দীর্ঘ জীবন লাভের উপায় দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য প্রয়োজন দুটো জিনিস। একটা হল জীবনভর কঠোর পরিশ্রম। দ্বিতীয়টা হল পরিমিত ও সময় মত প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ। আমার ক্ষেত্রে প্রথমটা ঠিকঠাক হয়েছে। এখনও ঠিকঠাক আছে। কিন্তু দ্বিতীয়টার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ঘাটতি রয়ে গেছে। আজ, তা পূরণ করার সামর্থ্য থাকলেও, সম্ভব নয়। কারণ, সব কিছু খওয়ার অভ্যাসটাই তৈরি হয়নি। এই বয়েসে তা নতুন করে তৈরি করা সম্ভবও নয়। তাই বহুদিন বেঁচে থাকার বাসনা আমার নেই। তবে, চেষ্টা করি যে ক’দিন বাঁচি, যেন ভালভাবে, আনন্দের সঙ্গে বাঁচি। মানুষের জন্য, মানুষের সাথে বাঁচি। তার জন্য প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আধুনিক সাস্থ্যবিজ্ঞান বলছে, শুধু শরীর ভালো রাখলেই হবে না। মনকেও ভালো রাখতে হবে। আর ভোগবাদী সমাজ ও অর্থব্যবস্থায় মন ভালো রাখা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, নিজের মন শুধুমাত্র নিজের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রভাব থাকে পরিবারের খুব কাছের মানুষগুলোর। এই কাছের মানুষগুলোই হল একজন মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণের একমাত্র অবলম্বন। তাই তারা মুখ ফেরালে, মনের ওপর গভীর চাপ তৈরি হয়। মানুষ হতাশ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...