তুরস্কের নাম পরিবর্তনের কারণ,তুরস্কের নতুন নাম, বাংলায় তুরস্ক, ইংরেজিতে টার্কি। কোনটাই এখন তুরস্কের নাম নয়। তাকে এখন থেকে নতুন নামে ডাকতে হবে:‘তুর্কিয়ে’। এই নামেই পরিচিত হতে চায় তারা সারা বিশ্বে। জাতি সংঘ গতকাল এই নাম গ্রহণ করেছে। কেন এই নামের পরিবর্তন? জাতিগোষ্ঠী,সভ্যতা,সংস্কৃতি ও মতাদর্শের সঙ্গে এই নামটি সামঞ্জ্যপূর্ণ। ইংরেজি শব্দ টার্কি আসলে একটি পাখির নাম। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অভিধান অনুযায়ী শব্দটির অর্থ ‘বোকা মানুষ’ বা ‘ব্যর্থ হওয়া’ বোঝায়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তইয়েপ এরদোগান এই নামে দেশের পরিচিতিকে অসম্মাজনক বলে মনে করেন। তাই জাতি সংঘের কাছে নাম পরিবর্তনের আর্জি জানান তিনি। গত বুধবার সেই নাম পরিবর্তনের আর্জিতে সীলমোহর দিয়েছে জাতিসংঘ। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্ক এখন তুর্কিয়ে নামে পরিচিতি লাভ করল। যদিও কয়েক মাস আগ থেকেই তুর্কিরা তাদের দেশকে তুর্কিয়ে বলেই অভিহিত করছেন। দেশের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলের জন্মের ৫৬৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে তারা দেশের এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সারাবিশ্বে নতুন করে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য এই নাম বে...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...