্দু, কে মুসলমান; কে নারী কে পুরুষ ইত্যাদি -- কোন বিষয়ই তাদের কাছে কোন গুরুত্ব পায় না, প্রাধান্য তো পায়ই না। সে যত বড় হয়, তত সমস্যা বাড়ে। তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়, তার সঙ্গে অন্যের পার্থক্য কোথায়। এই পার্থক্যবোধই বৈষম্যের জন্ম দেয়। বৈষম্য তৈরি করার উদ্দেশ্যেই এই পার্থক্যবোধ শিশুর মধ্যে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই মানুষ যখন যৌবনে পদার্পণ করে, সে তখন জান্তব চেহারা নেয়। তার দৈহিক ও মানসিক শক্তি তাকে কিছু পরোয়া না করার পরামর্শ দেয়। বৈষয়িক ও চতুর যারা, তারা এদের উস্কে দেয় অসম্ভবকে সম্ভব করার, কখনও কখনও অনুচিতকে ঔচিত্যের মোড়ক দেওয়ার কাজে। ফল...

পুরুষতন্ত্রের বিকল্প নারীবাদ নয়

পুরুষতন্ত্র আধুনিক সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এর বিকল্প কী? নারীবাদ? মোটেই নয়। যে কারণে পুরুষতন্ত্র সমালোচিত হয়, নারীবাদ সেই কারণেই সমালোচিত হতে বাধ্য। কারণ পুরুষতন্ত্র যেমন নারীর অধিকারকে খর্ব করে, তেমনি নারীবাদকে প্রশ্রয় দিলে পুরুষের অধিকারও খর্ব হতে বাধ্য। তাহলে উপায়?  পুরুষতন্ত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং যুক্তিযুক্ত বিকল্প নারীবাদ নয়, মানবতাবাদ। কারণ এখানে নারী বা পুরুষকে নারী-পুরুষের-গন্ডি পেরিয়ে মানবিক চেতনায় ও চেহারায় দেখতে শেখায়।

আপনি কতটা জ্ঞানী?

আপনি কতটা জ্ঞানী? অন্যেরা কম জানে বলেই, আপনি বেশি জানেন। অর্থাৎ আপনার ‘বেশি জানার খেতাবটা’, অন্যের ‘জানতে না চাওয়ার বদ-অভ্যাসে’র উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ অন্যেরা জগৎ ও জীবন সম্পর্কে আপনার চেয়ে কম জানে বলেই, ‘আপনি বেশি জানেন’ - এই দাবি করতে পারেন। তাই নিজেকে বেশি বুঝদার ভাবার আগে, আরও কয়েকবার ভাবুন, আপনি ঠিক কতটা জানেন বা বোঝেন। কেননা, যেকোনো সময় অন্য কেউ আপনাকে টপকে যেতে পারে। তেমনি, অন্যেরা জগৎ ও জীবন সম্পর্কে কম জ্ঞান অর্জন করলেই কেবল ‘আপনি বেশি জ্ঞানী’ - এই দাবি করতে পারেন বা অন্যেরা তার মান্যতা দেয়। সুতরাং যেকোনো সময় আপনার এই খেতাব আপনার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে - এটা মাথায় রেখেই পথ হাঁটুন, পড়তে থাকুন এবং অবশ্যই ‘জানতে জানতে চাওয়া’র ইচ্ছাকে বাঁচিয়ে রাখুন। এই ‘মাথায় রাখা’ এবং ‘পথ হাঁটা’র অর্থ হল, প্রতিটা মুহূর্ত (আজীবন) জগৎ এবং জীবনকে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে সত্যাসত্য (সত্য অথবা অসত্য) যাচাই করে নেওয়ার প্রক্রিয়াটা চালু রাখা।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে