বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা ও পাঠকের মতামত
Discussions and Readers' Opinions on the Problems of the World Muslim Community
পাঠকের মতামত ও তার উত্তর
১) ধর্মান্ধতা জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্তরায়। গত ১৫০০ বছর ধরে তরবারির সাহায্যে অন্য ধর্ম ও জাতিকে নির্মমভাবে হত্যা ও ধ্বংস করে বেশিরভাগ ইসলামী রাষ্ট্রগুলো গঠিত হয়েছিল। মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্তরায়।
Suranjan Adhikari সাথি, আপনার প্রথম বাক্যটা যতটা আধুনিক ও যুক্তি সম্মত, দ্বিতীয়টা ততটাই অযৌক্তিক ও অনাধুনিক।
কারণ, প্রাচীন আর মধ্যযুগ তরবারির যুগই ছিল। গণতান্ত্রিক নয়। ইংরেজরা (পড়ুন খ্রিস্টানরা) যখন এসেছিল এবং এই দেশ জয় করেছিল, সেটাও তরবারির জোরেই করেছিল। জনগনের ভোটে জিতে, ভালোবেসে করেনি।
আধুনিক আমেরিকা এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পরে। তারা যে, আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের সেদেশ থেকে নিশ্চয়ই করে দিয়েছিল, সেটা যুদ্ধের মাধ্যমেই করেছিল। এই পলিসি যদি মুসলিম শাসকরা নিত, তবে আফ্রিকা, এশিয়া (আমাদের দেশ সহ) ও ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেশীয় জনজাতির চিহ্ন থাকত না। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপীয় খ্রিষ্টান শাসকদের দ্বারা সেখানকার আদিম অধিবাসীরা যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, সেভাবেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। কিন্তু আরব মুসলিমরা তা করেনি।
পেশী শক্তির জোরে রাজ্য দখল ও তাকে সাম্রাজ্যে পরিণত করাটাই বৈধ রাজনৈতিক বিধি ছিল তখন। সারা পৃথিবী জুড়েই।
দক্ষিণ ভারতের সাতবহন শাসকরাও সেভাবেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া জয় করেছিল। সেটা কী গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগনের ভোটে জিতে করেছিল, না ভালোবেসে? সেটাও তরবারির জোরেই করেছিল। সেখানে যে সনাতন ধর্মে প্রসার ঘটেছিল, যা নিয়ে আজও আমরা গর্ব করি, তা ভারতীয় শাসকদের তরবারির ও শাসকের ধর্ম প্রচারের জোরেই হয়েছিল।
তাই, শুধু মুসলিম শাসক নয়, সব ধর্মের শাসকরা তরবারির সাহায্যেই দেশ জয় করেছিল এবং ধর্মপ্রচারও করেছিল।
মানবজাতির একটা বড় অংশের সৌভাগ্য যে, ইসলাম নামক একটি মানবিক ধর্মের জন্ম হয়েছিল, যারা ধর্মান্তরিত করলেও গণহত্যার মাধ্যমে একের পর এক আদিম জনজাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আরবদের কলোনি গড়ে তোলেনি।
সুতরাং আপনার দ্বিতীয় মত বা অভিযোগ অনৈতিহাসিক এবং অযৌক্তিক। আশা করি আপনার ভাবনার উপযুক্ত রসদ সরবরাহ করতে পেরেছি।
ভালো থাকবেন সাথি। ভালোবাসা জানবেন।
-----------xx----------
২) কিন্তু এবার তো হারছে। আর লড়াইটা কি বিশ্বের মুসলিম সমাজ আর ইজরায়েলের?
Sushanta Kar এবার কেন, প্রতিবারই তো হেরেছে। পরেরটা বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন।
আসলে রাজনৈতক দিক বা জাতীয়তার দিক থেকে দেখলে এটা মোটেই বিশ্ব মুসলিম সাম্প্রদায়ের সঙ্গে ইসরাইলের নয়। একেবারেই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের লড়াই।
আরও গভীর ভাবে দেখলে এটা আসলে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শোষিত ও শাসিত তথা বঞ্চিত সমাজের লড়াই। এখানে ধর্মটা একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিন্তু সামাজিক দিক থেকে দেখলে এর প্রভাব সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজের ওপর গভীরভাবে পড়ে। কারণ, পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম সমাজ একটি সাধারণ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসনের অধীনে কম বেশি বাঁধা আছে। এবং এ কারণেই বিশ্বের প্রতিটা দেশে মুসলিম সমাজ পিছিয়ে পড়ে আছে। সে সমাজ সংখ্যাগুরু হোক বা সংখ্যালঘুই হোক — সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা।
এটা শুধু মুসলিম নয়, সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেই একই রকম। শেকড়কে অনুসরন করেই অন্য জায়গার সমাজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। যেমন ভারতে প্রচলিত সনাতন ধর্মের মানুষের সামাজিক ও ধর্মীয় দর্শনের প্রভাব বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব দেশের সনাতন ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীরভাবে রয়েছে। এবং তার সুফলও তারা ভোগ করে। এবং এই কারণেই বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু তারা জনসংখ্যার অনুপাতে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে শিক্ষায় এবং সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ভারতীয় সংখ্যালঘুরা বিশেষ করে মুসলিমরা ভয়ংকর ভাবে পিছিয়ে রয়েছে। তার কারণও ধর্মীয় ও সামাজিক শিকড়ের পিছিয়ে থাকার কারণেই।
আর এই কারণেই আমি বিশ্ব মুসলিম সমাজের কথা এখানে উল্লেখ করেছি। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের বিষয়টি আমি এখানে উদাহরণ হিসেবে এনেছি। এবং তা বোঝানোর সুবিধার জন্য।
তাই ফিলিস্তিনি সমাজের সঙ্গে বিশ্বের সব অংশের সমাজের ভালোমন্দের বিষয়টি পরোক্ষভাবে হলেও যুক্ত আছে। মূল সমাজ দর্শনের পরিবর্তন না এলে ফিলিস্তিনি সমাজের মতো পৃথিবীর অন্য কোন জায়গার সমাজ দর্শনও পাল্টাবে না।
আর এই পাল্টানোর একটি বিকল্প হাতিয়ার হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে মুসলিম সমাজের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করা এবং তার প্রচার ও প্রসার ঘটানো। এটা করতে পারলেই এই সমাজের পিছিয়ে পড়া আটকানো যাবে, নচেৎ নয়।
খেয়াল করলে বোঝা যায় ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের এক সঙ্গে থাকার ক্ষেত্রে একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাধা হচ্ছে ভিন্ন ধর্ম ও সমাজ দর্শনের, পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস এবং সহনশীলতার অভাব। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এক পক্ষের দখলদারিত্ব সংক্রান্ত বিকৃত মানসিকতা এবং অন্যদিকে বঞ্চিত হওয়ার ভয় এবং বঞ্চনা ও নির্যাতন-জনিত যন্ত্রণাবোধ।
প্রথম কারণটা ধর্ম ও সমাজ সংক্রান্ত আর দ্বিতীয়টা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত। এই দুটো বিষয়ের ক্ষেত্রেই দুটো গোষ্ঠীর অবস্থান একেবারে দুই মেরুতে। একটা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বৈষয়িক বিদ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে অনেকটাই উপরে উঠে গেছে, আর অন্য সম্প্রদায়টি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। আর এ কারণেই এই সংকটের জন্ম হয়েছে। সমানে সমানে সন্ধি হয়, মিলেমিশে থাকার প্রবণতা বাড়ে। আর অসমান হলে আধিপত্যের বাসনা আর শোষিত ও বঞ্চিত হওয়ার ভয় গুরুতর হয়ে ওঠে। এবং পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস গুরুতর সংকটের জন্য দেয়।
ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের সংকটের এটাই হচ্ছে ভিতরের কথা, আমার মতে, মূল কথা। আশা করি আমার কথা স্পষ্ট করতে পেরেছি।
----------xx---------
৩) Ali Hossain আপনাকে বলছি আপনি এসব আজেবাজে বুলি ছেড়ে সমাজের জন্য কিছু করে দেখান। দাড়ি,টুপিতে খোঁচা মেরে সমাজের কিছুই করতে পারবেন না। আগে তো আপনার এলাকাটা সামলান ।
সম্ভবত, আমার সম্পর্কে আপনার একটা ভুল ধারণা আছে। সেই ধারণা থেকেই জন্ম নিচ্ছে বোঝাবুঝির সমস্যা। মুছে ফেলুন ধারণাটা।
আপনাকে পরিষ্কার করে জানিয়ে রাখি : আমি একজন শিক্ষিত মানুষ, শিক্ষকও বটে। একজন শিক্ষিত মানুষ কখনও কোন সংস্কৃতিকে অসম্মান করেন না। তার সমালোচনা করতে পারেন মাত্র। কিন্তু কখনই আঘাত করেন না। সেই সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি সহমত হন বা না হন। আধুনিক শিক্ষার এটাই সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। ওটা আমার আছে। আপনি বুঝতে পারছেন না, যে ওটা আমার আছে।
আর একটা কথা বলি। আমি যে আঘাত করছি না, তার বড় প্রমাণ হল, অধিকাংশ মানুষই আমার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
আশা করি আপনার ধারণার পরিবর্তন হবে।
৪) এটা আল্লাহর কলম। এখানে মুসলিমদের দোষ কোথায়। আল্লাহ যা চান তাই ই হবে। আমার তো জানি বদর প্রান্তে একহাজার এর বিরুদ্ধে তিনশতের জন জয়ি হয়েছিলেন। সুতরাং আল্লাহ যা চান তাই ই হবে। আল্লাহ ই একমাত্র হেফাজত কারী।
৫) Sanaullah Khan - Sanu দারুন জবাব ❤️ কিছু কিছু মানুষ আছে তারা বিজ্ঞানকে স্রষ্টার থেকে বেশি কিছু মনে করে, বিজ্ঞান যদি সবকিছু ঠিক করে দিতো তাহলে বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিং কেন সারা জীবন পঙ্গুত্বের সাথে আপোষ করলেন? এটা কি বিজ্ঞানের ব্যার্থতা নয় কি? এই ধরনের মুসলিম নামধারী মানুষ কে বলে মু তাজিলা (বিজ্ঞান নির্ভরশীল)যার কারণে প্রতি পদে পদে সমাজের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
Abunafiz Abunafiz আমাদের সমস্যা কোথায় জানেন, তিনি যদি থাকেন মানি, তবে বিজ্ঞানকেও আমাকে মানতে হবে। কারণ, এটাও তারই দান। এবং তাকে গ্রহণ করতে হবে। এখানে কোন বিরোধ নেই। আমরা না বুঝে দুটোকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেরা বোকার মতো লড়াই করি।হকিং এর পঙ্গুত্ব দেখতে পেলেন, কিন্তু তাকে জয় করার লড়াই এবং সেখানে তার জেতাকে আপনি দেখতে পেলেন না। একবার ভেবে দেখুন তো, ওই পঙ্গুত্ব আপনার হলে, বা আমার হলে, আমার-আপনার জীবন কীভাবে কাটতো? তিনি পঙ্গুত্ব নিয়েই রাজার হালে দিন কাটিয়েছেন এবং মানুষের জন্য নতুন আবিষ্কার করে রেখে গেছেন, যা আমার আপনার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি, হবেও না। আপনি যতই উপরওয়ালাকে ডাকাডাকি করুন না কেন। হবে না। উনি আমার আপনার মতো করে ঈশ্বরকে ডাকেননি। অথচ উপরওয়ালা তাকেই আবিষ্কারের ক্ষমতাটা দিলেন। কেন? ভাবতে থাকুন, আবেগ দিয়ে নয়, যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে। উত্তর পেয়ে যাবেন।
টেকনোলজির একটা স্পেক্টাকল আছে, ইউজফুলনেস আছে বেশীরভাগ টেকনোলজিরই। তাই টেকনোলজির বিষয়ে আকর্ষণ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু টেকনোলজিকে বিজ্ঞান সমঝে, তার মুখোমুখি ধর্মকে দাড় করিয়ে ধর্মকে খারিজ করে দেয়ার চেষ্টা শুধু ক্রিয়েটিভ এনার্জির অপচয়ই শুধু নয় নিরেট নির্বুদ্ধিতাও বটে।
আমরা নিরেট নির্বুদ্ধিতাকে বিজ্ঞানমনষ্কতা বলি ঠিক যেভাবে ফ্যাসিবাদকে বর্তমান সময়ে জাতীয়তাবাদী বলি, স্রষ্টা যখন পৃথিবীতে মানব জাতি কে সৃষ্টি করলেন সমস্ত উপকরণ দিয়েপাঠিয়েছেন,স্রষ্টা মানুষ কে তার বুদ্ধি বিবেক কে কাজে লাগাতে বলেছেন তাই বলে এই নয় যে তিনি পৃথিবীতে অবতরণ করে সবকিছুই সমাধা করে দেবেন,যাহারা বুদ্ধি বিবেক কে কাজে লাগাচ্ছে তাহারা সফলতা অর্জন করছে চাই সে ধর্মের বা বর্ণের হোক , পরিশেষে এটি ও বলতে চাই বিজ্ঞান মানব তথা পার্থিব্য জগতে আশির্বাদ না অভিশাপ বর্তমান সময়ে সেটা বলে দিচ্ছে।
৬) আধুনিক শিক্ষা এটাই! মারনাস্ত্র বানাও,জেনোসাইড কর,আশ্রয় দাতার দেশ ছিনিয়ে নাও, আমেরিকা, বৃটেন আছে আমাদের সহায়ক।
আপনার কথা বলার ক্ষমতা আছে। তা ব্যবহার করে প্রেমের বা ভালোবাসার কথা যেমন বলতে পারেন, তেমনি ঘৃণার কথাও বলতে পারেন। এখন মুখ দিয়ে ঘৃণা ছড়ানো যায় বলে মুখে সেলো টেপ আটকে রাখবেন?
রাখুন, আর অন্যের কাছে গাল খেয়ে বেড়ান। এটাই তো করছে আরব বিশ্ব। আর মার খেয়ে মরছে সেখানকার জনগন।
আর কে বললো, আপনার প্রশ্ন আমি এড়িয়ে গেছি? যেটা প্রাসঙ্গিক, তার উত্তর দিয়েছি। আপনি বুঝতে পারলেন না। সেটা আমার অক্ষমতা নয়, আপনার।
ভালো থাকুন। আর অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে, আমার সময় নষ্ট করবেন না প্লিজ। আমি অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেই না।
আপনি যদি এই নিয়ম না মেনে চলেন তবে, এরপর থেকে আপনার অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নকে উপেক্ষা করতে বাধ্য হবো। যেটা আমি সাধারণত করিনা।
আচ্ছা, আপনি তো জ্ঞানী মানুষ! কিন্তু আমার আপনাকে বোঝায় সমস্যা হচ্ছে। হতে পারে সেটা আমার দুর্বলতা। সঠিক জানিনা।
খেয়াল করুন, এই যে বললেন না, ‘চামচাদের নিয়ে দীর্ঘজীবী হন’ — এটাই অনাধুনিকতা। এর উল্টোটা আধুনিকতা।
আপনি বুঝলেন না যে যাদের আপনি চামচা বললেন, আমাকে নয়, আপনি আসলে তাদের অপমান করে ফেললেন। কিন্তু তারা তো আপনার কাছে কোন অন্যায় করেননি। আপনি সেটা বুঝলেন না। এই না বুঝতে পারা ভাবনাটাই অনাধুনিকতা। এর উল্টো ভাবনাটাই আধুনিকতা। আপনি আধুনিক মনের অধিকারী হলে এটা বুঝতে পারতেন।
আধুনিকতা ব্যাখ্যা করতে গেলে একটা মস্ত বড় প্রবন্ধ লিখতে হবে। দু’এক কথায় এটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সেটা কি এখানে সম্ভব? না। তাই এড়িয়ে গেছি। এবং এটা আমার পোস্টের লক্ষ্যও নয়। তাই আপনার প্রশ্নটা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। তাই এড়িয়ে গেছি।
এক কাজ করুন ভাইজান। Google সার্চে লিখুন ’অনুচ্চারিত উচ্চারণ’ অথবা ‘অনুচ্চারিত উচ্চারণ প্রবন্ধ’, অথবা লিখুন, ‘অনুচ্চারিত উচ্চারণ আমার কথা’। দেখবেন আপনার সামনে বেশ কয়েকটি লিঙ্ক চলে আসবে। ওগুলো আমার ব্লগের লিঙ্ক। ওখানে যান। প্রচুর মানুষ দেখেন। মতপার্থক্য হলে সেখানে বলেনও। ওখানে বিভিন্ন বিষয়ে আমার ভাবনা আছে। আধুনিকতা সম্পর্কেও লেখা পাবেন। প্লিজ একটু ওখানে গিয়ে পড়ে নিন। ওখানে মতামত দেওয়ারও জায়গা আছে। সেখানে আপনি লিখতেও পারেন আপনার মতামত। চামচাগিরি করতে হবে না। আপনার যেটা বলতে ইচ্ছা করে মন খুলে বলুন। কোনও অসুবিধা নেই। আপনার মন্তব্যগুলো ওখানে স্থায়ীভাবে থেকেও যাবে। অনেক মানুষ ওগুলো পড়ার সুযোগ পাবেন। সমৃদ্ধ হতে পারবেন তারা।
ভালো থাকুন ভাইজান। সালাম।
৭) তারমানে আপনি মুসলিম সন্ত্রাসবাদ চাইছেন। সিরিয়া কি অবস্থা হল। দেশ প্রেম উদ্বুদ্ধ হয়ে ভিয়েতনাম একা নাস্তানাবুদ করেছিল USA কে। ধর্ম কে উপাসনা হিসেবে পালন করুন।
Dipankar Roy Chowdhury রাত্রে ভালো ঘুম হয়েছে তো দাদা? না, হলে একটু ঘুমিয়ে নিন। উঠে দেখবেন ‘সন্ত্রাসবাদ’ শব্দটা আর ওখানে নেই। কারণ, একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ কোন ধরণের সন্ত্রাসবাদকে পছন্দ বা সমর্থন — কোনটাই করতে পারেন না।ঘুমের কথাটা মজা করে বললাম, রূপকে। সিরিয়াসলি নিয়েন না যেন।😘😘
আর শুনুন, পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন, যাদের উপাসনা করারও লাগে না, ধর্ম পালনের জন্য। বুঝলেন কিছু?
আমি শিক্ষিত মানুষ। শুনলেন? হ্যাঁ, দাবি করছি, জানা না থাকলে জেনে নিন, আমি শিক্ষিত মানুষ। এবং যথাযথ।
এটাই strange।
শিক্ষিত মানুষ আড্ডার স্টাইলে কথা বলতে পারেন না, এটা জানতাম না। দাদা।
এ দোষ আমার না। শিবরাম চক্রবর্তী বা দাদা ঠাকুরের দোষ। আমি অনুকরণ করেছি মাত্র।
তবে, আড্ডার ছলে যা বলেছি, তা কিন্তু সিরিয়াস। ভালো থাকবেন। সাথি।
‘বাচাল’ শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়, অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক (বেশি) কথা বলে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা। এই কাজটা কে করেছে, আমি, না আপনি?
আমার পোষ্টের মধ্যে ‘মুসলিম সন্ত্রাসবাদের’ সমর্থনের সূত্র কোথায় পেলেন? এই যে অপ্রাসঙ্গিক শব্দ দুটো ব্যবহার করলেন, এটাকে বাচালতা বলে না?
ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন? ‘রসিকতা’ আর ‘বাচালতা’ আলাদা শব্দ, জানেন না? কথায় না পেরে মানুষকে অসম্মান করার চেষ্টা করছেন?
বাচালতা কে শুরু করেছে? আমি বলছি, আপনি করেছেন। আমি তার উত্তরে বাচালতা নয়, ঠান্ডা মাথায় রসিকতা করে সঠিক উত্তরটা দিয়েছি। ভালো না লাগলে, ‘ফালতু লোকে’র কাছে ফালতু কথা পেড়েছেন কেন?
আমার পোষ্টের মধ্যে দিয়ে কী বলা হয়েছে বোঝেন না? এতগুলো মানুষ বুঝলেন, আপনি বুঝলেন না! কীভাবে? কীভাবে এখানে ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ’ নামক শব্দ দুটো এলো, ব্যাখ্যা করুন।
আমি আবার কাউকে ব্লক করার পক্ষে নই দাদা। এটাকে আমার কাছে পালিয়ে যাওয়ার মত মনে হয়। আমি যুক্তি ও তথ্য দিয়ে তাকে বুঝতে সাহায্য করি (এবং নিজেও বোঝার চেষ্টা করি) যে, তার পথ ভুল না ঠিক।
আপনি কী করবেন, একান্তই আপনার ব্যাপার। আমাকে শুনিয়ে কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না।
তবে হ্যাঁ, অশালীন কথা বললে, অভদ্রতা করলে তাকে আমি ছাড়ি না। ব্লক করি। আমার সৌভাগ্য, একজন ছাড়া আর করো বিরুদ্ধে একাজ আমাকে করতে হয়নি। ফেসবুকের জন্ম বছর থেকেই।
আপনার যা আছে, তা হল, অকারণে তাচ্ছিল্য করার ক্ষমতা। ওটা কোন মূল্যবান কিছু নয়, আমার কাছে। এটা কাউকে দিতে বিশেষ কোন যোগ্যতাও লাগে।
ভালো থাকুন। আর আনন্দে থাকুন — এই ভেবে যে, মানুষকে তাচ্ছিল্য করার ক্ষমতায়, আপনি বঙ্গ নয়, বিশ্ব সেরা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন