সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইজরাইল ও প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান

 ইজরাইল ও প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান কিভাবে সম্ভব?

How to solve the problem of Israel and Palestine

মানুষের মৃত্যুতে যারা আনন্দ খুঁজে পান, তারা আর যাই হোক, মানুষ নন। মানুষ নামের একটি জন্তু মাত্র।
◾Kono sustha manush ei Hamas r Israel er niriha manush hatya te moja pay na. Jara itihas khuje anondo pache tara asustha..

Arghya Bhattacharya যথাযথ বলেছেন। কিন্তু এই অজুহাতে ইসরাইলের আগ্রাসনকে যেন সমর্থন না করে ফেলি। মাথায় রাখতে হবে। সাথি।❤️

◾Ali Hossain 2toi samathan jogyo noy.

Arghya Bhattacharya প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করলে অন্যায় হবে। আন্তরজাতিক আইন লঙ্ঘন করা হবে।

◾Dada, itihas amader khub kharap. Ghatlei kada berobe. Keu 2004 ghatbe, keu 1976 ghatbe, keu 1945 ghatbe, kue 1700 ghatbe, keu 1500 ghatbe, keu 1100 ghatbe, keu 200 ghatbe keu abar kristhapurba ghatte thakbe. Ei ghata ghatir itihas besi ghatle samner din khub kharap sadharan sob dhormer garib manusher kache.

Arghyza Bhattacharya আপনার কথার যুক্তি আছে। কিন্তু এই যুক্তি ইসরাইল যদি না মানে, পাইলস্টাইনও তো মানবে না। অন্তত চূড়ান্ত পরাজয় ছাড়া। আমরা যে যাই বলি না কেন? সুতরাং সমস্যা মিটবে না।

কারণ,

প্রথমত, সুদূরের ইতিহাস ঘাটাঘাটির ফলেই আজকের ইসরাইলের জন্ম হয়েছে। বৃটিশের মদতে। আর আমারিকার উস্কানিতে তাকে কেন্দ্র করেই জন্ম নিয়েছে গভীর মধ্যপ্রাচ্য সংকট। না হলে তো এমন হওয়ার কথাই ছিল না। কারণ, এক সাথেই দুটো জাতি দীর্ঘদিন পাশাপাশি থেকেছে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন আমলে। পরস্পর ভাই-ভাইয়ের মত বসবাস করেই তো আসছিল তারা। মধ্যপ্রাচ্যে তেলের আবিষ্কার ও সেই তেলের উপর দখলদারিত্ব বজায় রাখতে, আমারেরিকা তেলের রাজনীতি শুরু করার জন্যই এই সংকট তৈরি হয়েছে এবং ক্রমশ গভীর হয়েছে। আর তার অনিচ্ছার কারণেই এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আমেরিকা চাইলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে - এটা আমার পর্যবেক্ষণ।

দ্বিতীয়ত, এখন অতীত ইতিহাস ঘাটবো না বললেও তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ, ‘সুদূর অতীত ইতিহাস’ ঘাটার কারণেই যার জন্ম, এবং যারা তার বিষময় ফল ভোগ করছে, সাম্প্রতিক অতীত না ঘাটার পরামর্শ তারা মানবে কেন?

যদিও, আমার মতে, অতীত ইতিহাস নয়, বর্তমান সংকটের মুলে বর্তমানই দায়ী। ইসরাইলের বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী নীতির কারণেই তা হচ্ছে। তাই, এই সমস্যার সমাধান করতে গেলে, বর্তমান আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা করতে হবে। না হলে, এ আগুন নিভবে না।

তৃতীয়ত, জাতি রাষ্ট্রের ধারণার জন্ম হওয়ার পর আর রাজতান্ত্রিক যুগের ধ্যানধারণা দেখিয়ে কোন ঘটনার ব্যাখ্যা চলে না। কেননা, এটা করলে সারা পৃথিবী জুড়ে সংকট দেখা যাবে।

আমি জাতি রাষ্ট্রের ধরণার উপর ভিত্তি করেই ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান করার কথা বলছি। কারণ, বর্তমানে এটাই মান্য রাষ্ট্রদর্শন। এবং আমরা (আমি বা আপনি) যে যুদ্ধের বিরোধিতা করছি, তা এই দর্শনকে মান্যতা দিয়েছি বলেই, করতে পারছি। জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে মান্যতা না দিলে তো যুদ্ধের বিরোধিতা করা যায় না। করলে তো তা হাস্যকর ও দ্বিচারিতা হয়ে যাবে! যদিও এটাও ঠিক যে, এটা ( দ্বিচারিতা ) করা হচ্ছে বলেই এই সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা।

মনে রাখতে হবে, আমি অতীত কোন রাজতান্ত্রিক যুগের কথা বলছি না। আমি বলছি না যে, আবার তুরস্ক সাম্রাজ্য পুনরায় প্রতিষ্ঠা হোক। ইসরাইলের জাতিসত্ত্বাকে স্বীকারের সাথে সাথে প্যালেস্টাইন জাতিসত্ত্বার কথা স্বীকার করেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। না হলে এই সংকট কাটবে না। আমাদের বক্তব্যও অর্থহীন হয়ে যাবে।

লেখার উৎস ও পাঠকের প্রতিক্রিয়া

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে